নির্বিচার হামলার পাশাপাশি ইসরায়েলি অবরোধের কারণে গাজায় দুর্ভিক্ষ অবস্থা বিরাজ করছে আর অনাহারে বহু মানুষের মৃত্যু হচ্ছে।
Published : 05 Aug 2025, 01:44 PM
কানাডা জানিয়েছে, তারা ফিলিস্তিনি ছিটমহল গাজায় বিমান থেকে ত্রাণ ফেলে মানবিক সহায়তা সরবরাহ করেছে। পাশাপাশি ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ করেছে অটোয়া।
গাজায় প্রায় ২২ মাস ধরে ধ্বংসাত্মক সামরিক অভিযান চালাচ্ছে ইসরায়েল। তাদের নির্বিচার হামলায় গাজায় ৬০ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। পাশাপাশি ইসরায়েলি অবরোধের কারণে গাজায় দুর্ভিক্ষ অবস্থা বিরাজ করছে আর অনাহারে বহু মানুষের মৃত্যু হচ্ছে।
সোমবার এক বিবৃতিতে কানাডা সরকার বলেছে, “কানাডার সশস্ত্র বাহিনী গ্লোবাল অ্যাফেয়ার্স কানাডার সহায়তায় গাজা ভূখণ্ডে গুরুত্বপূর্ণ মানবিক ত্রাণ ফেলার জন্য সিসি-১৩০জে হারকিউলিস বিমান মোতায়েন করেছে। তারা ২১ হাজার ৬০০ পাউন্ড ত্রাণ ফেলেছে।”
কানাডার ব্রডকাস্টিং কর্পোরেশন জানিয়েছে, এই প্রথম কানাডার সশস্ত্র বাহিনী তাদের নিজস্ব বিমান ব্যবহার করে গাজায় মানবিক ত্রাণ ফেলেছে।
ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, ছয়টি দেশ গাজাবাসীদের জন্য বিমান থেকে ১২০ খাদ্য সহায়তা প্যাকেজ ফেলেছে, তাদের মধ্যে কানাডাও ছিল। অন্য পাঁচটি দেশ হল, জর্ডান, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ইজিপ্ট, জার্মানি ও বেলজিয়াম।

গাজায় ত্রাণ ফেলা কানাডার সশস্ত্র বাহিনীর সিসি-১৩০জে হারকিউলিস বিমানের দুজন ক্রুকে দেখা যাচ্ছে। ছবি: রয়টার্স
গত সপ্তাহে কানাডা জানায়, তারা সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে। প্রভাবশালী কয়েকটি পশ্চিমা রাষ্ট্রের এরকম পদক্ষেপের কারণে গাজায় অনাহার ছড়িয়ে পড়ার সময়টিতে ইসরায়েলের ওপর চাপও বৃদ্ধি পাচ্ছে।
কানাডা সরকার বলেছে, “ত্রাণে বাধা দেওয়া আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের লঙ্ঘন আর এটি অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে।”
রয়টার্স জানায়, কানাডা সরকারের এমন বক্তব্যের বিষয়ে অটোয়ার ইসরায়েলি দূতাবাস তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য করেনি। ইসরায়েল সরকার আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করার অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে এবং গাজার দুর্ভোগের জন্য হামাসকে দায়ী করেছে।

গাজায় বিমান থেকে ফেলা মানবিক ত্রাণের প্যাকেজ। ছবি: রয়টার্স
ইসরায়েল মার্চে গাজায় খাদ্য সরবরাহ বন্ধ করে দেয় আর মে মাসে ওই অবরোধ তুলে নেয়, কিন্তু বিধিনিষেধ আরোপ করে রাখে। তাদের দাবি, ত্রাণ জঙ্গি গোষ্ঠীগুলোর হাতে চলে যাওয়া ঠেকাতে এসব বিধিনিষেধ আরোপ করে রাখা দরকার।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পও অভিযোগ করেছেন, হামাসের ‘জঙ্গিরা’ গাজায় আসা খাদ্য সহায়তা চুরি করে পরে বিক্রি করছে।
যাইহোক, গত মাসের শেষ দিকে রয়টার্স জানায়, মার্কিন সরকারের এক অভ্যন্তরীণ বিশ্লেষণে যুক্তরাষ্ট্রের তহবিলে সরবরাহ করা মানবিক সহায়তা হামাস পদ্ধতিগতভাবে চুরি করছে, এমন কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি।