ট্রাক, কর্ভাডভ্যান, ট্রেইলসহ বিভিন্ন ভারি যানবাহন বন্দরে প্রবেশ ফি পূর্বের ৫৭ টাকার জায়গায় প্রায় চারগুণ বাড়িয়ে ২৩০ টাকা করো হয়েছে।
সংগৃহিত
প্রবেশ মাশুল চারগুণ বাড়ানোর প্রতিবাদে চট্টগ্রাম বন্দরের ভেতরে বিভিন্ন ধরনের যানবাহন প্রবেশ বন্ধ হয়ে গেছে। এতে করে বন্দরে কন্টেইনার ও পণ্য পরিবহনে এক ধরনের অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে।
শনিবার সকাল থেকে কন্টেইনার ও পণ্য পরিবহনকারী সব ধরণের যানবাহন বিশেষ করে ট্রাক, ট্রেইলার, কভার্ড ভ্যান মালিক সংস্থাগুলো বন্দরের ভেতরে প্রবেশ মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে এ সিদ্ধান্ত নেয়।
গত ১৫ অক্টোবর থেকে চট্টগ্রাম বন্দরে বিভিন্ন সেবাখাতে নতুন আরোপিত মাশুল কার্যকর করা হয়। এতে করে বিভিন্ন খাতে ৪১ শতাংশ পর্যন্ত মাশুল বাড়ানো হয়েছে।
এর অংশ হিসেবে বন্দরে অভ্যন্তরে গাড়ি প্রবেশ ফিও বেড়েছে। বিভিন্ন পরিবহন মালিক সংস্থার সদস্যদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ট্রাক, কর্ভাডভ্যান, ট্রেইলসহ বিভিন্ন ভারি যানবাহন বন্দরে প্রবেশ ফি পূর্বের ৫৭ টাকার জায়গায় প্রায় চারগুণ বাড়িয়ে ২৩০ টাকা করো হয়েছে।
এরপর ট্রেইলার মালিকরা কন্টেইনার পরিবহন বন্ধ রাখে। এছাড়া আন্তঃজেলা মালামাল পরিবহন সংস্থা ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যান মালিক সমিতি শনিবার সকাল থেকে সব ধরনের যানবাহন বন্দরে প্রবেশ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়।
শনিবার বেলা ১টার দিকে বন্দরের সল্টগোলা ক্রসিংসহ বিভিন্ন গেইটের মুখে সরেজমিনে গিয়ে অন্যান্য দিনের মত ট্রাক, কভার্ড ভ্যান, ট্রেইলার ও প্রাইমমুভারের প্রতিদিনকার চিরচেনা জট দেখা যায়নি।
বাংলাদেশ কর্ভাড ভ্যান ট্রাক প্রাইমমুভার পণ্য পরিবহন মালিক অ্যাসোসিয়েশনের বন্দর বিষয়ক সম্পাদক মো. শামসুজ্জামান সুমন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “গত ১৩ অক্টোবর বন্দর কর্তৃপক্ষ এক আদেশে অযৌক্তিকভাবে প্রবেশ ফি অযৌক্তিকভাবে বাড়িয়েছে। কোনরূপ আলোচনা ছাড়াই তারা এই ফি চাপিয়ে দিয়েছে।
“বন্দরের ৮৫ শতাংশ পণ্য আমাদের সমিতি অধিভুক্ত যানবাহনের মাধ্যমে হয়ে থাকে। কিন্তু পরিবহন মালিকদের সঙ্গে আলোচনা ছাড়াই ফি বাড়ানো ঠিক হয়নি। এর প্রতিবাদে ট্রাক, কর্ভাড ভ্যান, ট্রেইলারসহ সব ধরনের পণ্য পরিবহনকারী যানবাহন প্রবেশ বন্ধ করেছি।”
চট্টগ্রাম বন্দরের অভ্যন্তরে জেটিতে জাহাজ ভেড়ার পর সেখান থেকে কন্টেইনার খালাসের পর সেগুলো লরি বা ট্রেইলারে করে বিভিন্ন ডিপো অথবা ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়। এছাড়া খোলা পণ্য নামানোর পর সেসব বিভিন্ন ট্রাক বা কর্ভাড ভ্যানে করে বিভিন্ন স্থানে নেওয়া হয়ে থাকে।
যানবাহন প্রবেশ বন্ধ হবার পর বন্দর কর্তৃপক্ষ তাদের অপারেশনাল কার্যক্রম স্বাভাবিক রয়েছে দাবি করলেও কন্টেইনার ও পণ্য পরিবহনে অচলাবস্থা তৈরি হবে এবং বন্দরে কন্টেইনার জট তৈরি হতে পারে।
চট্টগ্রাম বন্দর সচিব মো. ওমর ফারুক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, নতুন মাশুল কার্যকর হওয়ার দিন থেকে প্রবেশ ফি বেড়েছে। কিন্তু সকাল থেকে বন্দরের সকল প্রকার অপারেশনাল কার্যক্রম স্বাভাবিক রয়েছে।
পরিবহন প্রবেশ নিয়ে সমস্যা নিরসনে আলাপ-আলোচনার মধ্য দিয়ে সমস্যার সমাধান হবে বলে আশা করেন তিনি।
