ট্রাম্প দ্বিতীয় মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষমতায় আসার পর এটিই হতে চলেছে চীনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে তার প্রথম মুখোমুখি বৈঠক।
সংগৃহিত
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প এবং চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের মধ্যে অবশেষে বহু প্রতীক্ষিত বৈঠক অনুষ্ঠানের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে হোয়াইট হাউজ।
আগামী ৩০ অক্টোবর দক্ষিণ কোরিয়ায় হতে চলেছে এই বৈঠক। এশিয়া-প্যাসিফিক ইকোনমিক কো-অপারেশন (এপেক) সম্মেলনের ফাঁকে হবে এই দ্বিপক্ষীয় বৈঠক।
ট্রাম্প দ্বিতীয় মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষমতায় আসার পর এটিই হতে চলেছে দুই নেতার মধ্যে প্রথম মুখোমুখি বৈঠক।
শি এবং ট্রাম্পের মধ্যে বৈঠক করা নিয়ে কয়েক সপ্তাহ ধরেই কাজ চলছিল। কিন্তু বিশ্বের দুই বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বাণিজ্য উত্তেজনা বেড়ে যাওয়ায় বৈঠক নিয়ে সংশয় দেখা দেয়।
এর মধ্যেই ট্রাম্প হুমকি দেন, চীন বিরল খনিজ রপ্তানির ওপর কঠোর বিধিনিষেধ তুলে না নিলে নভেম্বর থেকে চীনা পণ্যের ওপর অতিরিক্ত ১০০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হবে।
অতিরিক্ত শুল্ক প্রকোপ এড়ানোর জন্য ট্রাম্পের বক্তব্য ছিল, আগামী ১ নভেম্বরের মধ্যে বৈঠকে বসতে হবে। পাল্টা চীনও বার্তা দিয়েছিল আলোচনায় বসার। চীনের বাণিজ্যমন্ত্রী গত শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনার বিষয়ে আশাবাদ দেন।
অবশেষে দুই দেশের প্রেসিডেন্টের মুখোমুখি দেখা হতে চলেছে আগামী সপ্তাহে। বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউজের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিট এই বৈঠকের কথা নিশ্চিত করে জানিয়েছেন।
এশিয়া-প্যাসিফিক ইকোনমিক কো-অপারেশন (এপেক) সম্মেলন চলবে ৩১ অক্টোবর থেকে ১ নভেম্বর পর্যন্ত দক্ষিণ কোরিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় শহর গিয়ংজুতে।
এই সম্মেলনের ফাঁকে চীনের প্রেসিডেন্ট শি এর সঙ্গে বৈঠক সেরে নেওয়ার বিষয়টি নিয়ে ট্রাম্প একদিন আগে সাংবাদিকদের বলেন, “আমাদের বেশ দীর্ঘ বৈঠকের সময়সূচি রয়েছে। আমরা অনেক প্রশ্ন ও সংশয় দূর করতে পারব। আমি মনে করি, কিছু না কিছু সমাধান অবশ্যই হবে।”
যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের সম্পর্ক ‘খুব ভাল’ বলেও দাবি করেন তিনি। অবেশেষে সামনে এল সমাধানের লক্ষ্যে দুই দেশের প্রেসিডেন্টের বৈঠকের দিনক্ষণ।
