“শুল্ক ছাড়ের খবর আশাব্যঞ্জক হলেও এটি আত্মতুষ্টির কোনো জায়গা তৈরি করে না। এটি একটি সুযোগ; একই সঙ্গে সতর্কবার্তাও,” বলেন অধ্যাপক সেলিম রায়হান।
Published : 02 Aug 2025, 12:03 AM
বাংলাদেশি পণ্য আমদানিতে সম্পূরক শুল্ক কমিয়ে আনার যে ঘোষণা যুক্তরাষ্ট্র দিয়েছে, তা ‘স্বল্প মেয়াদের স্বস্তি’ হিসেবে দেখছেন কোনো কোনো বিশ্লেষক।
তারা বলছেন, এ ধরনের সম্পূরক শুল্কের মুখে বাংলাদেশের রপ্তানি খাতকে ভবিষ্যতেও পড়তে হতে পারে। এজন্য সুনির্দিষ্ট পণ্য ও একক বাজারের নির্ভরতা থেকে বেরিয়ে আসার কথা বলছেন তারা।
বাজার সম্প্রসারণের পরামর্শ দিয়ে তারা বলছেন, বিভিন্ন দেশের সঙ্গে দর কষাকষিতে ঢাকাকে তার ‘কৌশলগত ভৌগোলিক’ অবস্থানও কাজে লাগাতে হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে হওয়া ‘সমঝোতার’ প্রভাব অন্যান্য দেশের সঙ্গে বাণিজ্যের ক্ষেত্রে কতটা প্রভাব ফেলতে পারে, সেই হিসাব কষার পরামর্শও এসেছে বিশ্লেষকদের কাছ থেকে।
টানা তিন মাসের দর কষাকষির পর বৃহস্পতিবার বাংলাদেশি পণ্যের সম্পূরক শুল্ক ৩৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২০ শতাংশ করার ঘোষণা দেয় যুক্তরাষ্ট্র।
একই সঙ্গে বাংলাদেশের প্রতিযোগী দেশ ভারতের ওপর ২৫ শতাংশ, পাকিস্তান, ইন্দোনেশিয়া ও কম্বোডিয়া ১৯ শতাংশ এবং ভিয়েতনামের উপর ২০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপ করে ট্রাম্প প্রশাসন।
এতদিন বাংলাদেশি পণ্যের ওপর গড়ে ১৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এখন নতুন করে ২০ শতাংশ যোগ হওয়ায় তা গড়ে দাঁড়াবে ৩৫ শতাংশ।
বিশ্ব ব্যাংকের ঢাকা কার্যালয়ের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ জাহিদ হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ‘‘এক দিকে সাফল্য এসেছে আমাদের। বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য ঘাটতি কমানোর উদ্যোগে তারা ছাড় দিয়েছে বাংলাদেশকে। সামনের দিনে হয়ত এ সুযোগ আর থাকবে না।
“বাংলাদেশের পোশাক খাতের শ্রম পরিবেশ ও স্বচ্ছতা আনার যেসব শর্ত দিয়েছে, তা কিন্তু ভবিষ্যতে মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারে, এখানে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে।’’
তিনি বলেন, ‘‘শুধু একটি পণ্যের ওপর রপ্তানি খাত নির্ভরশীল বাংলাদেশের। রপ্তানিতে পণ্য বহুমুখীকরণে জোর দিতে পারলে ভবিষ্যতে সুবিধা হবে। এজন্য অর্থনৈতিক কূটনীতিতে আরও দক্ষতা দেখাতে হবে ভবিষ্যতে।”

ছবি: রয়টার্স।
‘স্বল্প মেয়াদের স্বস্তি’
বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান— সানেমের নির্বাহী পরিচালক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক সেলিম রায়হান মনে করেন, মার্কিন শুল্ক আরোপের ঘটনা থেকে বাংলাদেশকে কিছু বিষয়ে ‘শিক্ষা’ নিতে হবে।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “শুল্ক ছাড়ের খবর আশাব্যঞ্জক হলেও এটি আত্মতুষ্টির কোনো জায়গা তৈরি করে না। বরং এটি একটি সুযোগ এবং একই সঙ্গে সতর্কবার্তাও। বাংলাদেশকে এখনই কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে, যেন একটি বৈচিত্র্যময়, প্রতিযোগিতামূলক ও সহনশীল বাণিজ্য কৌশল প্রতিষ্ঠা করা যায়।”
তিনি বলেন, “এই অভিজ্ঞতা বাংলাদেশের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা হিসেবে কাজ করবে। দেশের বৈদেশিক বাণিজ্য কাঠামোতে আরও বেশি স্থিতিশীলতা ও সহনশীলতা তৈরি করা এখন সময়ের দাবি।”
অধ্যাপক সেলিম রায়হানের পরামর্শ হলো, বাংলাদেশকে রপ্তানি পণ্যের বৈচিত্র্য ও নতুন বাজারে প্রবেশের প্রচেষ্টা জোরদার করতে হবে। একটি সংকীর্ণ পণ্যভিত্তিক এবং কিছু নির্দিষ্ট গন্তব্যনির্ভর রপ্তানি কাঠামো, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের ওপর অতিনির্ভরতা দেশের অর্থনীতিকে ‘অপ্রয়োজনীয়’ ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দেবে।
“বাণিজ্য, কর ও বিনিয়োগ নীতিতে কার্যকর সংস্কার প্রয়োজন, যেন প্রতিযোগিতা বাড়ে এবং দীর্ঘমেয়াদে বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট হয়।”
তিনি বলেন, “বাংলাদেশের এখন এশিয়া, আফ্রিকা ও লাতিন আমেরিকার উদীয়মান অর্থনীতিগুলোর সঙ্গে লক্ষ্যভিত্তিক মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি অনুসন্ধান করা উচিত। এ ধরনের চুক্তি ভবিষ্যতের সংরক্ষণবাদী চাপ থেকে সুরক্ষা দিতে পারে এবং বিকল্প রপ্তানি প্রবাহ তৈরি করতে সহায়ক হতে পারে।”
শুল্ক কমে আসার খবর ‘ইতিবাচক’ মন্তব্য করে তিনি বলেন, “নতুন শুল্ক হারের কারণে পোশাক খাতের রপ্তানিতে বড় ধরনের বিঘ্ন ঘটার ঝুঁকি কমে যাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।”
তবে শুল্কে ছাড় পাওয়ার বিনিময়ে বাংলাদেশকে কী কী দিতে হয়েছে, সেই প্রশ্নও তোলেন এ বিশ্লেষক।
তিনি বলেন, “যদিও এই শুল্ক ছাড় স্বল্পমেয়াদে স্বস্তি এনে দিয়েছে, তবুও এটি এ প্রশ্নও সামনে আনে যে, বাংলাদেশ এর বিনিময়ে যুক্তরাষ্ট্রকে কী দিয়েছে। যুক্তিসঙ্গতভাবে বলা যায় যে, সংবেদনশীল কিছু প্রতিশ্রুতি হয়ত গোপনীয়তা চুক্তির আওতায় দেওয়া হয়েছে, যা নিকট ভবিষ্যতে জনসম্মুখে আসার সম্ভাবনা নেই। এই পরিস্থিতি বাংলাদেশের বাণিজ্য কূটনীতিতে অধিক স্বচ্ছতা, নজরদারি ও দীর্ঘমেয়াদি কৌশলগত পরিকল্পনার প্রয়োজনীয়তা স্পষ্টভাবে তুলে ধরে।”

‘স্বস্তিতে’ খাতের উদ্যোক্তারা
বাংলাদেশের রপ্তানি বাজারের ৮৩ শতাংশই তৈরি পোশাক খাতের। তার মধ্যে একক দেশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রে যায় ১৭ শতাংশ।
বড় এই বাজার ধরে রাখতে পাল্টা শুল্কারোপ ৩৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২০ শতাংশে নামিয়ে আনাকে কূটনৈতিক সফলতা হিসেবে দেখছেন বাংলাদেশ গার্মেন্টস প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলোর সমিতি— বিজিএমইএ সভাপতি মাহমুদ হাসান খান বাবু।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, ‘‘বড় স্বস্তির সংবাদ। আমাদের দুশ্চিন্তা কমল। এটা সরকারের একটা বড় কূটনৈতিক সফলতা। আমাদের ইন্ডাস্ট্রির জন্য ভালো খবর।”
তিনি বলেন, “প্রতিযোগী দেশের তুলনায় আমাদের অবস্থান এখনো ভালো। পাকিস্তানের শুল্কহার ১৯ শতাংশ করেছে, তারাও হোমটেক্সটাইল রপ্তানি করে যুক্তরাষ্ট্রে। তারপরও এক শতাংশের জন্য আমাদের হোম টেক্সটাইল বাজারের ওপর কোনো প্রভাব ফেলবে না।”
সুরমা গার্মেন্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও বিজিএমএই পরিচালক ফয়সাল সামাদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ‘‘এখন আমাদের আসল কাজটি শুরু। আমাদের এখন ক্রেতাদের সঙ্গে নতুনভাবে দর কষাকষি করতে হবে এবং খরচ, সুযোগ ও সম্প্রসারণের একটি দীর্ঘমেয়াদী রোডম্যাপ তৈরি করতে হবে। সেটা করতে হবে বিশ্বের সবচেয়ে বড় বাজারে প্রবেশের উদ্দেশ্যে।‘’
বিকেএমইএর নির্বাহী সভাপতি ফজলে শামীম হাসান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “চীন বাদে অন্য দেশগুলোর জন্য প্রায় সমান হারে শুল্ক নির্ধারণ করা একটি ইতিবাচক সিদ্ধান্ত। তবে এতে পণ্যের মূল্য কিছুটা বাড়তে পারে, যা বিক্রি কমে যাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি করবে।
‘‘তবে আমাদের প্রতিদ্বন্দ্বী দেশগুলোর জন্য শুল্কের হার প্রায় একই রকম বা তার চেয়ে বেশি হওয়ায় এ মুহূর্তে শক্তিশালী দর কষাকষিই একমাত্র উপায়।’’
চীনের শুল্ক কত হবে
যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে সবচেয়ে বেশি যায় তৈরি পোশাক। দেশটির পোশাক বাজারে বছরে প্রায় ৮০০ কোটি ডলার রপ্তানি করা বাংলাদেশের অবস্থান তৃতীয়। ভিয়েতনামকে দ্বিতীয় অবস্থানে রেখে সব সময় প্রথমে থাকে চীন।
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য যুদ্ধের কারণে চলতি বছরের প্রথম পাঁচ মাসে দেশটিতে চীনের রপ্তানি কমেছে ১০ শতাংশ পয়েন্ট।
প্রতিযোগী দেশগুলোর ওপর ট্রাম্প প্রশসান শুল্ক বসালেও চীনের ক্ষেত্রে তা পিছিয়ে দেওয়া হয় তিন মাস।
আগামী অক্টোবরে শি জিনপিং ও ডনাল্ড ট্রাম্পের বৈঠক হওয়ার কথা। সেখানেই শুল্ক সিদ্ধান্ত হতে পারে। চীনের কাঁচামালে তৈরি পণ্যেও মার্কিন শুল্ক প্রযোজ্য হতে পারে বলে গুঞ্জন রয়েছে।
সেক্ষেত্রে চীনের শুল্কারোপ দেখলেই রপ্তানি বাজার কতটুকু বাড়তি সুবিধা পেতে পারে, তা বোঝা যাবে বলে মনে করেন সেলিম রায়হান।
চীনের শুল্কহার শুধু বাংলাদেশ নয়, বৈশ্বিক বাণিজ্যের গতি প্রকৃতিতে নতুন আকার দিতে পারে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘‘বৈশ্বিক বাণিজ্যের পরিবেশ নিয়ে একটি উল্লেখযোগ্য অনিশ্চয়তা এখনো রয়ে গেছে— চীনের ওপর শুল্কহার এখনও চূড়ান্ত হয়নি।”

ভূমিকা রাখতে পারে ভৌগোলিক অবস্থান
বিশ্ব রাজনীতিতে প্রায়ই এক দেশের সঙ্গে বাণিজ্য বাড়াতে গিয়ে আরেক দেশের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্কে টানাপড়েন তৈরি হয়। এ কারণে বাণিজ্য ও নিরাপত্তা ইস্যুতে বড় দেশের সঙ্গে বোঝাপড়ায় ভারসাম্য রাখার পরামর্শ বিশ্লেষকদের।
যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি বাড়িয়ে শুল্ক সমাধানে আরেক বড় অর্থনীতির দেশ চীনের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখতে ‘স্মার্ট’ কূটনীতির কথা বললেন নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ ও সেনাবাহিনীর সাবেক কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মাহফুজুর রহমান।
সিঙ্গাপুরের উদাহরণ দিয়ে তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ‘‘সিঙ্গাপুরের মতো ছোট্ট একটা দেশ চীনের সঙ্গে বছরে ১৭ হাজার ১০০ কোটি ডলারের বাণিজ্য করে। সেই দেশটি আবার যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সিকিউরিটি ইস্যুতে অত্যন্ত ভালো সম্পর্ক রেখেছে।’’
সেই ভারসাম্য তৈরিতে ‘বে অব বেঙ্গলের’ সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও কৌশলগত অবস্থানে থাকা বাংলাদেশকে ভৌগোলিক অবস্থানের বিষয়টি সামনে আনার পরামর্শ তার।
বাংলাদেশের প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমারের সঙ্গে চীনের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। চীনের জ্বালানি ব্যবস্থায় মিয়ানমারকে ‘লাইফলাইন’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
এজন্য এ অঞ্চলের যেকোনো প্রয়োজন বা স্বার্থের জন্য যুক্তরাষ্ট্র, চীন বা যেকোনো রাষ্ট্রকে বাংলাদেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখতে হবে।
এই সুবিধাজনক অবস্থানকে বাণিজ্য, নিরাপত্তা বা কূটনৈতিক অঙ্গনে কার্যকর দর কষাকষির উপাদানে পরিণত করতে বাংলাদেশের সামাজিক ও রাজনৈতিক মহলকে জাতীয় স্বার্থে একাট্টা হওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।
মাহফুজুর রহমান বলেন, ‘‘আমরা যদি শুধু কৌশলগত বিষয়টি সামনে এনে দর কষাকষি করতে পারি, তাহলে বড় দেশগুলোর সঙ্গে একটি ভারসাম্যপূর্ণ সম্পর্ক ধরে রাখতে পারব। এজন্য রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলো শক্তিশালী করার পাশাপাশি জনগণ, রাজনৈতিক দল ও সামাজিক শক্তিগুলোর মধ্যে এক ধরনের বোঝাপড়া থাকতে হবে ঐক্যর ভিত্তিতে।’’
এই ঐক্য দেশকে কূটনৈতিক বোঝাপড়ায় শক্তি যোগাবে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘‘বড় দেশগুলো তাদের মতো করে চাইবে। কিন্তু আমাদের দেখতে হবে, বুঝতে হবে, তারপর তাদের সঙ্গে দেনদরবার করে চলতে হবে। এশিয়ার যে দেশগুলো এভাবে চলছে, তারা কিন্তু ভালো অবস্থানে যাচ্ছে।”
যত উদ্যোগ বাংলাদেশের
শুল্ক আরোপ যতটা সম্ভব কমিয়ে আনার উদ্যোগ হিসেবে মার্কিন কোম্পানি বোয়িংয়ের কাছ থেকে ২৫টি উড়োজাহাজ কেনার আদেশ দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। যুক্তরাষ্ট্র থেকে গম, সয়াবিন তেল ও তুলা কেনা বাড়ানোর ঘোষণাও এসেছে।
ট্রাম্প দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় বসার পর গত ২ এপ্রিল শতাধিক দেশের ওপর চড়া হারে শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেন। বাংলাদেশের ওপর তখন বাড়তি ৩৭ শতাংশ শুল্কের ঘোষণা আসে।
এ নিয়ে উদ্বেগের মধ্যে সম্পূরক শুল্ক পুনর্বিবেচনা করতে ডনাল্ড ট্রাম্পকে চিঠি পাঠান প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস। চিঠিতে শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্ত তিন মাস স্থগিত রাখার অনুরোধ করা হয়। তাতে রাজি হয়েছিলেন ট্রাম্প।
এই তিন মাস সময় ট্রাম্প মূলত দিয়েছিলেন আলোচনার জন্য। বাংলাদেশের তরফ থেকেও সে বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়া হয়। ৬২৬টি পণ্যে শুল্ক ছাড়ের ঘোষণা দেওয়া হয় জাতীয় বাজেটে।