নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী:
রাজশাহী নগরীতে কয়েক ফোঁটা বৃষ্টি হলেই যেন জনদুর্ভোগ অনিবার্য হয়ে দাঁড়ায়। শহরের গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলোর রাস্তাগুলো দীর্ঘদিন ধরে বেহাল অবস্থায় পড়ে থাকলেও নেই কোনো কার্যকর সংস্কার উদ্যোগ।

বিশেষ করে নগরীর শালবাগান, সাহেববাজার, ভদ্রা মোড়, রেলগেট ও বাসস্ট্যান্ড এলাকার সড়কগুলোর অবস্থা অত্যন্ত নাজুক। সামান্য বৃষ্টিতেই এসব এলাকায় রাস্তা তলিয়ে যায়, গর্তের গভীরতা বোঝা না যাওয়ায় প্রায় প্রতিদিনই ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। মোটরসাইকেল, রিকশা কিংবা অটোরিকশা চালকরা প্রায়শই পড়ে গিয়ে আহত হচ্ছেন।

খানাখন্দে ভরা এই সড়কগুলোতে পানি জমে গেলে গর্তের গভীরতা বোঝা অসম্ভব হয়ে পড়ে। এতে করে যানবাহনের যান্ত্রিক ত্রুটি যেমন বাড়ছে, তেমনি ঘটছে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা। পথচারীদের চলাচলও হয়ে পড়ছে ঝুঁকিপূর্ণ।

রাজশাহীবাসীর অভিযোগ, গত ৫ আগস্টের পর থেকে সংশ্লিষ্ট সড়কগুলোতে কোনো ধরনের সংস্কার কাজ সম্পন্ন হয়নি। বিভিন্ন সময় সামান্য মেরামতের কাজ হলেও তা দীর্ঘস্থায়ী হয়নি, বরং কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই আগের অবস্থায় ফিরে গেছে।

স্থানীয় বাসিন্দা, ব্যবসায়ী এবং পরিবহন চালকরা বলেন,

“সড়কের এই অবস্থা কোনোভাবেই একটি বিভাগীয় শহরের সঙ্গে মানানসই নয়। প্রতিদিন অফিস বা স্কুলে যেতে দেরি হচ্ছে, জরুরি প্রয়োজনে বের হলেও গন্তব্যে পৌঁছানো অনিশ্চিত হয়ে পড়ছে।”

শহরের ট্রাফিক বিভাগ জানায়, বিশেষ করে রেলগেট ও বাসস্ট্যান্ড এলাকা দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার যানবাহন চলাচল করে। কিন্তু সড়কের গর্ত ও জলাবদ্ধতা যান চলাচলকে বাধাগ্রস্ত করছে, ফলে গুরুত্বপূর্ণ মোড়গুলোতে তৈরি হচ্ছে দীর্ঘ যানজট। এতে ব্যাহত হচ্ছে জরুরি পরিষেবাও।

রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের (রাসিক) সংশ্লিষ্ট বিভাগ বলছে, একাধিক উন্নয়ন প্রকল্প অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। তবে বর্ষা মৌসুম এবং বরাদ্দ সংকটের কারণে সংস্কার কাজ শুরু করা সম্ভব হয়নি।

তবে নাগরিক সমাজ বলছে, কাগজে-কলমে থাকা প্রকল্প নয়, দ্রুত বাস্তবসম্মত পদক্ষেপই এখন প্রয়োজন। শুধু প্রকল্প বা বরাদ্দের অজুহাতে বছরের পর বছর নাগরিকদের কষ্ট দেওয়া কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।