১৯৭৫ সালের ৪ অক্টোবর বাংলাদেশ ও চীন আনুষ্ঠানিকভাবে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করে।
হতে সংগৃহিত
চীনের রাজধানী বেইজিংয়ে বর্ণাঢ্য আয়োজনে বাংলাদেশ ও চীনের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উদযাপিত হয়েছে।
মঙ্গলবার বাংলাদেশ দূতাবাস, বেইজিং-এর আয়োজনে এবং চাইনিজ পিপলস অ্যাসোসিয়েশন ফর ফ্রেন্ডশিপ উইথ ফরেন কান্ট্রিজ (সিপিএএফএফসি)-এর সহযোগিতায় অনুষ্ঠিত এই উৎসবমুখর আয়োজন দুই দেশের দীর্ঘদিনের বন্ধুত্ব ও কৌশলগত অংশীদারিত্ব উঠে আসে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন চীনের ১৪তম ন্যাশনাল পিপলস কংগ্রেস স্ট্যান্ডিং কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান লুওসাং জিয়াংছুন।
বিশেষ অতিথিদের মধ্যে ছিলেন সিপিএএফএফসি-এর ভাইস প্রেসিডেন্ট লু সিয়াংদং, সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিউ বিন ও মেজর জেনারেল ঝাং বাওছুনসহ চীনের সরকারের কর্মকর্তা ও কূটনীতিকরা।
বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. নাজমুল ইসলাম স্বাগত বক্তব্যে দুই দেশের ঐতিহাসিক বন্ধুত্ব ও পারস্পরিক সহযোগিতার ওপর আলোকপাত করেন। তিনি বলেন, “আমরা আগামী ৫০ বছরে আমাদের কৌশলগত অংশীদারিত্বকে আরও গতিশীল ও অর্থবহ করে তুলতে চাই।”
চীনা অতিথি লু সিয়াংদং তার বক্তব্যে পারস্পরিক আস্থা, কার্যকর সহযোগিতা ও জনগণের মধ্যে সাংস্কৃতিক বিনিময় বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, “সাংস্কৃতিক বিনিময় ও পারস্পরিক সম্মান দুই দেশের সম্পর্ককে আরও মজবুত করবে।”
উৎসব উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ ও চীনের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি স্মরণে একটি স্মারক খাম ও স্মারক ম্যাগাজিন প্রকাশ করা হয়। অতিথিরা কেক কেটে এই ঐতিহাসিক মুহূর্ত উদযাপন করেন।
এছাড়া বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের সাবেক রাষ্ট্রদূতসহ তিনজন চীনা নাগরিক এবং দুটি প্রতিষ্ঠানকে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদারে অবদানের জন্য সম্মাননা দেওয়া হয়।
সাংস্কৃতিক পর্বে বাংলাদেশের শিল্পী ইমন চৌধুরীর নেতৃত্বে ‘বেঙ্গল সিম্ফনি’, সংগীতশিল্পী শুভ ও অনি হাসান অংশ নেন। তারা লালন সাঁই, হাসন রাজা, শাহ আব্দুল করিম, আব্বাসউদ্দীন ও আইয়ুব বাচ্চুর গান পরিবেশন করেন। এছাড়া নৃত্য পরিবেশন করে চীনা শিশু-কিশোররা।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের পর্যটন, বিনিয়োগের সম্ভাবনা ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য তুলে ধরা হয় ভিডিওচিত্র ও প্রদর্শনীর মাধ্যমে। অতিথিদের হাতে তুলে দেওয়া হয় বাংলাদেশি পাটের তৈরি ব্যাগ, ম্যাগাজিন ও পর্যটনবিষয়ক প্রকাশনা।
১৯৭৫ সালের ৪ অক্টোবর বাংলাদেশ ও চীন আনুষ্ঠানিকভাবে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করে। বিশ্লেষকদের মতে, এই সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন দুই দেশের কৌশলগত অংশীদারিত্ব ও পারস্পরিক সহযোগিতার নতুন দিগন্ত উন্মোচনে সহায়ক হবে।
