৩৮ বছর বয়সে টেস্ট ক্যাপ পেলেন পাকিস্তানের বাঁহাতি স্পিনিং অলরাউন্ডার আসিফ আফ্রিদি।
হতে সংগৃহিত
এই বয়সে বেশির ভাগ ক্রিকেটারের ক্যারিয়ারের এপিটাফ লেখা হয়ে যায়। অথচ আসিফ আফ্রিদির অধ্যায় মাত্র শুরু হলো! শুরুতেই তার সঙ্গী হলো ইতিহাস। গত ৭০ বছরে এত বেশি বয়সে টেস্ট অভিষেক হয়নি পাকিস্তানের কোনো ক্রিকেটারের।
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্টেও স্কোয়াডে ছিলেন আফ্রিদি। তবে জায়গা পাননি একাদশে। দ্বিতীয় টেস্টে সোমবার রাওয়ালপিন্ডিতে ৩৮ বছর ২৯৯ দিন বয়সে টেস্ট ক্যাপ পান বাঁহাতি এই স্পিনিং অলরাউন্ডার।
আসিফ আফ্রিদিকে টেস্ট ক্যাপি পরিয়ে দেন শাহিন আফ্রিদি। পাকিস্তানের ২৬০তম টেস্ট ক্রিকেটার তিনি।
পাকিস্তানের হয়ে তার চেয়ে বেশি বয়সে টেস্ট অভিষেকের নজির আছে কেবল একজনেরই। সেই ১৯৫৫ সালের জানুয়ারিতে ভারতের বিপক্ষে লাহোরে অভিষেক টেস্টে মাঠে নামার সময় অফ স্পিনার মিরান বাখশের বয়স ছিল ৪৭ বছর ২৮৪ দিন।
মিরান ও আফ্রিদির পর পাকিস্তানের হয়ে বেশি বয়সে অভিষেকের তালিকায় আছেন তাবিশ খান। ২০২১ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পেসার তাবিশ খানের অভিষেক হয়েছিল ৩৬ বছর ১৪৬ দিন বয়সে।
মিরানের ক্যারিয়ার শেষ হয়ে গিয়েছিল দুই টেস্টেই। অভিষেক টেস্টই ছিল তাবিশের শেষ টেস্ট। আফ্রিদির ক্যারিয়ার কতটা এগোয়, সেটি বলবে সময়।
পাকিস্তানের বাইরে সবশেষ এত বেশি বয়সে টেস্ট অভিষেক দেখা গিয়েছিল ২০১৮ সালে। আয়ারল্যান্ডের অভিষেক টেস্টে এড জয়েসের টেস্ট অভিষেক হয়েছিল ৩৯ বছর ২৩১ দিন বয়সে।
২০০৬ থেকে ২০০৭ পর্যন্ত ইংল্যান্ডের হয়ে ১৭ ওয়ানডে খেলেছিলেন জয়েস। পরে ২০১১ সাল থেকে নতুন অধ্যায় শুরু করেন জন্মভূমি আয়ারল্যান্ডের হয়ে। আইরিশরা টেস্ট মর্যাদা পাওয়ার পর জয়েসের টেস্ট খেলার স্বপ্নও পূরণ হয়।
সবচেয়ে বেশি বয়সে টেস্ট অভিষেকের রেকর্ডটিকে বলা যায় অমর। ইতিহাসের প্রথম টেস্টে ১৮৭৭ সালে ইংল্যান্ডের জেমস সাউদারটন খেলতে নেমেছিলেন ৪৯ বছর ১১৯ দিন বয়সে। সেই রেকর্ড কখনোই ভাঙবে, বলে দেওয়া যায় নিশ্চিত করেই।
