দক্ষিণ কোরিয়ায় বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে।
সংগৃহিত
চীনের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, ‘সংঘর্ষের মহড়া’ অনুশীলন করার জন্য চীনের কিছু এইচ-৬কে বোমারু বিমান সম্প্রতি তাইওয়ানের কাছে উড়েছে।
দক্ষিণ কোরিয়ায় বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। তার আগে রোববার রাতে ওই বোমারু বিমান ওড়ার কথা প্রচার করল চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত গণমাধ্যম।
এই প্রতিবেদনকে ‘প্রচারণার কৌশল’ হিসেবে অভিহিত করে তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এর নিন্দা করেছে।
রয়টার্স লিখেছে, চীন যাকে নিজস্ব ভূখণ্ড হিসেবে দেখে সেই তাইওয়ান দ্বীপটির চারপাশের আকাশে ও সাগরে নিয়মিত যুদ্ধবিমান ও যুদ্ধজাহাজ পাঠিয়ে টহল দেয়। কিন্তু চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত গণমাধ্যমের ওই প্রতিবেদনের পর দ্বীপটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় অস্বভাবিক কোনো তৎপরতার খবর দেয়নি।
চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিভিশনের সামরিক চ্যানেলের ওয়েইবো অ্যাকাউন্টে বলা হয়েছে, সম্প্রতি (কোনো তারিখ দেওয়া হয়নি) চীনের সামরিক বাহিনীর ইস্টান থিয়েটার কমান্ডের ইউনিটগুলো আকাশ অবরোধ ও নির্ভুলভাবে আঘাত হানার মতো ক্ষেত্রগুলোতে তাদের সক্ষমতা পরীক্ষার জন্য যুদ্ধমুখি প্রশিক্ষণ পরিচালনা করেছে।
নির্দিষ্ট স্থানের উল্লেখ না করে তারা বলেছে, “বেশ কয়েকটি জে-১০ যুদ্ধবিমান একটি র্নিধারিত আকাশসীমা লক্ষ্যস্থলের দিকে যুদ্ধ সাজে উড়ে গিয়েছিল আর অনেকগুলো এইচ-৬কে বোমারু বিমান তাইওয়ান দ্বীপের আশপাশের আকাশে ও জলসীমায় কৃত্রিম সংঘর্ষের মহড়া অনুশীলন করতে গিয়েছিল।”
চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিভিশনের প্রতিবেদনে প্রদর্শিত ভিডিওতে বোমারু বিমান থেকে বোমা ফেলতে দেখা গেছে।
এইচ-৬কে চীনের একটি কৌশলগত বোমারু বিমান। এটি পারমাণবিক অস্ত্র বহনে সক্ষম।
সোমবার স্থানীয় সময় সকালে আগের ২৪ ঘণ্টায় চীনের সামরিক তৎপরতার বিষয়ে নিজেদের দৈনিক বুলেটিনে তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, ওই সময়ের মধ্যে তাইওয়ান প্রণালীতে তিনটি চীনা যুদ্ধবিমান এবং তাইওয়ানের দক্ষিণপশ্চিম দিকে একটি সহায়ক সামরিক বিমানের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গিয়েছিল।
এ বিষয়ে মন্তব্যের জন্য রয়টার্সের করা অনুরোধে সাড়া দেয়নি চীনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।
