“বিমান সরকারের ৯৫ শতাংশ, আরতী রানীর ৯৭ শতাংশ ও দীপঙ্কর সরকারের শরীরের ১ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে,” বলেন চিকিৎসক শাওন বিন রহমান।
গাজীপুরের গাছা এলাকায় গ্যাসের সিলিন্ডার থেকে আগুন লেগে তিন জন দগ্ধ হয়েছেন।
আহতদের মধ্যে দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের চিকিৎসকরা।
দগ্ধ তিনজন হলেন বিমান সরকার, আরতি রানী ও দীপঙ্কর সরকার। সোমবার দুপুর আড়াইটার দিকে তাদেরকে ঢাকায় জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে আনা হয়।
ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগের আবাসিক সার্জন শাওন বিন রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, রান্নার সময় সিলিন্ডারের লিকেজ থেকে লাগা আগুনে তারা দগ্ধ হন।
“এদের মধ্যে বিমান সরকারের শরীরের ৯৫ শতাংশ, আরতী রানীর ৯৭ শতাংশ ও দীপঙ্কর সরকারের শরীরের ১ শতাংশ পুড়ে গেছে। বিমান সরকার এবং আরতি রানীর অবস্থা আশঙ্কাজনক।”
আরতী রানীর ছেলে দীপঙ্কর সরকার, যিনি মাকে বাঁচাতে গিয়ে দগ্ধ হন।
দীপঙ্করের স্ত্রী সাথী সরকার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, তারা গাছা রোড এলাকার একটি বাসায় ভাড়া থাকেন। সেখানে রান্নাঘরে গ্যাসের সিলিন্ডারের পাশাপাশি লাড়কি দিয়ে রান্না করছিলেন তার শাশুরি।
“ওই সিলিন্ডার আমাদের না। দুপুরে আমার শাশুড়ি লাকড়ি দিয়ে রান্না করতেছিলেন। এ সময় আগুন লাগে। বিমান সরকার আমাদের পাশের বাসায় থাকেন, আগুনে আমার শাশুড়ি এবং তিনি পুড়ে যান। শাশুড়িকে বাঁচাতে আমার স্বামী সেখানে যান, তার শরীরও পুড়ে গেছে।”
এর আগে রোববার গাজীপুরের মীরের বাজার এলাকায় বাচ্চার জন্য দুধ গরম করতে আগুন জ্বালানোর সময় জমে থাকা গ্যাসের আগুনে দগ্ধ হন একই পরিবারের তিনজন। এরমধ্যে রায়হান নামে চার মাস বয়সী এক শিশু মারা যায়।
শিশুটির বাবা রিপনের শরীরের ৮০ শতাংশ এবং মা হাফিজার শরীরের ৭০ শতাংশ আগুনে পুড়ে যায়। তারাও জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন।