এ নিয়ে ৮ জিম্মির মরদেহ ফেরত দেওয়া হল। গাজায় এখনও আরও প্রায় ২০ জিম্মির মরদেহ রয়েছে।
হতে সংগ্রহীত
ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস তাদের কাছে থাকা আরও চার ইসরায়েলি জিম্মির মরদেহ রেডক্রসের কাছে হস্তান্তর করেছে।
ইসরায়েলের সঙ্গে শান্তিচুক্তির প্রথম ধাপের শর্ত মেনে জীবিত ২০ জিম্মিকে ছেড়ে দেওয়ার পর এ নিয়ে ৮ জিম্মির মরদেহও ফেরত দিল তারা, বলছে আল জাজিরা।
এখনও গাজায় আরও প্রায় ২০ জিম্মির মরদেহ রয়েছে।
নতুন চার জিম্মির মরদেহ ফেরত পাওয়ার পর ইসরায়েলও তাদের আগের সিদ্ধান্ত বদলে রাফা ক্রসিং খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে ইসরায়েলি সরকারি সম্প্রচারমাধ্যম কানের খবরের বরাত দিয়ে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
হামাস মরদেহ ফেরত দিতে দেরি করছে অভিযোগ করে প্রতিদিন গাজায় সর্বোচ্চ ৩০০টি ট্রাক ঢোকার অনুমতি দেওয়ার হুমকি থেকেও সরে এসেছে তারা। চুক্তি অনুযায়ী গাজায় প্রতিদিন ত্রাণবাহী ৬০০ ট্রাক ঢুকতে দেওয়ার কথা।
এদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প হামাসকে ফের অস্ত্র সমর্পণের আহ্বান জানিয়েছেন।
“তারা যদি নিরস্ত্র না হয়, আমরা তাদের নিরস্ত্র করবে, এটা খুবই দ্রুত ঘটবে, এবং হয়তো সহিংস উপায়ে ঘটবে,” হুঁশিয়ার করে বলেছেন তিনি।
এদিকে শান্তিচুক্তির অংশ হিসেবে ইসরায়েলও আন্তর্জাতিক রেডক্রস কমিটির কাছে ৪৫ ফিলিস্তিনির মরদেহ হস্তান্তর করেছে। তেল আবিবের কাছে গত দুই বছরের যুদ্ধে নিহত কয়েকশ মরদেহ এখনও আছে বলে জানিয়েছে আল জাজিরা।
ইসরায়েলি বাহিনী গাজা ভূখণ্ডের উত্তরাঞ্চলে গাজা সিটি ও দক্ষিণের খান ইউনিসে নিজেদের বাড়িতে ফেরার চেষ্টা করা ৯ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে; যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় হওয়া যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার পর একেই প্রথম চুক্তির বড় ধরনের লঙ্ঘন বলছে সংবাদমাধ্যমটি।
এদিকে চুক্তির আরেক মধ্যস্থতাকারী দেশ মিশর জানিয়েছে, গাজা পরিচালনার জন্য ১৫ জন ফিলিস্তিনি টেকনোক্র্যাটকে বেছে নেওয়া হয়েছে, যাদের ব্যাপারে ইসরায়েল, হামাস এবং অন্য সব ফিলিস্তিনি গোষ্ঠীরও সায় আছে। তবে এ বিষয়ে এখনও চূড়ান্ত ঘোষণা আসেনি।
