“জুলাইয়ের প্রেক্ষাপটেই এত আয়োজন; তাই গণভোট আগে না করলে জাতীয় নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে যাবে,”বলেন তিনি।
সংগৃহিত
জুলাই সনদ বাস্তবায়নের জন্য আগামী নভেম্বরেই গণভোট আয়োজন করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আব্দুল হালিম।
তিনি বলেছেন, “জাতীয় নির্বাচন আর গণভোট একদিনে নয়।”
বৃহস্পতিবার দুপুরে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কাছে স্মারকলিপি দেওয়ার পর তিনি এ মন্তব্য করেন।
নির্বাচন ভবনে জামায়াত নেতা হালিম বলেন, “আজ সিইসির সাথে দেখা হয়েছে। বর্তমান আলোচিত বিষয় হচ্ছে জুলাই জাতীয় সনদ। সনদে ২৫টি রাজনৈতিক দল এসে স্বাক্ষর করেছি।
“ইসিকে আমরা বলেছি, গণভোট নভেম্বর মাসের মধ্যে শেষ করতে হবে। সংশোধিত আরপিও নিয়ে কোনো কোনো দল সংশোধনী আনতে বলেছে। আমরা বলেছি, আরপিও হুবহু বহাল রাখতে হবে।”
আব্দুল হালিম বলেন, “জাতীয় নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করতে হবে। আট দলের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে স্মারকলিপি দেওয়ার পর পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে আগামী তিন তারিখ নতুন কর্মসূচি দেওয়া হবে।
“সিইসি আমাদের কথা শুনেছেন। দাবি বিবেচনার ক্ষেত্রে উনাদের ভূমিকার কথা বলেছেন।”
তিনি বলেন, “যারা জুলাই চেতনার পরিপন্থি কাজে থাকবে, তারা ইনশাআল্লাহ জনগণের কাছে নিগৃহীত হবে।
“জুলাইয়ের প্রেক্ষাপটেই এত আয়োজন। তাই গণভোট আগে না করলে জাতীয় নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে যাবে।”
গত ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টি, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি-জাগপা এবং বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টি ৫ দফা দাবি নিয়ে আন্দোলন করে আসছে।
চলমান আন্দোলনের অংশ হিসেবে আট দল বৃহস্পতিবার পৃথক স্মারকলিপি দিয়েছে। তাদের দাবির মধ্যে রয়েছে—নভেম্বরে গণভোট, উপদেষ্টা পরিষদে অনুমোদিত আরপিও বহাল রাখা এবং সবার জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করা।
এদিনই বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সংসদ নির্বাচন ও গণভোট একই দিনে হতে হবে।
এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে জামায়াত নেতা আব্দুল হালিম বলেন, “বিএনপি এই দাবি করতে করতে পারে। আমরা নভেম্বরে ভোট চেয়েছি।”
স্মারকলিপি দিতে সকাল থেকেই নির্বাচন ভবনের সামনে সমাবেশ করে জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলনসহ ৮ রাজনৈতিক দল। দুপুরে এসব দলের নেতাকর্মীদের সামাল দিতে হিমশিম খেতে হয় ইসি কর্মকর্তাদের। তারা স্মারকলিপি দেওয়ার কথা বলে নির্বাচন ভবনে এসে সিইসির সঙ্গে বৈঠক করার দাবি তোলেন।
প্রত্যেকটি দল আলাদা করে বৈঠকের দাবি জানালে ইসি কর্মকর্তারা প্রত্যেকটি দলের কয়েকজন করে প্রতিনিধিকে নির্বাচন ভবনে প্রবেশের অনুমতি দেন। পরে তাদের সবার সঙ্গে বৈঠক করেন সিইসি সিইসি এ এম এম নাসির উদ্দিন।
