কয়েকজন ‘ইন্টার্ন চিকিৎসক ও বহিরাগত লোক’ দায়িত্ব পালনের সময় ওই নার্সের ওপর হামলা করেন বলে অভিযোগ করেছে নার্সদের সংগঠন।
হতে সংগৃহিত
ঢাকার শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের একজন সিনিয়র স্টাফ নার্সের ওপর হামলার প্রতিবাদ এবং এ ঘটনায় জড়িতদের শাস্তি দাবি করেছে বাংলাদেশ নার্সেস অ্যাসোসিয়েশন (বিএনএ)।
বৃহস্পতিবার সংগঠনের সভাপতি মো. শরিফুল ইসলাম ও মহাসচিব মো. আসাদুজ্জামান সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ প্রতিবাদ করেন।
এতে অভিযোগ করা হয়, বুধবার বেলা সাড়ে ৩টার দিকে সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৪২১ নম্বর ওয়ার্ডে সিনিয়র স্টাফ নার্স কামরুল হাসান কাজ করার সময় তার ওপর কয়েকজন ‘ইন্টার্ন চিকিৎসক ও বহিরাগত লোক’ হামলা করেন। তারা কামরুলকে মারতে মারতে পরিচালকের কক্ষে নিয়ে যায়। সেখানে পরিচালক এবং অন্যান্য কর্মকর্তার সামনেই কামরুলকে আবার কিল-ঘুষি, চড়-থাপ্পড় মারা হয়।
বিএনএ বলছে, এ ঘটনার পর বেশ কিছু সময় অতিবাহিত হলেও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ প্রশাসনিক ও আইনগত কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।
“যা অত্যন্ত নিন্দনীয় ও জঘন্য কর্মকাণ্ড এবং কর্মরত নার্সদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হাসপাতালের প্রশাসনের শুধু ব্যর্থতাই নয়, সন্ত্রাসীদের আরও বেশি উৎসাহিত করছে বলে আমরা মনে করছি। এই ন্যাক্কারজনক হামলায় জড়িত চিহ্নিত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ও আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণে দেরির কারণে চিকিৎসক, নার্স ও অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীদের মধ্যে সহাবস্থান বিনষ্টের মাধ্যমে হাসপাতালের স্বাভাবিক সেবা ব্যাহত হওয়ার যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে। প্রশাসনের এই কালক্ষেপনের তীব্র প্রতিবাদ ও ক্ষোভ জানাচ্ছি।”
প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের
এদিকে ওই নার্সকে মারধরের ঘটনা নিয়ে বৃহস্পতিবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম এ প্রকাশিত “‘মারধর’, সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে নার্সদের কর্মবিরতি” শীর্ষক সংবাদের প্রতিবাদ করেছে শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল প্রশাসন।
এদিন ওই হাসপাতালের পরিচালক ডা. মোহাম্মদ সেহাব উদ্দিনের স্বাক্ষরে পাঠানো প্রতিবাদে বলা হয়, সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নার্সদের কর্মবিরতির সংবাদটি সঠিক নয়। ওই হাসপাতালে এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেনি। নার্সরা তাদের দায়িত্ব ঠিকভাবে পালন করছেন।
ওই প্রতিবেদন করার সময় বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের কোনো প্রতিনিধি হাসপাতালের পরিচালকের সঙ্গে যোগাযোগ করেনি বলেও দাবি করা হয়।
এ বিষয়ে বিডিনিউজ টোয়েন্টফোর ডটকমের সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদক বলেন, কর্মসূচিতে থাকা নার্সদের সঙ্গে কথা বলেই প্রতিবেদনটি করা হয়েছে। এছাড়া ওই ঘটনার ছবি ও ভিডিও বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকের কাছে আছে।
অপরদিকে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম হাসপাতালের পরিচালকের সঙ্গে যোগাযোগ করেনি বলে যে দাবি করা হয়েছে সেটি সঠিক নয়।
নার্সকে মারধর ও কর্মবিরতির কর্মসূচির বিষয়ে ব্ক্তব্য জানতে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের প্রতিবেদক হাসপাতালের পরিচালক সেহাবের মোবাইল ফোনে বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা ৫৪ মিনিটে দুইবার, বেলা ১১টা ৩ মিনিটে একবার কল দিয়েছেন। এছাড়া পরিচালকের হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে ১০টা ৫৯ মিনিটে এবং বেলা ১১টা ৫৫ মিনিটকে কল দেওয়া হয়েছিল। তবে তিনি ধরেননি।
পরে এদিন দুপুর ১টা ৩৭ মিনিটে হাসপাতালের পরিচালক সেহাব বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের প্রতিবেদককে কল দেন। সেসময় কলটি ধরতে না পারায় তিন মিনিট পরই সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদক তাকে ফিরতি কল করেন। তখন কল রিসিভ করে পরিচালক বলেন, তিনি ১০ মিনিট পর কল করবেন। কিন্তু এরপর আর কল দেননি। পরে প্রতিবেদক কল করলেও আর ধরেননি।
