“দুর্ভাগ্যের বিষয় জুলাই সনদে জনগণের ‘সার্বভৌম ও গাঠনিক ক্ষমতা’ সম্পর্কিত মৌলিক সত্যের কোনো উল্লেখ নাই,” বলেন নাহিদ ইসলাম।
সংগৃহিত
জুলাই সনদের বাস্তবায়ন পদ্ধতি নিয়ে জাতিকে ধোঁয়াশায় রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে গণঅভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া তরুণদের দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)।
দলটির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, এনসিপির পর্যবেক্ষণ, জুলাই সনদ বাস্তবায়ন পদ্ধতি সম্পর্কে জাতিকে ধোঁয়াশায় রাখা হয়েছে।
“জুলাই সনদে এর আইনি ভিত্তি হিসাবে ‘জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ’ এর কথা উল্লেখিত হয় নাই। আমরা বলেছি, অভ্যুত্থান পরবর্তী যেকোনো বন্দোবস্তের নৈতিক ও আইনি ভিত্তি হতে হবে জুলাই অভ্যুত্থানে প্রকাশিত জনগণের ‘সার্বভৌম ও গাঠনিক ক্ষমতা’। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় জুলাই সনদে জনগণের ‘সার্বভৌম ও গাঠনিক ক্ষমতা’ সম্পর্কিত মৌলিক সত্যের কোনো উল্লেখ নাই।”
শনিবার বাংলামোটরে এনসিপি কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে জুলাই সনদ নিয়ে দলের অবস্থান তুলে ধরেন নাহিদ ইসলাম। আগের দিন জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় জুলাই সনদে ২৪টি দল ও জোট সই করলেও এনসিপি তা করেনি।
লিখিত বক্তব্যে নাহিদ ইসলাম বলেন, “জুলাই সনদের কোনো আইনি ভিত্তি না দেওয়া, জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশের খসড়া প্রকাশ না করা এবং সনদ বাস্তবায়ন পদ্ধতির পূর্ণাঙ্গ রূপরেখা জাতির সাথে উম্মোচন না করায় জুলাই সনদে স্বাক্ষর থেকে বিরত থেকেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি।”
তিনি বলেন, প্রতিষ্ঠার দিন থেকেই এনসিপি নতুন সাংবিধানিক অগ্রযাত্রায় শামিল হতে সরকার এবং সব রাজনৈতিক দলকে আহ্বান জানিয়েছে। বিচার, সংস্কারের অংশ হিসেবে ‘জুলাই সনদ’ প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন এবং গণপরিষদ নির্বাচনের দাবিতে সারা বাংলাদেশে এনসিপি ‘জুলাই পদযাত্রা’ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেছে।
সংবাদ সম্মেলনে নাহিদ বলেন, “যেহেতু ঐক্যমত্য কমিশনের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে, ফলে সৃষ্ট আইনি জটিলতা নিরসনে এবং জুলাই সনদকে একটি যথাযথ আইনি ভিত্তি দিতে আমরা জাতীয় ঐক্যমত্য কমিশনের সাথে আলোচনা চালিয়ে যাব। বিষয়গুলো সম্পর্কে সুনিশ্চিত হলেই কেবল আমরা সনদে স্বাক্ষর করব।”
জাতীয় সংসদ ভবনের সামনে জুলাই শহীদ পরিবারের সদস্য এবং জুলাই যোদ্ধাদের ওপর হামলার বিচার দাবি করেন নাহিদ ইসলাম।
তিনি বলেন, শুক্রবার জুলাইয়ের শহীদ পরিবার ও আহতরা কিছু দাবি নিয়ে সেখানে গিয়েছিল। তাদের দাবির প্রেক্ষিতে জুলাই সনদের অঙ্গীকারনামার পঞ্চম দফা সংশোধন করার ঘোষণাও দিয়েছে ঐক্যমত্য কমিশন।
“ঐক্যমত্য কমিশনে এই বিষয়টি প্রথমেই আমলে নিলে শহীদ পরিবার ও আহতযোদ্ধাদের রাজপথে নামতে হতো না। সংকটের শান্তিপূর্ণ সমাধান না করে আহত যোদ্ধাদের ওপর হামলা করা হয়েছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। আমরা এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবি করছি।”
