ট্রলারটিতে সারের কোনো মালিক বা বৈধ কাগজ পাওয়া যায়নি। কাউকে গ্রেপ্তার করাও সম্ভব হয়নি।
সংগৃহিত
নৌপথে দেশের বাইরে পাচারের সময় নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলায় প্রায় চারশ বস্তা ইউরিয়া সার আটক করেছে স্থানীয়রা।
খবর পেয়ে কৃষি বিভাগের লোকজনের উপস্থিতিতে পুলিশ, র্যাব একটি ট্রলারসহ সারগুলো জব্দ করে বলে শনিবার দুপুরে জানিয়েছেন সুবর্ণচর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হারুন অর রশিদ।
তবে এ সময় ট্রলারটিতে সারের কোনো মালিক বা বৈধ কাগজ পাওয়া যায়নি। কাউকে গ্রেপ্তার করাও সম্ভব হয়নি।
কৃষি কর্মকর্তা হারুন বলেন, শুক্রবার রাতে মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের বরই তোলা এলাকায় জামাল মাঝির ট্রলারে প্রায় চারশ বস্তা সার একত্রিত করে স্থানীয় কিছু ব্যক্তি। ধারণা করা হচ্ছে মিয়ানমারে পাচারের জন্য তারা সারগুলো ট্রলার বোঝাই করে।
স্থানীয় লোকজন ট্রলারটি আটকে রেখে প্রশাসনকে বিষয়টি অবহিত করে। প্রশাসনের লোকজন আসার খবর পেয়ে পাচারকারীরা পালিয়ে যায়।
স্থানীয়রা জানায়, মিয়ানমারে প্রতি বস্তা সারের মূল্য ৮ থেকে ৯ হাজার টাকা হওয়ায় বিভিন্ন সময় নোয়াখালী ও লক্ষীপুরে সীমান্তবর্তী মেঘনা নদী দিয়ে সার পাচারের ঘটনা ঘটে।
এর আগে গত ১৮ সেপ্টেম্বর হাতিয়া, সুবর্ণচর ও রামগতি উপজেলা প্রশাসন সমন্বিতভাবে অভিযান চালিয়ে হাতিয়া ও রামগতি উপজেলার সংযোগস্থল তেগাছিয়া বাজার এলাকা থেকে ৩৭০ বস্তা এবং হাতিয়ার টাংকির ঘাট এলাকা থেকে ৩০০ বস্তা ইউরিয়া সার ও দুটি ট্রাক জব্দ করেছিল।
চরজব্বার থানার ওসি শাহীন মিয়া জানান, জব্দ করা সারগুলো স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের জিম্মায় রাখা হবে। এ ঘটনায় উপজেলা কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
