ফোনটিতে রয়েছে সাত হাজার পাঁচশ এমএএইচ ব্যাটারি, যাতে একটানা ১৩ ঘণ্টারও বেশি গেইম খেলা যাবে। ফোনের ডিসপ্লে প্যানেলটি এএমওএলইডি।
সংগৃহিত
এ বছরের নভেম্বরে উন্মোচিত হতে চলেছে বিশ্বের প্রথম লিকুইড কুলিং স্মার্টফোন।
৩ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রে উন্মোচিত হবে ‘রেডম্যাজিক ১১ প্রো ৩’ যেটি বিশ্বকে সত্যিকার অর্থেই অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেবে। নতুন এ স্মার্টফোনটি বিশেষভাবে মোবাইল গেইমারদের জন্য ডিজাইন করেছে চীনা স্মার্টফোন প্রস্তুতকারক ‘রেডম্যাজিক’।
‘রেডম্যাজিক ১১ প্রো ৩’ মূল বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এতে রয়েছে ‘স্ন্যাপড্রাগন ৮ এলিট জেন৫ সিস্টেম-অন-এ-চিপ’, যা মোবাইল ডিভাইসের জন্য বিশ্বের অন্যতম দ্রুততম চিপসেট। এতে রয়েছে ‘রেডকোর আর৪ ডেডিকেটেড গ্রাফিক্স চিপ’, যা স্মার্টফোনটির গেইমিং ও গ্রাফিক্স পারফরম্যান্স বাড়াতে সাহায্য করবে বলে প্রতিবেদনে লিখেছে প্রযুক্তি বিষয়ক সাইট স্ল্যাশগিয়ার।
তবে স্মার্টফোনটির সবচেয়ে উদ্ভাবনী বৈশিষ্ট্য হচ্ছে ‘বিশ্বের প্রথম গণ-উৎপাদিত লিকুইড কুলিং’ সিস্টেম, যেটি আসল কুলিং ফ্যানের সঙ্গে মিলিয়ে শক্তিশালী ফোনের প্রসেসরকে কার্যকরভাবে ঠান্ডা রাখে।
গেইমিং ও মিডিয়া প্রোডাকশনের মতো উচ্চ-তীব্রতা প্রসেসিংয়ের জন্য লিকুইড কুলিং সিস্টেম অনেক বছর ধরে পিসিতে ব্যবহৃত হচ্ছে। তবে ‘রেডম্যাজিক ১১ প্রো ৩’-এর আগে কেউ ফোনে লিকুইড কুলিং বা ফ্যান ব্যবহার করেনি।
এর আগে, ফোনে ভেপার চেম্বার কুলিং সিস্টেম ব্যবহৃত হয়েছে। কারণ পিসির তুলনায় স্মার্টফোনের সিপিইউ কম তাপ উৎপন্ন করে। ফলে ফোন সাধারণত প্যাসিভ কুলিং ব্যবহার করে, অর্থাৎ তাপ স্বাভাবিকভাবে ডিভাইসের বিভিন্ন অংশের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে।
এ কারণে ব্যবহারকারী যখন একসঙ্গে একাধিক হাই-ইন্টেনসিভ অ্যাপ চালান তখন ফোন গরম হয়ে যায়। এখন যেহেতু নতুন বিভিন্ন ফোনে শক্তিশালী প্রসেসরের সঙ্গে শক্তিশালী গ্রাফিক্স চিপও ব্যবহৃত হচ্ছে ফলে লিকুইড কুলিং প্রযুক্তি ফোনের জন্য অবধারিত বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর ‘রেডম্যাজিক ১১ প্রো ৩’ হচ্ছে সেই ধাপের প্রথম ফোন।
ফোনটিতে পিসি বা সার্ভারের মতো ‘অ্যাকুয়াকোর’ লিকুইড কুলিং সিস্টেম ব্যবহার করেছে ‘রেডম্যাজিক’-এর পেছনের কোম্পানি ‘নুবিয়া’, যা ফোনটিকে ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে। তাপ বের করার জন্য ২৪ হাজার আরপিএম ফ্যান রয়েছে ফোনের পেছনে, যা বাতাসের মাধ্যমে তাপ বের করে দেয়।
ফোনটির আকার তুলনামূলক পাতলা ও হালকা রেখেছে নুবিয়া। ফোনটির পুরুত্ব কেবল ৮ দশমিক ৯ মিমি এবং ওজন ২৩০ গ্রাম। নতুন আইফোন এয়ারের মতো পাতলা না হলেও এর ভেতরে থাকা শক্তিশালী হার্ডওয়্যারের পরিমাণ বিবেচনায় নিলে স্মার্টফোনটি যথেষ্ট কমপ্যাক্ট।
‘রেডম্যাজিক ১১ প্রো ৩’-এ রয়েছে সাত হাজার পাঁচশ এমএএইচ ব্যাটারি। কোম্পানির দাবি অনুসারে, ফোনটিতে একটানা ১৩ ঘণ্টারও বেশি গেইম খেলা যাবে। ফোনের ডিসপ্লে প্যানেলটি এএমওএলইডি, যা সাধারণ ওএলইডি স্ক্রিনের তুলনায় মোশন ব্লারের প্রভাব কমাবে। ফলে ব্যবহারকারীদের গেইম বা ভিডিও দেখা আরও মসৃণ হবে।
ফোনটির গ্লোবাল সংস্করণের দাম এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করেনি নুবিয়া। তবে ধারণা করা হচ্ছে, এর দাম চীনা সংস্করণের কাছাকাছি হবে। চীনে বেইস মডেলের ফোনটি (১২ জিবি র্যাম বাই ২৫৬ জিবি স্টোরেজ) বিক্রি হচ্ছে প্রায় ৭০০ ডলারে। ১৬ জিবি র্যাম বাই ৫১২ জিবি স্টোরেজ-এর দাম প্রায় ৮০০ ডলার।