পাকিস্তানের ওয়ানডে দলের অধিনায়কত্ব হারানোর মুখে এই কিপার-ব্যাটার।
হতে সংগৃহিত
ওয়ানডে দলে নেতৃত্বের পরিবর্তন নিয়ে নানা খবর উঠে আসছিল পাকিস্তানের সংবাদ মাধ্যমে। সেসব গুঞ্জন আর খবর বাস্তবতার ভিত্তি পেল পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) বিবৃতিতে। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সামনের ওয়ানডে সিরিজের জন্য অধিনায়ক চূড়ান্ত করা হয়নি বলে জানানো হয় বিবৃতিতে। এটিকেই ধরে নেওয়া যায় মোহাম্মাদ রিজওয়ানের বিদায় ঘন্টা হিসেবে।
গত বছর দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে পাকিস্তান ওয়ানডে দলকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন রিজওয়ান। হঠাৎ করে যখন জানানো হলো, অধিনায়ক চূড়ান্ত নয়, সেটির একমাত্র অর্থ হওয়ার কথা, পরিবর্তন আসছে এখানে। পিসিবির বিবৃতিতে জানানো হয়, ওয়ানডে দলের অধিনায়ক ঠিক করতে নির্বাচক কমিটির সঙ্গে বৈঠকে বসবেন পাকিস্তানের সাদা বলের দলের কোচ মাইক হেসন।
রিজওয়ানের নেতৃত্বের শুরুটা ছিল দারুণ। গত নভেম্বরে অস্ট্রেলিয়াতে স্মরণীয় সিরিজ জয়ের পর জিম্বাবুয়েতে সিরিজ জয় করে পাকিস্তান, দক্ষিণ আফ্রিকাকে তাদের মাঠেই হোয়াইটওয়াশ করে গড়ে তারা ইতিহাস।
তবে এই বছরের চিত্র পুরো উল্টো। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগে ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে হেরে যায় তারা নিউ জিল্যান্ডের কাছে। তবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি থেকে তারা ছিটকে পড়ে গ্রুপের তলানিতে থেকে।
মার্চে নিউ জিল্যান্ড সফর থেকে রিজওয়ানের দল হোয়াইটওয়াশড হয়ে ফেরে খর্বশক্তির কিউই দলের কাছে। পরে অগাস্টে সিরিজ হারে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে।
রিজওয়ানের নেতৃত্ব নিয়ে টানাপোড়েন বা ওয়ানডে অধিনায়ক নিয়ে আলোচনার আনুষ্ঠানিক কোনো কারণ জানানো হয়নি পিসিবির পক্ষ থেকে। তার ব্যাটিং ফর্ম এমনিতে খারাপ নয়। অধিনায়ক হিসেবে তার ব্যাটিং গড় সাধারণ সময়ের চেয়ে বেশি। এই বছর তার চেয়ে বেশি রান করেছেন পাকিস্তানের হয়ে কেবল সালমান আলি আগা। ধারণা করা যায়, দলের পারফরম্যান্সের খেসারত দিতে হচ্ছে তাকে।
পাকিস্তানের নেতৃত্ব নিয়ে এই ধরনের অনিশ্চয়তা অবশ্য নতুন কিছু নয়। যুগে যুগেই এই ধরনের নাটকীয়তা পাকিস্তান ক্রিকেটে স্বাভাবিক ঘটনায় পরিণত হয়েছে। সবশেষ গত বছরই যেমন, মহসিন নাকভি বোর্ড প্রধান হওয়ার পর টি-টোয়েন্টি অধিনায়কত্ব থেকে সরিয়ে দিয়েছিলেন মাত্র এক সিরিজে নেতৃত্ব দেওয়া শাহিন শাহ আফ্রিদিকে। তখন অধিনায়কত্বে ফেরানো হয় বাবর আজমকে, যিনি নিজেও পরে বেশি দিন থাকতে পারেননি দায়িত্বে। পরে নেতৃত্ব পান সালমান আলি আগা, যাকে নিয়েও এখন প্রশ্ন উঠছে নিয়মিত।
ওয়ানডের নেতৃত্ব এখন সেই শাহিন আফ্রিদিকে দেওয়া হতে পারে বলে আলোচনা আছে পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যমে।
পাকিস্তান এখন দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ খেলছে শান মাসুদের নেতৃত্বে। টেস্ট সিরিজ শেষে আছে টি-টোয়েন্টি সিরিজ, যেখানে বাবরকে ফেরানো হতে পারে বলে গুঞ্জন চলছে। এরপর ওয়ানডে সিরিজ শুরু ৪ নভেম্বর।
