এগুলোর বেশিরভাগই ফোন ব্যবহারের ধরনে বড় পরিবর্তন না আনলেও কিছু ফিচার ব্যক্তিগতভাবে ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতাকে অনেক উন্নত করতে পারে।
সংগৃহিত
অ্যাপলের সর্বশেষ মোবাইল অপারেটিং সিস্টেম আইওএস ২৬ এরইমধ্যে কোটি ব্যবহারকারীর হাতে পৌঁছে গেছে। অপারেটিং সিস্টেমটিতে রয়েছে অসংখ্য নতুন ফিচার ও পরিবর্তন। যার মধ্যে অন্তত কিছু ফিচার রয়েছে যা ব্যবহারকারীর প্রাইভেসি রক্ষায় অবিলম্বে চালু করা উচিত।
তবে দীর্ঘদিনের ব্যবহারকারীদের মধ্যে অনেকেই নতুন ভার্সনে আপগ্রেড করা কতটা প্রয়োজনীয় তা নিয়ে চিন্তিত কারণ অনেকে আপডেট করতে গিয়ে ঝামেলায় পড়েছেন ফলে এর আকর্ষণ কিছুটা কমে গেছে বলে প্রতিবেদনে লিখেছে প্রযুক্তি সাইট ‘স্ল্যাশগিয়ার’।
তবে আইওএস ২৬-এর বেশিরভাগ নতুন ফিচারই ছোটখাটো আপগ্রেড যা ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতাকে আরও মসৃণ করবে। এগুলোর বেশিরভাগই ফোন ব্যবহারের ধরনে বড় পরিবর্তন না আনলেও কিছু ফিচার ব্যক্তিগতভাবে ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতাকে অনেক উন্নত করতে পারে। বিশেষ করে এই পাঁচটি ছোট পরিবর্তন আইফোন ব্যবহারের সময় ব্যবহারকারীদেরকে স্পষ্ট পার্থক্য অনুভব করাবে।
কল স্ক্রিনিং
আইওএস ২৬-এ যুক্ত হওয়া সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ফিচারগুলোর একটি হলো কল স্ক্রিনিং। এটি অচেনা নাম্বার থেকে কল এলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ফোন রিসিভ করে এবং সেটিং অনুযায়ী কলারকে নিজের নাম ও কলের কারণ বলতে বলে বা সরাসরি ভয়েসমেইলে পাঠিয়ে দেয়।
যারা নিয়মিতভাবে নিজের ফোন নম্বর শেয়ার করেন তাদের জন্য এটি দারুণ কার্যকর। আগে আইফোনে অজানা কলার ফিল্টার করার অপশন ছিল কিন্তু অনেক সময় গুরুত্বপূর্ণ কলও ব্লকড হয়ে যেত। এখন কল স্ক্রিনিং ফিচারের মাধ্যমে ব্যবহারকারী সহজেই জানতে পারবেন কে এবং কেন কল করছে, ফলে ভুল বোঝাবুঝি বা স্প্যাম থেকে মুক্তি মিলবে।
কালার ও কাস্টমাইজেশনের নতুন সুযোগ
আইওএস ২৬-এ অ্যাপ আইকনের জন্য নতুন ‘লিকুইড গ্লাস’ লুক যুক্ত হয়েছে। যদিও এই স্টাইল সবারই পছন্দ হবে এমন হয়ত না। তবে, যারা হোম স্ক্রিন কাস্টমাইজ করতে ভালোবাসেন তাদের জন্য এটি বাড়তি এক বিকল্প।
এ ছাড়া মেসেজ অ্যাপে কাস্টম ব্যাকগ্রাউন্ড, রং পরিবর্তন ও ফিল্টার যোগ করার সুবিধাও এসেছে। ফলে মেসেজিং এখন আরও নিজস্ব ও দৃষ্টিনন্দন হয়েছে। সেই সঙ্গে পুরনো লাইট ও ডার্ক মোড অপশন রয়েছেই।
ব্রেইল অ্যাক্সেস
দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী ব্যবহারকারীদের জন্য আইওএস ২৬-এর ব্রেইল অ্যাক্সেস একটি অনন্য সংযোজন। ব্রেইল ডিসপ্লে সংযুক্ত করলে ব্যবহারকারীরা পুরো আইফোন ইন্টারফেইস ব্রেইল কমান্ডে ব্যবহার করতে পারবেন- অ্যাপ খোলা, ফাইল দেখা, এমনকি আইক্লাউডের সঙ্গে সিংক হওয়া ব্রেইল নোট লেখাও সম্ভব।
এটি শুধু ভয়েসওভার বা সিরির ওপর নির্ভরতা কমায় না বরং শ্রবণ বা বাচন সমস্যায় ভোগা ব্যবহারকারীদের জন্যও বাড়তি অ্যাক্সেস নিশ্চিত করে।
সহজ ক্যামেরা কন্ট্রোল
নতুন ক্যামেরা ইন্টারফেইস এখন আরও সরল ও ব্যবহারবান্ধব। মেনুর পুনর্বিন্যাসে ছবি তোলা আরও সহজ হয়েছে। এতে স্বয়ংক্রিয়ভাবে লেন্স পরিষ্কারের রিমাইন্ডার, মেসেঞ্জার অ্যাপ থেকে তোলা ছবি গ্যালারিতে সেইভ করার অপশন এমনকি এয়ারপডস দিয়ে রিমোট শাটার হিসেবে ছবি তোলার সুবিধাও যুক্ত হয়েছে।
তবে পুরনো ব্যবহারকারীদের কিছুটা সময় লাগতে পারে নতুন কন্ট্রোলে অভ্যস্ত হতে।
কাস্টম ফটো কালেকশন ডিসপ্লে
আইওএস ২৬-এ ফিরিয়ে আনা হয়েছে পুরনো ‘ফটো কালেকশন’ ফিচার। এর মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা নিজেদের পছন্দমতো অ্যালবাম তৈরি ও পুনর্বিন্যাস করতে পারবেন। এটি বিশেষভাবে উপকারী তাদের জন্য যারা নানা কাজের ফাইল বা শ্রেণিবিন্যাস করে বিভিন্ন ছবির সংগ্রহ সংরক্ষণ করতে চান।
সবমিলিয়ে, আইওএস ২৬-এর পরিবর্তনগুলো ছোট হলেও তা ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতাকে উন্নত করে। অ্যাপল নিয়মিতভাবে ডিজাইন সংক্রান্ত অভিযোগের ভিত্তিতে আপডেট দিচ্ছে। তাই যদিও আপগ্রেড করা সবার জন্য জরুরি নয়, তবু নতুন ফিচারগুলো একবার যাচাই করে দেখার মতো।
