আর দেরি না করে হামাসের প্রতিশ্রুতি অবশ্যই অনুসরণ করা দরকার বলে মন্তব্য করেছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট মাক্রোঁ।

হতে সংগৃহিত
ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের প্রস্তাবিত শান্তি পরিকল্পনার নির্দিষ্ট প্রধান কিছু অংশে সম্মতি জানানোর পর ডনাল্ড ট্রাম্প গাজায় বোমাবর্ষণ থামানোর জন্য ইসরায়েলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
কিন্তু তা সত্ত্বেও শনিবার ফিলিস্তিনি ছিটমহলটিতে হামলা অব্যাহত রেখেছে দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী; জানিয়েছে রয়টার্স।
আল জাজিরা গাজার সিভিল ডিফেন্স এজেন্সির বরাত দিয়ে জানিয়েছে, এ দিন ইসরায়েল গাজায় অনেকগুলো বিমান হামলা চালিয়েছে ও গোলাবর্ষণ করেছে। ভোর থেকে গাজাজুড়ে চালানো এসব হামলায় ত্রাণ নিতে যাওয়া লোকজনসহ অন্তত ২০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
মার্কিন শান্তি পরিকল্পনার বিষয়ে হামাসের মন্তব্যের পর ট্রাম্প যে আহ্বান জানিয়েছেন তা নিয়ে সারা বিশ্ব থেকে প্রতিক্রিয়া এসেছে। রয়টারর্সের অবলম্বনের তার মধ্যে থেকে কিছু তুলে ধরা হল।
ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ফন ডার লায়েন
“যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের সাম্প্রতিক প্রস্তাবে হামাসের সাড়া ও জিম্মি মুক্তিতে প্রস্তুত থাকার অবস্থান উৎসাহব্যঞ্জক। এই মুহূর্তটিকে অবশ্যই ধরতে হবে। গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি ও সব জিম্মির মুক্তি আওতার মধ্যে।”
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাক্রোঁ
“গাজায় যুদ্ধবিরতি ও সব জিম্মির মুক্তি নাগালের মধ্যে! কোনো দেরি না করে হামাসের প্রতিশ্রুতি অবশ্যই অনুসরণ করা দরকার। আমাদের এখন শান্তির দিকে চূড়ান্ত অগ্রগতি অর্জনের সুযোগ আছে। আমি প্রেসিডেন্ট @প্রকৃতডনাল্টট্রাম্প ও তার দলকে শান্তির প্রতি তাদের প্রতিশ্রুতির জন্য ধন্যবাদ দিতে চাই।”
জার্মানির চ্যান্সেলর ফ্রিডরিশ ম্যার্ৎস
“জিম্মিদের অবশ্যই মুক্তি দিতে হবে। হামাসকে অস্ত্রমুক্ত করতে হবে। লড়াই অবিলম্বে বন্ধ হওয়া দরকার। এগুলোর সবই খুব দ্রুত হওয়া উচিত। প্রায় দুই বছর পর শান্তির জন্য এটাই সেরা সুযোগ। জার্মানি অংশগ্রহণ চালিয়ে যাবে।”
যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার
“হামাসের যুক্তরাষ্ট্রের শান্তি পরিকল্পনা মেনে নেওয়া একটি উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি। আমরা দৃঢ়ভাবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রচেষ্টার প্রতি সমর্থন জানাই, যা আমাদের আগের যে কোনো সময়ের চেয়ে শান্তির বেশি কাছাকাছি নিয়ে এসেছে। এখন আগের যে কোনো সময়ের চেয়ে, জিম্মিদের বাড়িতে ফেরত আসার, লড়াই শেষ করার এবং যাদের মানবিক ত্রাণ সহায়তা খুব প্রয়োজন তাদের কাছে সেটি পৌঁছানোর একটি সুযোগ আছে।”
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী
“প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নেতৃত্বে গাজার শান্তি প্রচেষ্টায় নিশ্চিত অগ্রগতিকে আমরা স্বাগত জানাই। জিম্মিদের মুক্তির ইঙ্গিত উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি। টেকসই ও ন্যায্য শান্তির প্রতি সব ধরনের প্রচেষ্টার প্রতি ভারত দৃঢ় সমর্থন জানানো অব্যাহত রাখবে.” সামাজিক মাধ্যম এক্স এ লিখেছেন তিনি।
স্পেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসে লুইস আলবারেস
“অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি, খাদ্য ও মানবিক ত্রাণের প্রবেশ, জিম্মিদের মুক্তি, সবকিছুকে স্বাগত।”
“এটি চূড়ান্ত পদক্ষেপ নয়। এখনও অনেক বাধা আছে। মৌলবাদী সংগঠনগুলোকে (হামাস) অবশ্যই অস্ত্রমুক্ত করতে হবে। আমরা চাই, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী এই গোষ্ঠীটির বিরুদ্ধে সব ধরনের সামরিক পদক্ষেপ নিশ্চিতভাবে বন্ধ করুক।”
তিনি স্পেনের রাষ্ট্রায়ত্ত গণমাধ্যম আরটিভিই কে বলেন, “কী ফিলিস্তিনি জনগণ, ইসরায়েলের জনগণের জন্য শান্তি নিয়ে আসবে, একটি বাস্তব ও কার্যকর ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের অস্তিত্ব।”
কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি
“হামাসের ক্ষমতা ত্যাগ করার এবং জীবিত ও মৃত সব জিম্মিকে মুক্তি দেওয়ার প্রতিশ্রুতিকে কানাডা স্বাগত জানায়। প্রতিশ্রুতিগুলোকে বাস্তবে পরিণত করতে আর ওই অঞ্চলের শান্তি ও নিরাপত্তা এগিয়ে নিতে অবিলম্বে কাজ শুরু করার জন্য আমরা সব পক্ষকে উৎসাহিত করছি।”
অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ
“প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের গাজায় শান্তি আনার পরিকল্পনার অগ্রগতিকে অস্ট্রেলিয়া স্বাগত জানায়। আমাদের অংশীদারদের সঙ্গে মিলে অস্ট্রেলিয়া এই যুদ্ধ বন্ধের প্রচেষ্টাগুলোতে অব্যাহত সমর্থন দিয়ে যাবে এবং ন্যায্য ও টেকসই দ্বি-রাষ্ট্রীক সমাধানের জন্য কাজ করে যাবে।”