শনিবার রাত সোয়া ২টার দিকে লাগা আগুন দেড় ঘণ্টার চেষ্টায় নিয়ন্ত্রণে আনে ফায়ার সার্ভিস।
সংগৃহিত
বান্দরবানের থানচি উপজেলায় একটি বাজারে অগ্নিকাণ্ড হয়েছে। এতে পুড়ে গেছে অন্তত ১৩টি দোকান।
উপজেলার বলিপাড়া ইউনিয়নের বলিবাজারে শনিবার গভীর রাতে এ অগ্নিকাণ্ড ঘটে বলে থানচি থানা ফায়ার স্টেশনের ফায়ার লিডার পিয়ার মোহাম্মদ জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, “রাত সোয়া ২টার দিকে জরুরি নম্বরে কল পাওয়ার পরপরই আমরা বলিবাজারের উদ্দেশে রওনা দেই। আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নেভানো কাজ শুরু করি।
“দেড় ঘণ্টা পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। কিন্তু ততক্ষণে বাজারের ১৩টি দোকান পুড়ে যায়।”
স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা বলছেন, বাজারের একটি খাবারের হোটেল থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। মুহূর্তের মধ্যেই তা ছড়িয়ে পড়ে পাশের দোকানগুলোতে।
বাজার ব্যবসয়ী কমিটির সভাপতি অংসিংম্যা মারমা বলেন, “তখন রাত গভীর হওয়ায় সবাই ঘুমিয়ে ছিলাম। হঠাৎ করে বাজারের দক্ষিণ-পশ্চিম প্রান্ত থেকে হৈ চৈ শুনে দোকান থেকে বের হয়ে দেখি আগুন জ্বলছে।
“অনিল কান্দিদাশের মালিকানাধীন একটি খাবারের হোটেল থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে জানা গেছে।”
বাজারের পাশের পাড়ার (বাগান পাড়া) বাসিন্দা মংলুং মারমা বলেন, “হঠাৎ করে বাজার থেকে হৈ চৈ শুনে ঘর থেকে বের হয়ে দেখি আকাশে আগুনের শিখা। তখনই মোটরসাইকেল বের নিয়ে বাজারের দিকে চলে যাই।
“আশপাশের এলাকার আরও অনেকেই ছুটে এসে আগুনে নেভানোর চেষ্টা করে।”
আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হ্লায়ইচিং মারমা নামের এক কাপড় ব্যবসায়ী বলেন, “খুব দুর্ভাগ্য আমার। ২০২৩ সালেও একবার রাতে আগুনে পুড়ে প্রায় ৫০টি দোকান ভস্মীভূত হয়েছিল।
“এখন আবারও পুড়ল। এবারও মালামাল সরানোর সুযোগ পেলাম না।”
বলিপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান জিয়াঅং মারমা বলেন, “আগুনের ঘটনা জানার পরপরেই বাজারে এসেছি। এলাকার মানুষের সঙ্গে কথা বলেছি।
“আগুনে মোট ১৩টি দোকান পুড়ে গেছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরুপণ করে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা করার ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
২০২৩ সালের মে মাসে বলিবাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে অন্তত ৫০টি দোকানের পাশাপাশি বসত ঘরও পুড়ে গিয়েছিল। দেড় বছরের ব্যবধানে আবারও এ ঘটনা ঘটল।
