“কৃষি, স্বাস্থ্য, তথ্যপ্রযুক্তি, নবায়নযোগ্য শক্তি এবং জলবায়ু অভিযোজনের মতো খাতে বাংলাদেশ ইতোমধ্যে বিজ্ঞানভিত্তিক নীতি গ্রহণ করে প্রশংসনীয় অগ্রগতি অর্জন করেছে,”বলেন তিনি।
সংগৃহিত
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সঙ্গে শিল্পের যাতে নিবিড় সম্পর্ক থাকে—এমন কর্মপরিবেশ দেখতে চান শিক্ষা উপদেষ্টা চৌধুরী রফিকুল আবরার।
তিনি বলেছেন, “প্রতিভা বিকাশের জন্য এমন একটি পরিবেশ তৈরি করতে হবে যেখানে স্কুল, বিশ্ববিদ্যালয়, গবেষণা প্রতিষ্ঠান ও শিল্পখাত একে অপরের সঙ্গে সংযুক্ত থাকবে। বিজ্ঞান শুধু পরীক্ষাগারের বিষয় নয়; এটি সমাজ পরিবর্তনের শক্তি, মানবকল্যাণের পথ।”
শনিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি কমপ্লেক্সে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। বাংলাদেশ বিজ্ঞান একাডেমী-অধ্যাপক এমেরিটাস ডা. সুলতান আহমেদ চৌধুরী ট্যালেন্ট নার্চার ফান্ড বৃত্তি প্রদান উপলক্ষে এ অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়।
জ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রতিযোগিতা বর্তমান বিশ্বের প্রধান প্রতিযোগিতা মন্তব্য করে সি আর আবরার বলেন, “কৃষি, স্বাস্থ্য, তথ্যপ্রযুক্তি, নবায়নযোগ্য শক্তি এবং জলবায়ু অভিযোজনের মতো খাতে বাংলাদেশ ইতোমধ্যে বিজ্ঞানভিত্তিক নীতি গ্রহণ করে প্রশংসনীয় অগ্রগতি অর্জন করেছে।”
অধ্যাপক এমেরিটাস সুলতান আহমেদ চৌধুরীকে স্মরণ করে শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, “ডা. সুলতান আহমেদ চৌধুরী চিকিৎসা-বিজ্ঞান ও শিক্ষাক্ষেত্রে এক উজ্জ্বল নক্ষত্র। তার মানবিকতা ও দৃষ্টিভঙ্গি আমাদের তরুণ বিজ্ঞানীদের জন্য চিরন্তন অনুপ্রেরণা।”
তরুণ বৃত্তিপ্রাপ্তদের উদ্দেশে শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, “এই বৃত্তি শুধুমাত্র একটি পুরস্কার নয়; এটি এক প্রজন্মে বিনিয়োগ, যারা আগামী দিনের বাংলাদেশকে এগিয়ে নেবে। তোমরা ব্যক্তিগত সাফল্যের প্রতীক নও, বরং বাংলাদেশের বৈজ্ঞানিক ভবিষ্যতের আশার প্রতীক।”
বাংলাদেশ বিজ্ঞান একাডেমির সভাপতি জহুরুল করিমের সভাপতিত্বে বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক এমেরিটাস সুলতান আহমেদ চৌধুরী ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন জাকিয়া রউফ চৌধুরী।
