পাঁচ দিনব্যাপী কাত্যায়নী পূজা সোমবার ষষ্ঠীর মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে। সমাপনী হবে আগামী শুক্রবার।
সংগৃহিত
মাগুরায় শুরু হয়েছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ঐতিহ্যবাহী কাত্যায়নী পূজা। পূজা উপলক্ষে নির্মাণ করা হয়েছে ৯০ ফুট উচ্চতার একটি তোরণ। তা দেখতে ভীড় করছেন হাজারো মানুষ।
প্রতি বছর শারদীয় দুর্গাপূজার এক মাস পর মাগুরায় কাত্যায়নী পূজা অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। পাঁচ দিনব্যাপী এই পূজা সোমবার ষষ্ঠীর মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে। সমাপনী হবে আগামী শুক্রবার।
এ পূজা উপলক্ষে নতুন বাজার নিজনান্দুয়ালী সেতুর ওপর সুউচ্চ তোরণটি করা হয়েছে নিজনান্দুয়ালী নিতাই গৌর গোপাল সেবাশ্রমের উদ্যোগে।
নিতাই গৌর গোপাল সেবাশ্রম এর সেবায়েত চিন্ময়নন্দ দাস বলেন, “বড় আকারের তোরণ আমাদের কাত্যায়নী পূজার ঐতিহ্য। গত ১০ বছর লাইট বোর্ডের তোরণ নির্মাণ করা হতো। এবার আমরা আবার পুরোনো ঐতিহ্যে ফিরে গেছি। বাঁশ, কাঠ, কর্কশিট ও নানা রঙের কাপড় দিয়ে তোরণ ও প্যান্ডেল নির্মাণ করা হয়েছে। এবার এই তোরণ নির্মাণে সাড়ে তিন লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে।”
তোরণটি নির্মাণ করেছে স্থানীয় তরুণ ডেকরেটর। তাদের দাবি কাত্যায়নী পূজা ঘিরে এটি দেশের সবচেয়ে উচু তোরণ।
তরুণ ডেকরেটরের মালিক তরুণ ভৌমিক বলেন, “প্রায় এক মাস ধরে তোরণটির নির্মাণে কাজ করেছেন প্রায় ৪০জন শিল্পী ও শ্রমিক। তোরণটির কাঠামোয় ব্যবহৃত হয়েছে ৫৫০টি বাঁশ। ডিজাইন করেছেন খুলনার শিল্পী নিতাই বিশ্বাস। ”
ছানা বাবু বটতলা পূজা কমিটির নেতা অপূর্ব সাহা বলেন, “কাত্যায়নী পূজার সময় প্রতিবছর উৎসবের শহরে পরিণত হয় মাগুরা। এবারও গোটা শহরকে সাজানো হয়েছে বর্ণিল সাজে। এবারও পূজামণ্ডপ এলাকাসহ শহরের বিভিন্ন স্থানে তৈরি করা করা হয়েছে দৃষ্টিনন্দন তোরণ, প্যান্ডেল ও চোখ ধাঁধানো আলোকসজ্জা। রাতে পূজা মণ্ডপগুলোয় হাজারো মানুষের ঢল নামে।
তিনি বলেন, এ বছর জেলায় মোট ৯৩টি মন্ডপে কাত্যায়নী পূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তবে শহরে অনুষ্ঠিত ৮-১০টি পূজা মণ্ডপে জাঁকজমক পূর্ণভাবে এ পূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
এসব মণ্ডপ তৈরি করা হয়েছে প্রাচীন ইতিহাস ও ঐতিহ্যের স্থাপত্যকলার আদলে। কয়েকশ পটুয়াশিল্পী প্রায় এক মাস পরিশ্রম করে এসব প্রতিমা, মণ্ডপ ও পূজার আনুষঙ্গিক সাজসজ্জা করেছেন বলে জানান অপূর্ব সাহা।
পুলিশ সুপার মিনা মাহমুদা বলেন, পূজার নিরাপত্তার জন্য প্রতিটি মন্ডপে স্থায়ীভাবে পর্যাপ্ত পুলিশ আনসারসহ স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ করা হয়েছে। পুলিশ, র্যাব, সেনানাবাহিনীর বিশেষ টিমসহ যৌথ বাহিনী টহল দিচ্ছে। এ ছাড়া প্রতিটি মণ্ডপে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে।
