“যদি সব অস্ত্র উদ্ধার হত, সবকিছু নরমাল হতে, তা হলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী লাগত না। নির্বাচন হয়ে যেত।”
হতে সংগৃহিত
গত বছর জুলাই-অগাস্টের আন্দোলনের সময় থানা থেকে লুট হওয়া অস্ত্রের সবগুলোই উদ্ধার হওয়া সম্ভব নয় বলে মনে করছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
রোববার সচিবালয়ে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত কোর কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ বিষয়ে কথা বলেন।
অস্ত্র উদ্ধারের জন্য পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছিল, কেউ পুরস্কার পেয়েছে কি না, কত অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে, বাইরে থাকা অস্ত্রগুলো আগামী নির্বাচনের জন্য হুমকি তৈরি করবে কি না– এমন সব বিষয়ে প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে উপদেষ্টা বলেন, অস্ত্র উদ্ধারের তথ্যটি সংগ্রহ করে পরে তিনি দিতে পারবেন।
“নির্বাচনের সময় অস্থিতিশীল যেন করতে না পারে, সে ব্যবস্থা করা হচ্ছে। সব অস্ত্রতো সবসময় কোন সময় উদ্ধার হয় না। কিছু অস্ত্রতো বাইরে থাকবেই। এজন্যইতো আইনশৃঙ্খলা, যদি সব অস্ত্র উদ্ধার হত, সবকিছু নরমাল হতে, তা হলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী লাগত না। নির্বাচন হয়ে যেত।”
নির্বাচনের সময় আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ‘নিয়ন্ত্রণে থাকবে’ বলেই আশা প্রকাশ করেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।
‘সেইফ এক্সিট’ বিষয়ে সাবেক এক উপদেষ্টার মন্তব্যকে উদ্ধৃত করে ‘আপনি সেইফ এক্সিট চান কি না’ প্রশ্ন করা হলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, “কে কি চায় এটা তার ব্যক্তিগত বিষয়। আমার ছেলে মেয়ে সবই দেশে, আমি একা গিয়ে কি করব?”
সেনা কর্মকর্তাদের বিষয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের জারি করা গ্রেপ্তারি পরোয়ানার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “এটার ক্ষেত্রে আইনি যে প্রক্রিয়া সেটা আমরা গ্রহণ করব।”
আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল ‘আগের তুলনায় অনেক কমে এসেছে’ বলেও দাবি করেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।
তিনি বলেন, “পার্বত্য চট্টগ্রামের পরিস্থিতি এখন শান্ত এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ফ্যাসিস্টের লোকজন শারদীয় দুর্গাপূজা অনুষ্ঠান যাতে শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হতে না পারে, সেজন্য বিভিন্ন ষড়যন্ত্রের চেষ্টা করেছিল। কিছু ফ্যাসিস্ট বুদ্ধিজীবীও এতে ইন্ধন জুগিয়েছিল। কিন্তু আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সক্রিয় তৎপরতার কারণে তাদের চক্রান্ত নস্যাৎ করা সম্ভব হয়েছে।”
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সীমানা পুনর্নির্ধারণকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির যেন অবনতি না ঘটে, সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
