আটকরা দীর্ঘদিন ধরে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের নানা কৌশলে বাইরের ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নিয়ে যেতেন বলে জানায় র্যাব।
সংগৃহিত
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে র্যাবের অভিযানে আটক ১৮ দালালকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ ছাড়া একজনকে জরিমানা করে ছেড়ে দেওয়া হয়।
বুধবার সকাল থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে হাসপাতালের জরুরি বিভাগ, বহির্বিভাগ, অন্তঃবিভাগসহ বিভিন্ন স্থান থেকে তাদের আটক করা হয় বলে জানান র্যাব-১৪ এর উপ-অধিনায়ক রাশেদ রাহাদ।
ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসনের নির্বাহী হাকিম মো. রাশিক খান শুষান। আটকদের সর্বনিম্ন এক মাস থেকে সর্বোচ্চ দুই মাস পর্যন্ত কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
র্যাবের রাশেদ রাহাদ বলেন, আটকরা দীর্ঘদিন ধরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের নানা কৌশলে বাইরের ক্লিনিক, হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নিয়ে যেতেন। এতে রোগীরা প্রতারিত ও আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েন।
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপ-পরিচালক জাকিউল ইসলাম বলেন, হাসপাতালে এক হাজার শয্যার বিপরীতে সাড়ে তিন থেকে চার হাজার রোগী ভর্তি থাকেন। যাদের বেশিরভাগ সেবা নিতে এসে বিভিন্ন সময় দালালদের খপ্পরে পড়েন।
“এ অভিযানের ফলে দালালদের দৌরাত্ম্য কিছুটা হলেও কমবে। কারণ আমাদের পক্ষে বাহিরে কী হচ্ছে না হচ্ছে সবসময় লক্ষ্য রাখা সম্ভব নয়”, বলেন তিনি।
সেবা নিতে আসা নেত্রকোণার মদন উপজেলার হালিমা বেগম বলেন, “গত সপ্তাহে আমার ভাইকে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করতে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে আসি। আসার পরেই দুইজন লোক জোর করে বাহিরে নিয়ে ক্লিনিকে ভর্তি করায়। পরে কৌশলে তাদের কাছ থেকে রেহাই পাই।”
‘সমাজ রুপান্তর সাংস্কৃতিক সংঘের’ সভাপতি ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, “ময়মনসিংহের ছয় জেলা ছাড়াও দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অনেকে এখানে সেবা নিতে আসেন। কিন্তু এক শ্রেণির দালালের কারণে গ্রাম থেকে আসা সহজ সরল মানুষগুলো প্রতারণার শিকার হচ্ছেন। এসব বন্ধে প্রশাসন কঠোর না হলে সেবার মান নিশ্চিত হবে না।”
র্যাব জানায়, আটকদের মধ্যে বেশ কয়েকজন একই অপরাধে একাধিক বার সাজা খেটে বের হয়ে আবার একই কাজ জড়াতেন। এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।