আশুগঞ্জ গোলচত্বর থেকে সরাইল-বিশ্বরোড মোড় পর্যন্ত প্রায় ১২ কিলোমিটার অংশ পরিদর্শন করবেন সড়ক পরিবহন উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান।
হতে সংগৃহিত
ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অংশ পরিদর্শনে গিয়ে যানজটে আটকা পড়েছেন সড়ক পরিবহন উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান।
বুধবার সকালে তিনি ট্রেনে করে কিশোরগঞ্জের ভৈরব রেলওয়ে স্টেশনে পৌঁছান। পরে সড়কপথে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় যাওয়ার পথে আশুগঞ্জের হোটেল ‘উজানভাটিতে’ যাত্রাবিরতি করেন।
সেখান থেকে যাত্রা শুরু করার পর আশুগঞ্জের বাহাদুরপুর থেকে ‘দীর্ঘ যানজটে’ আটকা পড়েন উপদেষ্টা।
আশুগঞ্জ থানার ওসি খায়রুল আলম বেলা পৌনে ১২টায় বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “উপদেষ্টা আশুগঞ্জ থেকে সরাইলের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেছেন।
“পথে আশুগঞ্জের বাহাদুরপুর মৈত্রী স্তম্ভ এলাকায় যানজটে আটকা পড়েন। ধীরে ধীরে গাড়ি আগাচ্ছে; বর্তমানে বেড়তলায় আছেন।”
এদিকে বুধবার সকাল থেকেই আশুগঞ্জের সোহাগপুর থেকে সরাইল উপজেলার শাহবাজপুর পর্যন্ত দীর্ঘ ১৫ কিলোমিটার এলাকায় যানজট সৃষ্টি হয়। হাইওয়ে পুলিশের দাবি, এক পাশে মালামাল রেখে সড়ক সংস্কার ও খানাখন্দের কারণে এই পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।
আশুগঞ্জ নৌবন্দর থেকে আখাউড়া স্থলবন্দর পর্যন্ত প্রায় ৫১ কিলোমিটার সড়ক চার লেনে উন্নীত করার কাজ চলছে। তবে প্রকল্পের কাজ চলছে ধীরগতিতে।
এ কারণে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের আশুগঞ্জ গোলচত্বর থেকে সরাইল-বিশ্বরোড মোড় পর্যন্ত যানজট নিত্যদিনের চিত্র। এই অংশে ছোট-বড় অসংখ্য গর্ত তৈরি হওয়ায় তীব্র যানজট ও ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে যাত্রীদের। ধীরগতির কারণে মহাসড়কের এ অংশ পাড়ি দিতে যানবাহনগুলোর সময় লাগে ৪-৬ ঘণ্টা।
প্রকল্পের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ওই ১২ কিলোমিটার অংশ পরিদর্শনে সড়ক পরিবহন উপদেষ্টা ফওজুল কবির খান আসার খবরে রোববার থেকে সড়কের খানাখন্দের ভরাট শুরু করা হয়। এক পাশ বন্ধ রেখে সংস্কার কাজ চালানোর কারণে গত তিনদিন ধরে সেখানে তীব্র যানজট বেধে আছে।
সওজ ও জেলা প্রশাসন কার্যালয় জানিয়েছে, পাঁচ হাজার ৭৯১ কোটি টাকার এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে ভারতীয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ‘এফকনস ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড’।
শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর দেশি অর্থ ও ভারতীয় ঋণে চলমান প্রকল্পের কাজ বন্ধ হয়ে যায়। ভারতীয় ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা কাজ ফেলে ফিরে যান।
প্রায় তিন মাস পর তারা ফিরে এসে কাজ শুরু করেন। এর মধ্যে তাদের অনেক মালামাল খোয়া গেছে। ৫ অগাস্টের পর প্রকল্পের কাজের গতি আরও কমে যায়। প্রতিষ্ঠানটির দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সেপ্টেম্বরের শেষে সরকার অতিরিক্ত ১৬৩ কোটি ৭০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়।
