“কাঁকড়া ধরার এক পর্যায়ে খলিল চাচা অসুস্থ হয়ে পড়েন। লোকালয়ে ফেরার পথে তিনি মারা যান।”
সুন্দরবনে কাঁকড়া আহরণে গিয়ে এক জেলের মৃত্যু হয়েছে। তার মরদেহ লোকালয়ে আনা হয়েছে।
বন বিভাগের কদমতলা স্টেশন কর্মকর্তা সোলাইমান হোসেন জানান, রোববার রাতে সুন্দরবনের সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার ফিরিঙ্গি নদীর কুকুমারী এলাকায় তার মৃত্যু হয়। সোমবার তার মরদেহ লোকালয়ে আনা হয়।
মৃত ৬০ বছর বয়সী খলিল মোল্লা সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়নের হরিনগরের ছোট ভেটখালী গ্রামের আক্কাস মোল্লার ছেলে।
প্রায় ৩৫ থেকে ৪০ বছর ধরে তিনি সুন্দরবনে মাছ-কাঁকড়া আহরণ করে জীবিকা নির্বাহ করছিলেন।
বন কর্মকর্তা সোলাইমান বলেন, “খলিলসহ তিনজন একটি নৌকায় বৈধ পাস-পারমিট নিয়ে সুন্দরবনের কাঁকড়া আহরণ করতে গিয়েছিলেন। পরে পাস-পারমিট স্টেশনে জমা দেওয়ার সময় জানানো হয়, তাদের মধ্যে একজন জেলে স্ট্রোক করে মারা গিয়েছে।”
খলিলের প্রতিবেশী শামীম মোড়ল বলেন, গত ১৭ অক্টোবর বন বিভাগের কদমতলা স্টেশন থেকে পাস-পারমিট নিয়ে খলিল মোল্লা, আলামিন, মোড়ল ও নূর হোসেন ছোট একটি নৌকায় কাঁকড়া ধরতে ফিরিঙ্গি নদীর কুকুমারী এলাকায় যান।
রোববার সন্ধ্যায় সাড়ে ৬টার দিকে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন খলিল। সেখান থেকে তাকে নিয়ে লোকালয়ে ফেরার জন্য রওনা হলেও পথে তার মৃত্যু হয়।
পরে লাশ লোকালয়ে এনে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয় বলে জানান তিনি।
খলিল মোল্লার সঙ্গী আল-আমিন মোড়ল বলেন, “কাঁকড়া ধরার এক পর্যায়ে হঠাৎ খলিল চাচা অসুস্থ হয়ে পড়েন। আমি আশপাশের জেলেদের ডাকলে তারা নৌকা নিয়ে আসেন। পরে লোকালয়ে ফেরার পথে তিনি মারা যান।”
