১৮০ সদস্যের ওই কন্টিনজেন্ট কঙ্গো যাওয়ার দেড় মাসের মাথায় ফিরে আসার নির্দেশনা পেল।
হতে সংগৃহিত
কঙ্গোর কিনসাসাতে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে নিয়োজিত পুলিশের কন্টিনজেন্টকে দেশে ফিরতে বলা হয়েছে।
বুধবার ঢাকার পুলিশ সদর দপ্তর থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
এটিই ছিল জাতিসংঘ মিশনে পুলিশের সর্বশেষ কন্টিনজেন্ট।
১৮০ সদস্যের ওই কন্টিনজেন্ট কঙ্গো যাওয়ার মাত্র দেড় মাসের মাথায় ফিরে আসার নির্দেশনা পেল।
গত ২৬ অগাস্ট কঙ্গোতে পৌঁছানোর পর দলটির প্রশিক্ষণ চলে। গত ১০ সেপ্টেম্বর থেকে তারা কিনসাসায় দায়িত্ব পালন শুরু করেছিল। বুধবার থেকে এই কন্টিনজেন্টের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে রয়েছে।
ব্যানএফপিইউ-১, (রোটেশন ১৮) কন্টিনজেন্টের ৭৫ জন নারী পুলিশ সদস্য রয়েছেন। এই কন্টিনজেন্টের কমান্ডার (পুলিশ সুপার) জান্নাত আফরোজ বুধবার রাতে ফেইসবুকে কঙ্গোর কিছু ছবি দিয়ে ক্যাপশনে লিখেছেন, “মিশন এলাকা ছাড়ার আগে কিছু সুন্দর স্মৃতি।”
পুলিশ সদর দপ্তরের অতিরিক্ত ডিআইজি (ইউএন–অপারেশন) আব্দুল্লাহ আল মামুন সংবাদমাধ্যমে বলেছেন, “জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের বাজেট ঘাটতির কারণে একটি কন্টিনজেন্ট ফেরত আসবে। বাজেট সমস্যার দূর হলে আবার হয়তো কঙ্গো বা অন্য কোনো দেশে প্রয়োজন হলে নতুন কন্টিনজেন্টকে ডাকা হবে।”
তবে পুলিশের সংশ্লিষ্ট একজন কর্মকর্তা বলছেন, “ওটাই ছিল জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশ পুলিশের শেষ কন্টিনজেন্ট। জাতিসংঘের ফান্ড ক্রাইসিসের কারণে অন্য কয়েকটি দেশের কন্টিনজেন্ট আংশিক ছাটাই করা হলেও বাংলাদেশ পুলিশের কন্টিনজেন্টকে পুরোপুরি ফেরত পাঠানোর সিদ্ধান্তটি পুলিশ কর্মকর্তাদের মাঝে নানা প্রশ্ন তৈরি করেছে। পুলিশ শান্তিরক্ষা মিশনে আর ফিরতে পারবে কি না, তা নিয়েও আলোচনা রয়েছে কর্মকর্তাদের মাঝে।”
বাংলাদেশ পুলিশ ১৯৮৯ সালে আফ্রিকার নামিবিয়া শান্তিরক্ষা মিশনে প্রথম অংশগ্রহণ করে।
পর্যাপ্ত তহবিলের অভাবে আগামী মাসগুলোতে নয়টি শান্তিরক্ষা মিশনের এক চতুর্থাংশ শান্তিরক্ষী কমানো হবে বলে জানিয়েছেন জাতিসংঘের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা। ভবিষ্যতে যুক্তরাষ্ট্র থেকে তহবিল পাওয়া নিয়ে অনিশ্চতা এর কারণ বলে জানিয়েছেন তিনি।
পরিচয় প্রকাশ না করার শর্তে গত ৯ অক্টোবর রয়টার্সকে তিনি বলেন, “সামগ্রিকভাবে আমাদের মোট শান্তিরক্ষী সেনা ও পুলিশের প্রায় ২৫ শতাংশকে নিজ দেশে ফেরত পাঠাতে হবে। তাদের সরঞ্জাম এবং মিশনগুলোর বিপুল সংখ্যক বেসামরিক কর্মীর ওপরও এর প্রভাব পড়বে।”
তার হিসাবে, ১৩ হাজার থেকে ১৪ হাজার সেনা ও পুলিশকে নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হবে।
জাতিসংঘের শান্তি মিশনগুলোতে সবচেয়ে বেশি তহবিল যুগিয়ে থাকে যুক্তরাষ্ট্র। তারা মোট তহবিলের ২৬ শতাংশের বেশি সরবরাহ করে। এরপর চীন প্রায় ২৪ শতাংশ তহবিলের যোগান দেয়।
পরিচয় প্রকাশে অনিচ্ছুক জাতিসংঘের আরেক কর্মকর্তা বলছেন, ১ জুলাই নতুন অর্থবছর শুরুর আগেই যুক্তরাষ্ট্রের বকেয়া জমে ১৫০ কোটি ডলার হয়ে গেছে। এখন ওয়াশিংটনের কাছে অতিরিক্ত আরও ১৩০ কোটি ডলার পাওনা। এতে তাদের মোট বকেয়া দাঁড়িয়েছে ২৮০ কোটি ডলার।
