এই ঘাঁটিতে দুই নেতা গণমাধ্যমের সামনে মিলিত হয়ে পরস্পরের সঙ্গে করমর্দন করেন। শি বলেন, ট্রাম্পের সঙ্গে মিলিত হয়ে তিনি আনন্দিত।
সংগৃহিত
দক্ষিণ কোরিয়ার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর বুসানের গিমহে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দেশটির বিমান বাহিনীর একটি ঘাঁটিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের মধ্যে বৈঠক হয়েছে।
বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় সকালে বিশ্বের দুই শীর্ষ অর্থনীতির দেশের নেতা রুদ্ধদ্বার বৈঠকে মিলিত হন। এরপর তাদের মধ্যে বৈঠক এক ঘণ্টা ৪০ মিনিট স্থায়ী হয় বলে চীনের গণমাধ্যম জানিয়েছে।
রয়টার্স জানায়, তাদের দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোর মধ্যে বিরল মৃত্তিকা ও এআই চিপ অন্যতম ছিল। এর পাশাপাশি ফেন্টানাইল সমস্যা ও সয়াবিন রপ্তানি ট্রাম্পের দিক থেকে আলোচনার অন্য প্রধান বিষয় ছিল।
গিমহে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর একই সঙ্গে সামরিক ও বেসামরিক বিমানবন্দর। এই বিমানবন্দরটি দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনী ও মার্কিন বিমান বাহিনীর যৌথ মহড়ারও অংশ হয়েছে।
বৈঠক শুরুর আগে এই ঘাঁটিতে দুই নেতা গণমাধ্যমের সামনে মিলিত হয়ে পরস্পরের সঙ্গে করমর্দন করেন। এ সময় শি বলেন, ট্রাম্পের সঙ্গে মিলিত হয়ে তিনি আনন্দিত।
আর ট্রাম্প বলেন, “আমরা অত্যন্ত সফল একটি বৈঠক করতে যাচ্ছি। কিন্তু তিনি খুব কঠোর আলোচক।”
এরপর দুই নেতা আলোচনার জন্য নির্ধারিত রুমের দিকে এগিয়ে যান।
বৈঠকের শুরুতে শি বলেন, “আমাদের দুই দেশ একসঙ্গে সফল ও সমৃদ্ধ হওয়ার ক্ষেত্রে পরস্পরকে সহায়তা করার পূর্ণ ক্ষমতা রাখে। জনাব প্রেসিডেন্ট, চীন-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কের জন্য একটি দৃঢ় ভিত্তি নির্মাণে এবং উভয় দেশের উন্নয়নের জন্য একটি উপযুক্ত পরিবেশ তৈরিতে আমি আপনার সঙ্গে কাজ করে যেতে প্রস্তুত।
শি আরও বলেন, বৃহৎ অর্থনৈতিক শক্তিগুলোর জন্য বিরোধ একটি স্বাভাবিক বিষয়। চীন এবং যুক্তরাষ্ট্রের অংশীদার ও বন্ধু হওয়া উচিত।
ট্রাম্প বলেন, “এখানে আমাদের মধ্যে আপনাকে পাওয়া একটি সম্মান। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।”
এর আগে ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদকালে ২০১৯ সালে জাপানের ওসাকায় জি২০ শীর্ষ সম্মেলনে শিয়ের সঙ্গে তার মুখোমুখি বৈঠক হয়েছিল।
ওয়াশিংটন ও বেইজিং পরস্পরের শত শত কোটি ডলারের আমদানি পণ্যে উচ্চ মাত্রার শুল্ক আরোপ করে শুরু করা বাণিজ্য যুদ্ধের মধ্যে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হল।
