শুধু গত বছরের অভ্যুত্থানেই নয়, শেখ হাসিনার ১৫ বছরেরও বেশি সময়ের শাসনকালে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষের ওপর যে নিপীড়ন ঘটেছে, শুধু ক্ষমা চাইলেই কি ওইসব অপরাধের দায়মুক্তি হয়?
সংগৃহিত
গণঅভ্যুত্থানের মুখে দেশ থেকে ছেড়ে যাওয়া বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্প্রতি আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা রয়টার্স, এএফপি এবং যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম দ্য ইনডিপেনডেন্টকে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন। গত বছরের পাঁচ অগাস্ট ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর তিনি এই প্রথম কোনো মূলধারার সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিলেন। ফলে এই নিয়ে মানুষের মধ্যে বেশ আগ্রহ তৈরি হয়েছে। দেশ ছেড়ে যাওয়ার পর তার বিভিন্ন বক্তব্য সোশ্যাল মিডিয়া বা ফাঁস হয়ে যাওয়া ফোনকলের মাধ্যমে শোনা গিয়েছে, যা বেশিরভাগই অনানুষ্ঠানিক এবং আক্রমণাত্মক ছিল। তবে এবারের সাক্ষাৎকারটিকে আনুষ্ঠানিক, গোছানো, পরিকল্পিত বলা যেতে পারে। বোধ করি মূলধারার গুরুত্বপূর্ণ সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন বলে পরিশীলিত থাকবার চেষ্টা করেছেন। এই সাক্ষাৎকার থেকে গতবছরের গণঅভ্যুত্থান নিয়ে শেখ হাসিনার বর্তমান অবস্থান, তার দেশে ফেরা, আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব, আগামী নির্বাচনে দলটির অংশগ্রহণ নিয়ে পরিকল্পনা সম্পর্কে ধারণা পাওয়া গিয়েছে।
সংবাদমাধ্যম, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বিশেষ করে ফেইসবুক, ইউটিউবে বিশ্লেষকদের নানা পর্যালোচনা এবং টেলিভিশনের টক শোতে তার সাক্ষাৎকার নিয়ে বিস্তর আলোচনা হয়েছে। তবে গত বছর গণঅভ্যুত্থানের সময় বিপুল সংখ্যক আন্দোলনকারী নিহত হওয়ায় দেশবাসীর কাছে ক্ষমা চাওয়া এবং আওয়ামী লীগের নির্বাচন বর্জনের বিষয়টি সংবাদমাধ্যমে তুলনামূলক বেশি গুরুত্ব পেয়েছে। তবে শেখ হাসিনার ক্ষমা চাওয়ার বিষয়টি নিয়ে আমাদের আরও তির্যকভাবে ভাবা ও আলাপ করার দাবি রাখে। একইভাবে তার নির্বাচন বর্জনের আহ্বান জানানোর নৈতিক অধিকার রয়েছে কি না, তা নিয়েও রয়েছে ভাববার অবকাশ।
“কী হবে বা সে হৃদয়ে যেখানে কোথাও নেই এতটুকু টলটলে ক্ষমা।” ক্ষমার প্রসঙ্গ আসতেই শঙ্খ ঘোষের ক্ষমা কবিতার এই শেষ লাইনটির কথা মনে পড়ল। কবিতার শেষ এই লাইনটি এখানে ঠিক সেভাবে প্রাসঙ্গিক নয়, যে উদ্দেশ্যে তিনি কবিতাটি লিখেছেন। কবি মূলত প্রেমিকার ক্ষমাহীন হৃদয়ের মূল্য নিয়ে আক্ষেপ করেছেন। রসিকেরা শেখ হাসিনার ক্ষমাহীন হৃদয় নিয়ে প্রশ্ন তুলতে বা আক্ষেপ করতে পারেন। কিন্তু আদতে শেখ হাসিনার ক্ষমা চাওয়া বা না চাওয়ার বিষয়টি কি খুব গুরুত্বপূর্ণ? “দেশে ফিরে বিচারের মুখোমুখি হবেন না কি না?”—এ প্রশ্নটিই বরং শেখ হাসিনাকে করা যৌক্তিক হত। অথবা তাকে কীভাবে বিচারের মুখোমুখি করা যায়, আমাদের আসলে ওই বিষয়েই আলোচনায় ব্যস্ত হওয়া উচিত।
গত কয়েকদিন বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলোতে শেখ হাসিনা ‘ক্ষমা চাইবেন কি না’—এই ইস্যুটি আলোচনার কেন্দ্রে রয়েছে। প্রশ্ন হল, শুধু গত বছরের আন্দোলনই নয়, শেখ হাসিনার ১৫ বছরেরও বেশি সময়ের শাসনকালে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষের ওপর যে নিপীড়ন ঘটেছে, শুধু ক্ষমা চাইলেই কি ওইসব অপরাধের দায়মুক্তি মিলবে? বস্তুত শুধু ক্ষমা চাইলেই তাকে দায়মুক্তি দেওয়া যায় না। ক্ষমা চাওয়ায় অপরাধ মোচন হয় না। এ বছরের শুরুতে জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের সাবেক সরকার, নিরাপত্তা-গোয়েন্দা সংস্থাসমূহ ও আওয়ামী লীগ পদ্ধতিগতভাবে গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনাসমূহের সঙ্গে জড়িত ছিল। পরবর্তীকালে ফাঁস হওয়া বিভিন্ন ফোন কলে শেখ হাসিনাকে ওইসব হত্যাকাণ্ডের সরাসরি নির্দেশ দিতেও শোনা যায়। ফলে বিচারের মাধ্যমে যথাযথ শাস্তিই তার একমাত্র যৌক্তিক পরিণতি হতে পারে।
তার ক্ষমা না চাওয়ার বিষয়টিকে আরও দু-ভাবে ব্যাখ্যা করা যেতে পারে। এক, একটু পেছন ফিরে তাকালেই শেখ হাসিনার গত শাসনামলের বক্তব্য ও সাক্ষাৎকারে তার অহঙ্কারী, আক্রমণাত্মক চেহারার দেখা মিলবে। এখনো হয়তো তার ওই বৈশিষ্ট্যই অব্যাহত রয়েছে। আমরা হয়তো তার এই সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে ওই রূপই দেখতে পেলাম। দুই, বাংলাদেশের সংস্কৃতিতে ক্ষমা চাওয়াকে দুর্বলতার প্রতীক হিসেবে বিবেচনা করা হয়। রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে দলীয় প্রধানের ক্ষমা চাওয়ার বিষয়টি তাকে কর্মী ও ভোটারদের কাছে ছোট করতে পারে এমন বিশ্বাসও আমাদের রাজনীতিবিদদের মধ্যে রয়েছে। ওই বিবেচনার জায়গা থেকেও হয়তো তিনি ক্ষমা চাওয়ার প্রশ্নে কৌশলী উত্তর দিয়েছেন।
রাজনীতিবিদদের ক্ষমা চাওয়ার দৃষ্টান্ত একেবারেই যে নেই, তাও কিন্তু নয়। ভারতের প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী, যিনি খুব শক্ত হাতে দেশ চালিয়েছিলেন, তিনিও ভুল করার পর ক্ষমা চাওয়ার মতো বিনয়ী ছিলেন। ১৯৭৫ সালে জরুরি অবস্থা জারির পর মানুষের মৌলিক অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়, সংবাদপত্র সেন্সর করা হয় এবং হাজার হাজার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ ও সমালোচককে জেলে ভরা হয়। পরবর্তীকালে তিনি জরুরি অবস্থার সময় হওয়া ভুল ও বাড়াবাড়ির জন্য ‘সম্পূর্ণ দায়ভার’ নিজের কাঁধে নেওয়ার অঙ্গীকার করেন। তার এই ভুল স্বীকার করার মানসিকতা তার হারানো সম্মান ফিরিয়ে দিয়েছিল, যার ফলস্বরূপ কিছুদিন বিরোধীদলে থাকার পর ভোটাররা তাকে আবার ক্ষমতায় ফিরিয়ে আনে। এই ধরনের ক্ষমা চাওয়া কখনও কখনও প্রকৃত ন্যায়বিচার ও পুনর্বাসনের বিকল্প হতে পারে না। ইন্দিরাকে এখনও নিয়মিত সমালোচনার কাঠগড়ায় দাঁড় করান ভারতীয় লেখকরা। শেখ হাসিনা যে মাপের অপরাধ করেছেন তাতে শুধু ক্ষমা চাইলেই তার দায়মুক্তি ঘটবে না, তা মোটামুটি নিশ্চিত। তবু তিনি মুখের কথায় ক্ষমা চাওয়ার মতো ঔদার্য্য দেখাতে পারলেন না।
আন্দোলনকারীদের নিহত হওয়ার বিষয়ে শেখ হাসিনা জাতি হিসেবে হারানো প্রতিটি সন্তান, ভাই-বোন, আত্মীয় ও বন্ধুর জন্য শোক প্রকাশের কথা বলেছেন। বরং হত্যার দায় অনেকখানি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর চাপিয়েছেন। যেহেতু তার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার চলমান, আইনি দিক থেকেও এই বক্তব্যটি তাই কৌশলী। ক্ষমা চাইলে সেটি তার দায় স্বীকার করা হয়ে যেতে পারত এবং বিচারকাজে এই স্বীকারোক্তির কথা উল্লেখ করা হত হয়তো। বস্তুত এই প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার সময় তিনি নিজের দায় অস্বীকার করার সুযোগ যেমন নিয়েছেন; তেমনি পুরো দায় অন্যের কাঁধে তুলে দেওয়ার চেষ্টাও করেছেন।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের রাজনীতিতে সম্প্রতি ‘ক্ষমার’ বিষয়টি বেশ আলোচিত এবং গুরুত্ব পেয়েছে। গত কিছুদিনের মধ্যে জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান একাধিকবার ক্ষমা চেয়েছেন। যদিও তার এই ক্ষমা চাওয়ার ধরন নিয়ে যথেষ্ট প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। সাধারণত কোনো অপরাধে শাস্তির মুখোমুখি হলে মানুষ নিজেকে রক্ষার জন্য ঠিক ওই সময়েই ক্ষমা চায়। কিন্তু, জামায়াতে ইসলামী ও দলটির নেতারা যুদ্ধাপরাধের বিচার চলাকালীন ক্ষমা না চাইলেও আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সম্প্রতি উঠতে-বসতে ক্ষমা চাইছেন। ফলে তাদের ক্ষমা চাওয়ার উদ্দেশ্য নিয়ে যেমন প্রশ্ন ওঠেছে তেমনি জামায়াতের ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান যেভাবে হাসি তামাশাচ্ছলে ক্ষমা চাইছেন, তা নিয়েও প্রশ্নের অবকাশ রয়েছে। শফিকুর রহমান ১৯৪৭ সাল থেকে আজ পর্যন্ত জামায়াতের কারণে যে কোনো জায়গায়, যে কোনো ব্যক্তির ওপর যে কোনো দুর্ভোগ নেমে এসেছে, তার জন্য নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়েছেন। ২২ অক্টোবর, নিউ ইয়র্কে এবং এর আগে এ বছরেরই ২৭ মে ঢাকায় ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন। যেখানে মুক্তিযুদ্ধে করা অপরাধকে এমনভাবে বলা হচ্ছে যেন, এটি অতি তুচ্ছ ঘটনা।
একটি বিষয় আমাদের সবার ভাবা উচিত, ২০২৪ সালের হত্যাকাণ্ডের জন্য শেখ হাসিনা ও দল হিসেবে আওয়ামী লীগের যেভাবে বিচার হচ্ছে; ঠিক একইভাবে দল হিসেবে ১৯৭১ সালের অপরাধের জন্য জামায়াতে ইসলামীরও বিচার হওয়া যুক্তিযুক্ত। শুধু ক্ষমা চাওয়াটা কোনোভাবেই মুক্তিযুদ্ধে হত্যা, ধর্ষণের দায় থেকে দল হিসেবে জামায়াত ইসলামীকেও মুক্তি দিতে পারে না। যেহেতু আওয়ামী লীগের শাসনামলে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নিয়ে জামায়াতসহ আরও অনেকেরই প্রশ্ন রয়েছে, সেহেতু একটি ন্যায়সঙ্গত বিচারপ্রক্রিয়াই এই ইস্যুর সমাধান করতে পারে।
শেখ হাসিনার প্রসঙ্গে ফেরা যাক। ক্ষমা চাইতে অস্বীকারের পাশাপাশি শেখ হাসিনা আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলোকে বলেছেন, আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে অংশগ্রহণ করতে না দিলে দলটির সমর্থকরা নির্বাচন বয়কট করবে। তিনি কার্যকর রাজনৈতিক ব্যবস্থার জন্য মানুষকে ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত না করার কথা বলেছেন। অবিশ্বাস হলে পূর্ববর্তী বাক্যটি আবার পড়ে দেখতে পারেন। হ্যাঁ, তিনি ভোটাধিকারের কথাই বলেছেন। তিনিই সেই শেখ হাসিনা, ২০১৪ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত নির্বাচনি ব্যবস্থা ধ্বংস করার দায় যার। ওই আলাপে আজকের এই লেখায় আর না যাই।
তবে নির্বাচন নিয়ে তার এই বক্তব্য থেকে যে প্রশ্নের উদ্রেক হয় তা হল, তিনি শুধু তার দলের সমর্থকদের ওপরই নির্বাচনের দায়িত্ব চাপিয়ে দিলেন কি না? তার বক্তব্যে মনে হয়, ১৫ বছর ধরে লুটপাট করা দলের শীর্ষ নেতারা পালিয়ে গিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আরাম-আয়েশের জীবনযাপন করছেন, তারা সেটি করতে থাকুক; তবে নির্বাচনকে সামনে রেখে ঝুঁকি নিয়ে সমর্থকদেরকেই নির্বাচন অসফল করার দায়িত্ব নিতে হবে। গত বছর ৫ অগাস্ট পালিয়ে গিয়ে শেখ হাসিনা দলের নেতাকর্মীদের যে অনিশ্চয়তায় ফেলেছিলেন, এই বক্তব্যকে তারই ধারাবাহিকতা হিসেবে ধরে নেওয়া যায়।
বিগত কয়েক বছরে দক্ষিণ এশিয়ায় গণআন্দোলনের মুখে শ্রীলঙ্কা ও নেপালের সরকারপ্রধানের পতন হয়েছে। এর মধ্যে নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি পদত্যাগ করে দেশেই রয়েছেন। শ্রীলঙ্কার তৎকালীন প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসে ২০২২ সালের জুলাইয়ে দেশ ছেড়ে পালালেও একই বছরের সেপ্টেম্বরে দেশে ফেরেন। শেখ হাসিনাই এক্ষেত্রে আলাদা, যিনি পালিয়ে যাওয়া দেশে দীর্ঘসময় ধরে অবস্থান করছেন এবং সেখানেই থাকার পরিকল্পনার কথা আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলোকে বলেছেন। শুধু তাই নয়, সংবাদমাধ্যমগুলোকে আরও বলেন, তিনি দিল্লিতে ‘নিরিবিলি ও স্বাধীনভাবে’ বসবাস করছেন এবং মাঝেমধ্যে সেখানকার লোধি গার্ডেনে হাঁটতেও যান।
শেখ হাসিনা ভারতে কোন মানসিক স্থিতিতে দিন কাটাচ্ছেন, তা বাংলাদেশের মানুষের পক্ষে অনুমান করা কঠিন। তবে তার নিজ মুখে দেওয়া বর্ণনা থেকে বোঝা যায়, তিনি ‘নিরিবিলি ও স্বাধীনভাবে’ বাস করা নিয়ে বেশ তৃপ্তিতেই আছেন। কিন্তু সেই প্রশান্তির আড়ালেও তার বক্তব্যে লুকিয়ে আছে নির্বাচনকে সামনে রেখে নিজের কোনো প্রত্যক্ষ ভূমিকার কথা না বললেও দেশের মানুষ ও তার নিজের দলের কর্মীদের ঝুঁকিতে ফেলার আভাস রয়েছে তার বক্তব্যে। শুধু এখানেই নয়—ক্ষমা না চাওয়া, নিহতের সংখ্যা নিয়ে মিথ্যা তথ্য দেওয়া, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর দায় চাপিয়ে দেওয়া—এসবই একজন পতিত রাজনৈতিক নেত্রীর বৈশিষ্ট্যকে নগ্নভাবে উন্মোচিত করে। বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ শেখ হাসিনার এই অবস্থানকে তার দীর্ঘ শাসনকাল নিয়ে তাদের অনুমানের সঙ্গে সহজেই মেলাতে পারবে। কিন্তু আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা যদি সেই সত্যকে মেনে নিতে পারেন, তবেই হয়তো দেশের জন্য সত্যিকারের মঙ্গল হবে।
