পূর্বাভাস বলছে, রংপুর বিভাগের তিস্তা, ধরলা ও দুধকুমার নদ-নদীর পানি সমতল আগামী তিন দিন হ্রাস কমতে পারে।
হতে সংগৃহিত
তিস্তা, ধরলা ও দুধকুমার নদ-নদীর পানি কমে আগামী তিন দিনে দেশের উত্তরাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে বলে আভাস দিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র।
কেন্দ্রের সোমবারের নিয়মিত বুলেটিনে বলা হয়েছে, তিস্তা নদী রংপুরের কাউনিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার দুই সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
পূর্বাভাস কেন্দ্র বলছে, রংপুর বিভাগের তিস্তা, ধরলা ও দুধকুমার নদ-নদীর পানি সমতল আগামী তিন দিন হ্রাস কমতে পারে। এ সময়ে লালমনিরহাট, নীলফামারী, রংপুর ও কুড়িগ্রাম জেলার নদীসংলগ্ন নিম্নাঞ্চলে বিদ্যমান বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে।
বুলেটিনে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের অভ্যন্তরে রংপুর, রাজশাহী ও ময়মনসিংহ বিভাগে ভারি থেকে অতিভারি এবং উজানে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও মেঘালয় প্রদেশে ভারি বৃষ্টিপাত হয়েছে।
এই সময়ে পঞ্চগড়ে ১৫৩, কুড়িগ্রামে ১৪২, ময়মনসিংহে ৭০, সিরাজগঞ্জে ৭০ এবং পশ্চিমবঙ্গে কোচবিহারে ৭৫ মিলিমিটার নথিবদ্ধ করা হয়েছে।
আগামী তিন দিনে (সোমবার সকাল ৯টা থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা পর্যন্ত) দেশের অভ্যন্তরে এবং সংলগ্ন উজানে ভারতের প্রদেশগুলোতে মাঝারি থেকে মাঝারি-ভারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
এর প্রভাবে অববাহিকাগুলোর মধ্যে ব্রহ্মপুত্র-যমুনা নদ-নদীর পানি সমতল আগামী দুদিন বৃদ্ধি পেতে পারে এবং পরবর্তী তিন দিন স্থিতিশীল থাকতে পারে; তবে বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে।
গঙ্গা ও পদ্মা নদীর পানি সমতল আগামী তিন দিন বৃদ্ধি পেতে পারে এবং পরবর্তী দুদিন স্থিতিশীল থাকতে পারে; তবে বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে।
এছাড়া অন্য অববাহিকার মধ্যে রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের আপার করতোয়া-আপার আত্রাই, টাঙ্গন, পুনর্ভবা, ঘাঘট, আত্রাই, মহানন্দা, যমুনেশ্বরি ও করতোয়া নদীসমূহের পানি সমতল আগামী দুদিন বৃদ্ধি পেতে পারে এবং তৃতীয় দিন স্থিতিশীল থাকতে পারে।
চট্টগ্রাম বিভাগের গোমতী, মুহুরী, সেলোনিয়া, ফেনী, মাতামুহুরী, হালদা ও সাঙ্গু নদীর পানি সমতল আগামী ২৪ ঘণ্টা বৃদ্ধি পেতে পারে; তবে পরবর্তী দুদিন স্থিতিশীল থাকতে পারে।