এই বিশেষ মোডে গাড়ি আগের ‘হারি’ মোডের তুলনায় ‘আরও দ্রুত চলে এবং ঘন ঘন লেন পরিবর্তন করে’। এতে গাড়ি অনেক সময় গতি সীমা পেরিয়ে যায়।
হতে সংগৃহিত
বিদ্যুচ্চালিত গাড়ি বা ইভির ফুল সেলফ-ড্রাইভিং সিস্টেমে আবার ‘ম্যাড ম্যাক্স’ নামের বিতর্কিত মোডটি ফিরিয়ে এনেছে টেসলা।
এই বিশেষ মোডে গাড়ি আগের ‘হারি’ মোডের তুলনায় ‘আরও দ্রুত চলে এবং ঘন ঘন লেন পরিবর্তন করে’। এতে গাড়ি অনেক সময় গতির সীমা পেরিয়ে যায়। এ মোড আবার ফিরিয়ে আনাকে টেসলার আরেকটি বোকামিপূর্ণ সংযোজন বলে উল্লেখ করেছে প্রযুক্তি বিষয়ক সাইট এনগ্যাজেট।
তবে এ ফিচার আসলে একেবারে নতুন নয়। ২০১৮ সালে অটোপাইলট সিস্টেমের অংশ হিসেবে প্রথম চালু হয়েছিল ফিচারটি।
প্রযুক্তি সাইট ইলেকট্রেক প্রতিবেদনে লিখেছে, এই মোডের প্রত্যাবর্তন ঠিক যেমনটি অনেকে ধারণা করেছিলেন, তেমনই ঘটছে। ‘চালু হওয়ার ২৪ ঘণ্টাও পার হয়নি, এরইমধ্যে দেখা গিয়েছে, এই মোডে থাকা বিভিন্ন গাড়ি রাস্তার স্টপ সাইন উপেক্ষা করে গতি সীমার চেয়ে ঘণ্টায় প্রায় ২৪ কিলোমিটারের বেশি গতিতে চলছে’।
পুরো বিষয়টিই যেন হাস্যকর ও ভয়াবহ। গত সপ্তাহেই টেসলার ফুল সেলফ-ড্রাইভিং সিস্টেমের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে মার্কিন ‘ন্যাশনাল হাইওয়ে ট্রাফিক সেইফটি অ্যাডমিনিস্ট্রেশন’ বা এনএইচটিএসএ। মার্কিন ইভি নির্মাতার বিরুদ্ধে ৫০টিরও বেশি ট্রাফিক নিরাপত্তা লঙ্ঘন ও অসংখ্য দুর্ঘটনার রিপোর্ট পেয়েছে সংস্থাটি।
তবে গাড়ির ফুল সেলফ-ড্রাইভিং সিস্টেম নিয়ে এটিই প্রথম তদন্ত নয়। এর আগেও একাধিকবার টেসলার স্বয়ংক্রিয় ড্রাইভিং প্রযুক্তির ওপর তদন্ত চালিয়েছে নিয়ন্ত্রক এনএইচটিএসএ।
এমন সময় টেসলা আবার ‘ম্যাড ম্যাক্স’ ড্রাইভিং মোড চালু করল, যার নামই এসেছে এক ধ্বংসস্তূপ-পরবর্তী দুনিয়া থেকে, যেখানে জীবনের কোনো মূল্যই নেই।
কোম্পানিটির এমন সিদ্ধান্ত নিঃসন্দেহে চরম আত্মতুষ্টি ও অহংকারেরই প্রকাশ, যা টেসলার স্বভাবসুলভ ব্র্যান্ড ইমেজের সঙ্গে একেবারেই বেমানান নয় বলে প্রতিবেদনে লিখেছে এনগ্যাজেট।