এর আগে ইসি নির্বাচনি প্রতীক হিসেবে জাতীয় প্রতীক ‘শাপলাকে’ ব্যবহার না করার বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয়।
Published : 04 Aug 2025, 08:25 PM
নতুন দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) দলীয় প্রতীক হিসেবে এবার শাপলার পাশাপাশি সাদা শাপলা ও লাল শাপলা চেয়ে নির্বাচন কমিশনে আবেদন করেছে।
নিবন্ধন প্রত্যাশী দলটি প্রতীক পছন্দের তালিকায় রোববার ‘তথ্য ঘাটতি’ সংশোধনের আবেদনের ফরমে নতুন এসব প্রতীক যুক্ত করেছে।
এর আগে জাতীয় ফুল শাপলাকে দলীয় প্রতীক পেতে নাগরিক ঐক্য ও এনসিপির আবেদনের পর ইসি ৯ জুলাই নির্বাচনি প্রতীক হিসেবে জাতীয় প্রতীক ‘শাপলাকে’ ব্যবহার না করার বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয়।
শাপলা জাতীয় প্রতীক হওয়ায় কোনো রাজনৈতিক দলের জন্য নির্বাচনি প্রতীক হিসেবে তা বরাদ্দ নিয়ে বিতর্কের মধ্যে ওই সিদ্ধান্ত নেয় এএমএম নাসির উদ্দিনের কমিশন।
নির্বাচন কমিশনের সংরক্ষিত প্রতীক তালিকাতেও (নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালার তফসিলে) শাপলা প্রতীক হিসেবে বরাদ্দ নেই।
তবে কমিশনের এ সিদ্ধান্ত জানার পর আওয়ামী লীগ সরকার পতনের নেতৃত্ব দেওয়া গণ অভ্যুত্থানের সামনের সারিতে থাকা নেতাদের দল এনসিপি ক্ষোভ প্রকাশ করে। পরে ১৩ জুলাই শাপলা প্রতীককে তফসিলভুক্ত করে তাদের বরাদ্দ দেওয়ার আবেদনও জানায় নিবন্ধনপ্রত্যাশী দলটি।
এনসিপি নতুন করে পছন্দের ক্রমে শাপলা অন্তর্ভুক্ত করার পর এ বিষয়ে সোমবার নির্বাচন কমিশন সচিব আখতার আহমেদ বলেন, “এনসিপির পক্ষ থেকে শাপলা চেয়ে একটা আবেদন করে গেছে কালকে (রোববার)। আমাদের কাছে শাপলা রিলেটেড (তিন ধরনের শাপলা) আবেদন দিয়েছে “
তিনি বলেন, ইসির বিদ্যমান সংশোধনের আওতাধীন তফসিলে শাপলা নেই।
সংশ্লিষ্টরা বলেন, এনসিপির শাপলা প্রতীক দাবি সংক্রান্ত বিষয়টি নিষ্পত্তি ইসি সচিবালয়ের এখতিয়ারে নেই। কমিশন বসে সিদ্ধান্ত দেবে।
ইসি সচিব বলেন, নির্বাচন সংক্রান্ত যে কেউ যে কোনো নির্বাচন সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আবেদন করতে পারে। আবেদনের কিছু বিষয় প্রশাসনিক রয়েছে; আবার কিছু বিষয় নির্বাচন কমিশনের বিষয় রয়েছে।
“শাপলা রিলেটেড বিষয়টি ইসির বিষয়। আইন বিধি অনুযায়ী সিদ্ধান্ত দেবে নির্বাচন কমিশন।”
কলম ও মোবাইল ফোন বাদ দিয়ে সাদা ও লাল শাপলা
এর আগে ২২ জুন নির্বাচন কমিশনে আবেদনের সময় এনসিপি শাপলা প্রতীকের পাশাপাশি দ্বিতীয় ও তৃতীয় পছন্দের তালিকায় কলম ও মোবাইল ফোন চেয়েছিল।
পরে শাপলা প্রতীকটি জাতীয় প্রতীক বিবেচনায় নিয়ে ইসির প্রতীক তালিকা রাখা হয়নি।
সবশেষ আবেদনে এনসিপি বলছে, শাপলা প্রতীক দৃশ্যমান করার ক্ষেত্রে ভিন্ন ভিন্ন ভার্সন বা আংশিক ‘ডিসটর্টেট’ ভার্সন গ্রহণ করার ক্ষেত্রে এনসিপি সবসময় আলোচনা করতে প্রস্তুত।
নিবন্ধন প্রত্যাশী ১৪৫টি দলের তথ্য ঘাটতি ও ত্রুটি সংশোধনের শেষ সময় ছিল রোববার। সেদিন চার সদস্যের এনসিপির প্রতিনিধি দল প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গেও বৈঠক করে। এসময় নির্বাচন কমিশন সচিবও উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক শেষে এনসিপির যুগ্ম সদস্য সচিব জহিরুল ইসলাম মুসা বলেছিলেন, “দলের নিবন্ধন আবেদনের তথ্য চেয়ে, পর্যবেক্ষণের আলোকে নতুন কাগজপত্র ও তথ্য জমা দিয়েছি ইসির কাছে। আশা করি, ইসি আমাদের নিবন্ধনের পরের ধাপে কাজ অগ্রসর হবে।”
শাপলা প্রতীক ও নিবন্ধন পাওয়ার আশা প্রকাশ করে তিনি বলেন, “প্রতীক বরাদ্দ হয় ইসি যখন নিবন্ধন সনদ দেয় তখন। যেহেতু নিবন্ধন সনদ এখনও পাইনি, সেই প্রতীক নিয়ে এখন কথা বলতে পারছি না। বিধিমালার তফসিলে নেই। কিন্তু যে কোনো পর্যায়ে এটা সংশোধনযোগ্য। ইসি চাইলে সংশোধন করতে পারে।”