মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প জানিয়েছেন, ফেরত পাঠানোর পর তারা নিজ নিজ দেশে আটক থাকবেন ও বিচারের মুখোমুখি হবেন।
হতে সংগৃহিত
ভেনেজুয়েলা থেকে মাদক পরিবহন করছে সন্দেহে ক্যারিবীয় সাগরে একটি নৌযানে মার্কিন সামরিক বাহিনীর হামলার পর বেঁচে যাওয়া দুইজনকে নিজ নিজ দেশ কলম্বিয়া ও একুয়েডরে ফেরত পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প।
শনিবার তিনি জানান, ফেরত পাঠানোর পর তারা নিজ নিজ দেশে আটক থাকবেন ও বিচারের মুখোমুখি হবেন।
ট্রুথ সোশ্যালে ট্রাম্প লিখেছেন, “জীবিত ওই দুই সন্ত্রাসীকে তাদের নিজ নিজ দেশ, একুয়েডর ও কলম্বিয়ায় আটক ও বিচারের জন্য ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে।”
বৃহস্পতিবার ক্যারিবীয় সাগরে কথতি মাদক বহনকারী সন্দেহভাজন নৌযানটিতে হামলা চালায় ওই অঞ্চলে মোতায়েন মার্কিন বাহিনী। এ হামলায় অন্তত ২৭ জন নিহত হলেও দুইজন কোনোভাবে বেঁচে যান। গত কয়েক সপ্তাহে ক্যারিবীয় সাগরে সন্দেহভাজন মাদকবাহী নৌযানগুলোতে যুক্তরাষ্ট্রের এটি ষষ্ঠ হামলা, তবে এবারই প্রথম কারও জীবিত থাকার কথা জানা গেল।
মার্কিন সেনারা ওই জীবিতদের হেলিকপ্টার যোগে উদ্ধার করে তাদের নৌবাহিনীর একটি জাহাজে তুলে নিয়েছিল।
শুক্রবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট সর্বশেষ হামলাটির কথা নিশ্চিত করে দাবি করেছেন, যে নৌযানে হামলা হয়েছে সেটি ‘মাদক পরিবহনকারী সাবমেরিন’।
কলম্বিয়া ও একুয়েডরের কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, জীবিত ওই দুইজনই নিজ নিজ দেশে ফিরেছেন।
শনিবার বিকালে কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট গুস্তাভো পেট্রো এক্স এ বলেন, “নারকো সাবমেরিনটি থেকে আটক কলম্বিয়ানকে আমরা গ্রহণ করেছি। তিনি বেঁচে আছেন, এতে সন্তুষ্ট আমরা। আইন অনুযায়ী তার বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট বিস্তারিত আর কিছু জানাননি।
প্রকাশে কথা বলার অনুমতি না থাকা একুয়েডরের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার অনুরোধ জানিয়ে বলেছেন, একুয়েডরিয়ান এক জীবিত স্থানীয় সময় সকাল ১১টার দিকে দেশে ফিরে এসেছে। আইন অনুযায়ী তার বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার তাদের আধা-নিমজ্জিত ডুবোজাহাজে আঘাত হানে মার্কিন সামরিক বাহিনী। তখন ডুবোজাহাজটির অন্য ক্রু সদস্যরা নিহত হলেও এই দুইজন বেঁচে যান। হেলিকপ্টার নিয়ে অভিযান চালিয়ে সাগর থেকে তাদের উদ্ধার করে মার্কিন বাহিনী। তারপর তাদের ক্যারিবীয় সাগরে অবস্থানরত একটি মার্কিন যুদ্ধজাহাজে নিয়ে রাখা হয়।
ওই ডুবোজাহাজটিতে মাদক বহন করা হচ্ছিল বলে অনুমান মার্কিন বাহিনীর। এ বিষয়ে নিজের সামাজিক মাধ্যমে ট্রাম্প লিখেছেন, “মার্কিন গোয়েন্দারা নিশ্চিত করেছেন, ওই নৌযানটিতে ফেন্টানাইলসহ অন্যান্য মাদক দিয়ে ভরা ছিল।”
