বিগত তিনটি নির্বাচনে প্রহসন হয়েছে। ১৫ বছরের কর্মকর্তারা ১৫ মাসে সংশোধিত হবেন না, বলেন তিনি
সংগৃহিত
‘প্রশ্নবিদ্ধ ও বিতর্কিত কর্মকতাদের’ আগামী নির্বাচনে ভোটগ্রহণের দায়িত্বে চায় না বিএনপি, নির্বাচন কমিশনকে তারা এ বিষয়ে সতর্ক থাকার কথা বলেছেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান।
বৃহস্পতিবার সকালে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠকে করে এ বিষয়ে সতর্ক থাকতে বলার বিষয়টি সাংবাদিকদের বলেছেন তিনি।
আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সিইসির সঙ্গে বিএনপির প্রতিনিধি দলের প্রায় দুই ঘন্টার এই বৈঠক শেষে মঈন খান বলেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রায় ১০ লাখ লোকবল দরকার পড়ে।
“বিতর্কিত যারা, প্রশ্নবিদ্ধ যারা রয়েছেন; তাদের বিষয়ে নির্বাচন কমিশনকে অত্যন্ত সতর্ক থাকতে হবে এটা ছিল আমাদের আলোচনার একটি মূল বিষয়।”
ভোটের পরিবেশ, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, নির্বাচন কমিশন-ইসির প্রতি আস্থা ও গণভোট নিয়েও বৈঠকে আলোচনা করেছেন বিএনিপির প্রতিনিধিরা।
দলের প্রতিনিধিদের মধ্যে ছিলেন চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ইসমাইল জবিউল্লাহ ও ইসির সাবেক অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ জকরিয়া। এ তিনজন বিএনপি নির্বাচন কমিশন বিষয়ক কমিটির সদস্য।
মঙ্গলবার সন্ধায় বিএনপির সঙ্গে বৈঠক করেন অন্তর্বর্তী সরকারেরর প্রধান। আর বুধবার এনসিপির সঙ্গে বৈঠক শেষে সন্ধ্যা ৬টায় জামায়াতে ইসলামীর প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি।
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে অন্তর্বর্তী সরকারকে ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আদল’ দেওয়ার দাবি জানিয়েছে বিএনপি।
জামায়াতের তরফে জাতীয় নির্বাচনের আগেই গণভোট আয়োজনের দাবি জানানো হয়। আর এনসিপি বর্তমান নির্বাচন কমিশনের প্রতি তাদের অনাস্থা কথা প্রধান উপদেষ্টাকে বলেছেন। এ ছাড়া জুলাই সনদ বাস্তবায়নের আগে তত্ত্বাবধায়কের সরকারের বিরোধিতা এসেছে তাদের কাছে থেকে।
এমন প্রেক্ষাপটে বিএনপি প্রতিনিধি দলটি প্রধান নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠক করল।
বৈঠক শেষে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মঈন খান বলেন, বিগত তিনটি নির্বাচনে প্রহসন হয়েছে। ১৫ বছরের কর্মকর্তারা ১৫ মাসে সংশোধিত হবেন না। বাস্তবতা বিবেচনা করে এগোতে হবে।
“এদেশে একটি সুষ্ঠ নিরপেক্ষ নির্বাচন যাতে হয় এবং সেই গুরু দায়িত্ব আজকের নির্বাচন কমিশনের উপরে রয়েছে বলেই আজকে আমরা এই আলোচনায় এসেছি।
“একটি সুষ্ঠ নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে হলে যে বিষয়টি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, যে দায়িত্বটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, সেটা হচ্ছে নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব। শুধু এই পাঁচজন করতে পারবেন না এবং এর জন্য যে বিশাল একটি জনবল যেটা লাগবে, কমপক্ষে ১০ লাখ লোকের প্রয়োজন হবে নির্বাচনের।”
