কারাগারে ডিভিশন চেয়েও আবেদন করেন তিনি।
সংগৃহিত
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল, ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ের বিরুদ্ধে ‘প্লট জালিয়াতির’ তিন মামলার অন্যতম আসামি রাজউকের সাবেক সদস্য (এস্টেট ও ভূমি) মোহাম্মদ খুরশীদ আলম নিজ খরচে অ্যাম্বুলেন্সে করে আদালতে আসতে চান।
পাশাপাশি কারাগারে ডিভিশন চেয়েও আবেদন করেন তিনি।
বুধবার ঢাকার পঞ্চম বিশেষ জজ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুনের আদালতে এ দুই আবেদন করেন খুরশীদ আলম।
তার পক্ষে অ্যাডভোকেট শাহিনুর রহমান শুনানি করেন। শুনানি নিয়ে আদালত কারাবিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণে কারা কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন শাহিনুর রহমান।
আবেদনে বলা হয়, “খুরশীদ আলম একজন প্রতিষ্ঠিত ও সম্মানিত ব্যক্তি। তিনি অভ্যাসগত অপরাধী না। বিসিএস ত্রয়োদশ ব্যাচের সদস্য। বিভিন্ন জায়গায় গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন। তার বয়স ৬১ বছর। বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত। চিকিৎসকের পরামর্শে নিয়মিত চেকআপ ও ওষুধ সেবন করেন। জীবনযাপন ও শারীরিক অবস্থা বিবেচনা করে নিজ খরচায় অ্যাম্বুলেন্সে আনা নেওয়া এবং তার ডিভিশনের প্রার্থনা করেন আইনজীবী।”
এর আগে এদিন আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন খুরশীদ আলম। শুনানি নিয়ে আদালত জামিন আবেদন নাকচ করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয়।
গত ৩১ জুলাই এ তিন মামলাসহ পৃথক ছয় মামলায় শেখ হাসিনা ও শেখ রেহেনা পরিবারের সাত সদস্যসহ ২৩ জনের বিরুদ্ধে গঠন করেন আদালত।
শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের তিন মামলার তিন বাদী গত ১১ অগাস্ট সাক্ষ্য দেন। এরপর ২৬ অগাস্ট ১৭ জন, ২ সেপ্টেম্বর ১৮ জন, ১৭ সেপ্টেম্বর ১০ জন, ৩০ সেপ্টেম্বর ৯ জন এবং ১৫ অক্টোবর ১২ জন সাক্ষ্য দেন।
প্লট বরাদ্দের দুর্নীতির অভিযোগে গত জানুয়ারিতে এই ছয় মামলা করে দুদক। মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ (পুতুল), বোন শেখ রেহানা, রেহানার মেয়ে ও ব্রিটিশ এমপি টিউলিপ রিজওয়ানা সিদ্দিক, ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ও অপর মেয়ে আজমিনা সিদ্দিকসহ আরও অনেককে আসামি করা হয়।
শেখ পরিবার ছাড়া অন্য আসামিরা হলেন–জাতীয় গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. শহীদ উল্লা খন্দকার, অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) কাজী ওয়াছি উদ্দিন, প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম সরকার, সিনিয়র সহকারী সচিব পূরবী গোলদার, রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যান মো. আনিছুর রহমান মিঞা, সাবেক সদস্য (এস্টেট ও ভূমি) মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, সদস্য (প্রশাসন ও অর্থ) কবির আল আসাদ, সদস্য (উন্নয়ন নিয়ন্ত্রণ) তন্ময় দাস, সদস্য (এস্টেট ও ভূমি) মো. নুরুল ইসলাম, সাবেক সদস্য (পরিকল্পনা) মোহাম্মদ নাসির উদ্দীন, সাবেক সজর (ইঞ্জিনিয়ার) সামসুদ্দীন আহমদ চৌধুরী (অব.), পরিচালক (এস্টেট ও ভূমি-২) শেখ শাহিনুল ইসলাম, উপপরিচালক মো. হাফিজুর রহমান, হাবিবুর রহমান, সাবেক প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ ও প্রধানমন্ত্রীর সাবেক একান্ত সচিব সালাউদ্দিন।
মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়, “সরকারের সর্বোচ্চ পদে থাকাকালে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের ওপর অর্পিত ক্ষমতার অপব্যবহার করেন। তারা বরাদ্দ পাওয়ার যোগ্য না হওয়া সত্ত্বেও অসৎ উদ্দেশ্যে পূর্বাচল আবাসন প্রকল্পের ২৭ নম্বর সেক্টরের ২০৩ নং রাস্তার ছয়টি প্লট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।”
