“অধ্যাদেশ কবে জারি করা হবে সেটি স্পষ্ট না করা পর্যন্ত আমরা সড়ক ছেড়ে যাব না।”
হতে সংগৃহিত
ঢাকার সাত সরকারি কলেজ একীভূত করে প্রস্তাবিত ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির চূড়ান্ত অধ্যাদেশ জারির দাবিতে শিক্ষা ভবন সংলগ্ন রাস্তায় অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছেন শিক্ষার্থীরা।
তারা বলছেন, অধ্যাদেশ জারির ব্যবস্থা না হওয়া পর্যন্ত তারা রাস্তা ছাড়বেন না।
এদিকে এই কর্মসূচি ঘিরে দুপুরে সচিবালয় অভিমুখে ব্যারিকড দিয়ে রাস্তা বন্ধ করে দেয় পুলিশ। ফলে ওই পথ দিয়ে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে ।
ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী আবির মাহমুদ রবিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “অধ্যাদেশ কবে জারি করা হবে সেটি স্পষ্ট না করা পর্যন্ত আমরা সড়ক ছেড়ে যাব না।”
পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে সোমবার সকালে লং মার্চ করে সাত কলেজ ক্যাম্পাস থেকে শিক্ষার্থীরা শিক্ষা ভবনের দিকে আসেন।
বেলা ১১টা ২০ মিনিটে শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ ও কবি নজরুল সরকারি কলেজের শতাধিক শিক্ষার্থী মিছিল নিয়ে শিক্ষা ভবনের সামনে জড়ো হন। এ সময় তারা বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। পরে ঢাকা কলেজসহ অন্যান্য কলেজের শিক্ষার্থীরা সেখানে যোগ দেন।
অবস্থান নেওয়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে নারী শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি রয়েছে বেশ। তারা ‘অধ্যাদেশ নিয়ে টালবাহানা, চলবে না চলবে না’, ‘শিক্ষা নিয়ে বাণিজ্য চলবে না’–ইত্যাদি স্লোগান দিচ্ছেন।
শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের এক শিক্ষার্থী বলেন, “সরকার সাত কলেজকে নিয়ে কেন্দ্রীয় একটি বিশ্ববিদ্যালয় করার ঘোষণা দিলেও এখনও অধ্যাদেশ জারি হয়নি। আজকেই অধ্যাদেশ জারি করতে হবে। তা না হলে আমরা আরও কঠোর কর্মসূচি দেব।”
রাজধানীর সাত কলেজ নিয়ে ঢাকা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় গঠনের প্রক্রিয়া চলছে। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ও প্রশাসনিক কাঠামো প্রস্তাব করে গত ২৪ সেপ্টেম্বর অধ্যাদেশের খসড়া প্রকাশ করে অংশীজনদের মতামত চায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ।
গত ৯ অক্টোবর পর্যন্ত ইমেইলে ও সরাসরি মতামত সংগ্রহ করা হয়। রোববার শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইতোমধ্যে ৬ হাজারেরও অধিক মতামত পাওয়া গেছে।
বর্তমানে মতামতগুলো সংকলন ও বিশ্লেষণের কাজ চলছে জানিয়ে মন্ত্রণালয় বলছে, এ প্রক্রিয়া দ্রুত সম্পন্ন করে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, শিক্ষাবিদ ও শিক্ষা সংশ্লিষ্ট সুশীল সমাজের প্রতিনিধিসহ অংশীজনের সাথে শিগগিরই ধারাবাহিক পরামর্শ সভা আয়োজন করা হবে।
ঢাকা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ, সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ, কবি নজরুল সরকারি কলেজ, বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ, মিরপুর সরকারি বাঙলা কলেজ এবং সরকারি তিতুমীর কলেজকে নিয়ে ঢাকা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় গঠনের কার্যক্রম যখন চলছে, তখন কলেজগুলোকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরে আন্দোলন চালানো শিক্ষার্থীরা নতুন বিশ্ববিদ্যালয়টির আইনি কাঠামো দ্রুত নিশ্চিত করার পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন।
এদিকে ঢাকা কলেজের উচ্চমাধ্যমিকে পর্যায়ের শিক্ষার্থীরা রোববার সকালে সায়েন্সল্যাব এলাকায় মিছিল ও কয়েক মিনিট সড়ক অবরোধ করে ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি ‘স্বকীয়তা’ রক্ষার দাবি জানান।
আর কলেজগুলোর বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারভুক্ত শিক্ষকরা প্রস্তাবিত স্কুলিং সিস্টেমের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন।
