ফৌজদারি আদালতে ৭৯২টি মামলা বিচারাধীন রয়েছে।
হতে সংগৃহিত
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত হত্যার অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলার বিচার হবে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে।
অবশ্য গণঅভ্যুত্থানে সংঘটিত ‘মানবতাবিরোধী অপরাধের’ মামলা আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালেই চলবে বলে সোমবার আইন মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত হত্যার অভিযোগে দেশজুড়ে ৮৩৭টি মামলা নথিবদ্ধ হয়েছে। এর মধ্যে ৪৫টি মামলার বিচারকাজ চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে।
ইতোমধ্যে দেশের বিভিন্ন ফৌজদারি আদালতে ১৯টি হত্যা মামলার অভিযোগপত্র দাখিল করেছে পুলিশ। এসব হত্যা মামলা দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
আইন মন্ত্রণালয় বলছে, হত্যাসহ গুরুতর অপরাধের অভিযোগে দায়ের করা মামলার প্রসিকিউশনের কার্যক্রম সুষ্ঠু ও গতিশীল করার লক্ষ্যে আইন ও বিচার বিভাগের অতিরিক্ত সচিবের নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
এ কমিটির কর্মপরিধির মধ্যে রয়েছে—
ক) ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমনের উদ্দেশ্যে সংঘটিত হত্যাসহ অন্যান্য গুরুতর অপরাধের অভিযোগে দায়ের করা মামলার পূর্ণাঙ্গ তালিকা সংগ্রহ করবে কমিটি। তাতে মামলার বর্তমান পর্যায়ের বর্ণনা থাকবে।
(খ) ফৌজদারি আদালতে ইতোমধ্যে যেসব মামলায় অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়েছে, সেসব মামলায় প্রসিকিউশনের কার্যক্রম পরিচালনায় কোনো সমস্যা থাকলে তা নিরসনের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় সুপারিশ সরকারের কাছে পাঠাবে কমিটি।
(গ) মামলার কার্যক্রম বিষয়ে ভুক্তভোগী পরিবার ও দেশবাসীকে সময়ে সময়ে অবহিত করাও এ বিশেষ কমিটির দায়িত্ব।
একাত্তরে যুদ্ধাপরাধের বিচারের জন্য ২০১০ সালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠন করেছিল আওয়ামী লীগ সরকার। ২০২৪ সালের ৫ অগাস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর এই ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনা এবং তার সহযোগীদের বিচারের উদ্যোগ নেয় অন্তর্বর্তী সরকার।
জামায়াতে ইসলামী, এনসিপিসহ কয়েকটি দল নির্বাচনের আগেই শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের বিচার শেষ করার দাবি জানিয়ে আসছে।
আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল সম্প্রতি এক ফেইসবুক পোস্টে বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকারের শাসনামলেই এ বিচার শেষ হবে বলে তিনি আশা করছেন।
