সংঘর্ষের ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া কথা জানিয়েছে জেলা যুবদল।
হতে সংগৃহিত
লক্ষ্মীপুর শহরে ‘বাস কাউন্টার দখল’ নিয়ে যুবদলের দুই পক্ষের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন।
বুধবার রাত ৮টার দিকে শহরের ঝুমুর ও মটকা মসজিদ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে বলে জানান লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার ওসি আব্দুল মোন্নাফ।
আহতরা হলেন- যুবদল কর্মী মো. জাহাঙ্গীর আলম, আবদুল কাদের, মিজান মোল্লা, ফরহাদ, শুভ, রাকিব, মো. দিপু, রাফি, রাতুল, শিপু এবং নাঈম হোসেন। তারা লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।
আহতদের মধ্যে জাহাঙ্গীরের মাথা ফেটে গেছে। তাকে নোয়াখালীর হাসাপাতালে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, লক্ষ্মীপুর পৌর এলাকার ১০ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী তারেক ও জাহাঙ্গীরের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছিল। সন্ধ্যার পর চট্টগ্রামের পথে চলাচলকারী শাহী কাউন্টার ও জোনাকী পরিবহনের ঝুমুর কাউন্টারে টিকিট বিক্রিকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা দেখা দেয়।
শাহী কাউন্টারের দায়িত্বে আছেন যুবদল নেতা তারেক। সেখানে কথা-কাটাকাটির এক পর্যায়ে জোনাকী কাউন্টারের পক্ষে কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে যান যুবদল নেতা জাহাঙ্গীর আলম।
যুবদল কর্মী মিজান মোল্লা বলেন, জাহাঙ্গীরসহ কয়েকজন ঝুমুর এলাকায় গেলে তারেক ও তার কর্মী-সমর্থকরা তাদের ওপর হামলা চালায়। পরে মটকা মসজিদ এলাকায় দুই পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
ঘটনার পর আহতদের হাসপাতালে দেখতে যান লক্ষ্মীপুর জেলা যুবদলের সভাপতি আবদুল আলীম হুমায়ূন ও সাধারণ সম্পাদক রশিদুল হাসান লিংকন।
হুমায়ূন বলেন, “জাহাঙ্গীর ও তারেক পৌর ১০ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী। তবে কমিটি ঘোষণা স্থগিত রয়েছে। দুই প্রার্থীর মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ চলছিল। তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) অরুপ পাল বলেন, আহত ১৬ জনকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
ওসি আব্দুল মোন্নাফ বলেন, বর্তমানে ওই এলাকার পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তবে সংঘর্ষের ঘটনায় কোনো পক্ষ থানায় লিখিত অভিযোগ করেনি।
