বাঘাইড় মাছ বাংলাদেশ বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন ২০১২-এর ২ নম্বর তপশিলভুক্ত একটি সংরক্ষিত বন্যপ্রাণী।
সংগৃহিত
মানিকগঞ্জের শিবালয়ে পদ্মা নদী থেকে বিপন্ন প্রজাতির দুটি বাঘাইড় মাছ শিকার করেছে জেলেরা। পরে ১৯ কেজি ও ১২ কেজি ওজনের মাছ দুটি ৩৮ হাজার ৭৫০ টাকায় বিক্রি করেছেন তারা।
যদিও বাঘাইড় মাছ বাংলাদেশ বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন ২০১২-এর ২ নম্বর তপশিলভুক্ত একটি সংরক্ষিত বন্যপ্রাণী।
মহাবিপন্ন প্রজাতির এই মাছ শিকার, ক্রয়-বিক্রয় ও পরিবহন কিংবা দখল আইনত নিষিদ্ধ এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ। তবে আইনের তোয়াক্কা না করেই সারদেশেই চলছে বাঘাইড় শিকার ও কেনাবেচা।
মাছ ব্যবসায়ীরা বলেন, সোমবার রাতে শিবালয় উপজেলার মালুচি এলাকার পদ্মা নদীতে মধ্যরাতে জেলের জালে বাঘাইড় দুটি ধরা পড়ে।
পরে মঙ্গলবার সকালে হরিরামপুর উপজেলার ঝিটকা বাজারে মাছ দুটি কিনে নিয়ে আসেন বাল্লা এলাকার বাসিন্দা ও ঝিটকা বাজারের মাছ ব্যবসায়ী পঞ্চ নন্দ হালদার ও তার ছেলে তাপস হালদার।
পরে ১৯ কেজির মাছটি চারজন ভাগে কিনে নেন। আর সাড়ে ১২ কেজির মাছটি ঝিটকা বাজার হাসি মার্কেটের মালিক আব্দুল আলিম কিনে নেন।
মাছ ব্যবসায়ী পঞ্চ নন্দ হালদার বলেন, “আমি আর আমার ছেলে শিবালয় উপজেলার মালুচির পাশের পদ্মায় থেকে মাছ দুটি কিনে ঝিটকা বাজারে এনে বিক্রি করেছি।”
এ বিষয়ে মানিকগঞ্জ জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. সাইফুর রহমান বলেন, “বাঘাইড় মাছ ধরা পড়ার তথ্য নেই। আর বাঘাইড় মাছটিকে ফরেস্ট ডিপার্টমেন্ট থেকে বিপন্ন ঘোষণা করা হয়েছে। এটা ধরা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।”
