“রাব্বি চেয়ারম্যানের ভাতিজা হলেও তাকে কেউ চিনত না। এটা নিয়ে তার হিংসা ছিল। এ কারণে রাব্বি অন্যান্য আসামিদের নিয়ে রাসেলকে খুন করেছে।”
হতে সংগৃহীত
কেরানীগঞ্জের শুভাঢ্যা ইউনিয়নের সাইফুল ইসলাম রাসেল ‘চাঁদার টাকার ভাগবাটোয়ার দ্বন্দ্বের জেরে’ বন্ধুদের নিদারুণ নির্যাতনে খুন হন বলে উঠে এসেছে পুলিশের তদন্ত প্রতিবেদনে।
মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, ঢাকার কেরানীগঞ্জে ‘আব্বা বাহিনীর’ প্রধান আফতাব উদ্দিন রাব্বি ভিকটিম রাসেলকে তার সহযোগীদের নিয়ে পিটিয়ে মারাত্মক আহত করেন। রাসেল প্রাণ বাঁচাতে রাব্বীকে ‘আব্বা, আব্বা’ ডেকেও রেহাই পাননি। পরে অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়া হলে মারা যান ৩৪ বছরের এই যুবক।
রাসেল শুভাঢ্যা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইকবাল হোসেনের পিএস ছিলেন। আর রাব্বি হলেন চেয়ারম্যান ইকবালের ভাতিজা; তিনি কেরানীগঞ্জ থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক।
এক কন্যা সন্তানের জনক রাসেল পরিবার নিয়ে দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জের ভাড়া বাসায় থাকতেন। তিনিও আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন।
রাসেলের গ্রামের বাড়ি বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জের ভাসানচরে। ৫ অগাস্টে সরকার পতনের পর রাসেলের পুরো পরিবার কেরানীগঞ্জ ছেড়েছে। এখন পরিবারের সদস্যরা দেশের বিভিন্ন জায়গায় আত্মীয়দের বাড়িতে ভাগাভাগি হয়ে থাকেন।
এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা গত বছরের ১০ জানুয়ারির। ঘটনার পরদিন রাসেলের বাবা তোফাজ্জল হাওলাদার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় মামলা করেন।
মামলা তদন্ত করে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার এসআই জুলফিকার আলী ৩৪ জনকে আসামি করে এবং সাত জনের অব্যাহতির সুপারিশ করে চলতি বছরের ২৯ জুন আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
অভিযোগপত্রে নাম আসা আসামিরা হলেন-আফতাফ উদ্দির রাব্বি, আলমগীর হোসেন ওরফে ঠান্ডু, আমির হোসেন, শিপন আহমদ, রাশেদ বেপারী, আরাফাত হোসেন অপু, সুমন ওরফে দুর্বল সুমন, দেলোয়ার ওরফে দেলু, অভি, রনি ওরফে ভাইস্তা রনি, দ্বারাজ সুমন, রিপন ওরফে তোতলা রিপন, (এজাহারনামীয়) অনিক হাসান হীরা, রাজীব আহমেদ, রতন শেখ, সজীব, ফিরোজ খান, মাহফুজুর রহমান, রুবেল শেখ, আরমান, তৌহিদুল ইসলাম বান্না, বি এস বাবু, রাব্বনী ওরফে নাইম, শ্যামল, বাপ্পী ওরফে লাল বাপ্পী, রানা, জুম্মন, শফিকুল ইসলাম ওরফে শফিক, রাকিব, মামুন আহম্মেদ ওরফে মাইকেল ওরফে বাবু, সালাউদ্দিন শেখ, মোবাইল সোহেল, হিরণ, মিলন।
তবে সবুজ, ইমরান, উজ্জল, ভোটকা শরীফদের শনাক্তসহ গ্রেপ্তার ও সঠিক নাম-ঠিকানা সংগ্রহ করা সম্ভব না হওয়ায় এবং আসাদুজ্জামান রনি, ফেরদৌস রহমান বাবু ও আতাউর রহমান সানির বিরুদ্ধে ঘটনার সাথে জড়িত বিষয়ে সাক্ষ্য প্রমাণ না পাওয়ায় তাদের মামলার দায় থেকে অব্যাহতির সুপারিশ করেন তদন্ত কর্মকর্তা।
তবে এ অভিযোগপত্রে সন্তুষ্ট নয় রাসেলের পরিবার। তারা রাসেলের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ মানতে নারাজ।
অভিযোগপত্রের বিরুদ্ধে নারাজি দাখিল করা হবে জানিয়ে সময় আবেদন করেন বাদীপক্ষের আইনজীবী আলী আহসান। গত ১৮ সেপ্টেম্বর শুনানিতে ঢাকার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম মাহফুজুর রহমান নারাজি দাখিলের নতুন দিন দিয়েছেন। প্রসিকিউশনের এএসআইয় জাহিদুল ইসলাম জানিয়েছেন, আগামী ২৩ অক্টোবর নারাজি দাখিলের দিন ঠিক করেছেন বিচারক।
রাসেলের ভাই মো. হৃদয় বলেছেন, তার ভাইয়ের চাঁদাবাজির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ ‘সঠিক নয়’। রাজনীতির মাঠের সঙ্গীদের হাতেই রাসেল ‘খুন হয়েছেন’। এলাকায় চেয়ারম্যানের ভাতিজা রাব্বির তুলনায় রাসেলের ‘পরিচিতি বেশি হওয়ার কারণে’ ব্যক্তি হিংসা থেকে রাসেলকে হত্যা করা হয়েছে বলে ভাষ্য হৃদয়ের।
আর রাসেলের স্ত্রী ইতি আক্তার স্বামী হত্যার বিচার চেয়েছেন।
অভিযোগপত্রে যা আছে
অভিযোগপত্রে তদন্ত কর্মকর্তা বলেছেন, রাব্বি আওয়ামী লীগের রাজনীতি করেন। কেরানীগঞ্জ থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। তার বাবা হাজী বাছের উদ্দিন শুভাঢ্যা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং চাচা শুভাঢ্যা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান।
রাব্বী রাজনৈতিক ও পারিবারিকভাবে প্রভাবশালী। মামলার অপর আসামিরা আওয়ামী রাজনীতি করে। পক্ষান্তে মামলার ভিকটিম রাসেল আওয়ামী রাজনীতির সাথে জড়িত এবং রাব্বীর চাচা কেরানীগঞ্জের শুভাঢ্যা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইকবাল হোসেনের পিএস হিসেবে চাকরি করতেন। সেই সুবাদে রাসেলের সঙ্গে রাব্বিসহ সব আসামির সুসম্পর্ক গড়ে ওঠে।
রাসেল প্রায়ই রাব্বীর অফিসে (আওয়ামী লীগ অফিস) যাওয়া আসা করতেন, আড্ডা দিতেন। সবাই মিলে বৈধ বা অবৈধ উপায়ে অর্থ উপার্জনের বিষয়ে আলাপ করতেন।
অভিযোগপত্রে বলা হয়, “রাব্বি তার চাচার পিএস রাসেলের মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যবসায়ী, ফুটপাত ব্যবসায়ী, মাদক ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চাঁদা টাকা আনাতেন। প্রতিদিনের মত ২০২৪ সালের ৯ জানুয়ারি রাত ৮টার দিকে কেরানীগঞ্জের তৈলঘাট মসজিদ রোডের পারভীন টাওয়ারের নিচতলায় রাব্বির অফিসে আড্ডা দেওয়ার সময় রাসেল প্রসঙ্গে কথা উঠে আসে।
“আলোচনায় আসে, রাসেল রাব্বির বাবা, চাচাদের নাম ভাঙিয়ে ফুটপাত ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন অবৈধ ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করলেও সেই চাঁদার বেশিরভাগ রাব্বীকে দিত না। তখন রাব্বিসহ অপর আসামিরা রাসেলকে মেরে ফেলার পরিকল্পনা করে এবং তা বাস্তবায়নে রাব্বি রাসেলকে মারতে মারতে ধরে আনার হুকুম দেয়। হুকুম পাওয়া মাত্র আসামিরা কালীগঞ্জ বয়েজক্লাবের রাসেলের অফিসে তাকে মারধর করে এবং ধাক্কাতে ধাক্কাতে তৈলঘাট মসজিদ রোডের পারভীন টাওয়ারের নিচতলায় রাব্বীর অফিসে নিয়ে আসে।
“রাব্বি অফিসে থাকা সকল আসামিকে বের করে রাসেলকে অফিসের মধ্যে আটকে রেখে দরজা বন্ধ করে দেয়। রাসেলকে তার এবং তার বাবা, চাচাদের নাম ভাঙিয়ে বিভিন্ন জায়গা থেকে চাঁদা আদায়ের টাকার ভাগ চায় এবং রাসেল কিল, ঘুষি, লাথি মারতে থাকে রাব্বি। বেশকিছু সময় সে একাই ইচ্ছেমত রাসেলকে মেরে মনের খায়েশ মেটানোর পর অফিসের দরজা খুলে দেয়। অপর সকল আসামিকে মারার হুকুম দেয়।”
তদন্ত কর্মকর্তা জুলফিকার আলী তার প্রতিবেদনে বলেন, “আসামিরা আনন্দ উল্লাস করে অফিসে প্রবেশ করে। রাসেলকে হত্যার উদ্দেশে দীর্ঘ সময় ধরে থেমে থেমে কিল, ঘুষি, লাথি মারে এবং পৈশাচিক নির্যাতন করে। কেউ কেউ মোবাইলে তা ভিডিও করে। রানা ঝাড়ুর মাথা দিয়ে রাসেলের মাথায় আঘাত করে। রিপন কাঁচি দিয়ে রাসেলের চুল কেটে দেয়।
“রাসেল আসামিদের পৈশাচিক নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে বাঁচার জন্য চিৎকার করতে করতে রাব্বিকে আব্বা, আব্বা বলে ডাকতে থাকে। তারপরও রাব্বি রাসেলের কোনো কথা না শুনে নিজেসহ অপর আসামিদের রাসেলকে পালাক্রমে পৈশাচিক নির্যাতন করতে থাকে। মারপিটে রাসেল অজ্ঞান হয়ে পড়ে। জ্ঞান ফিরলে আবার মারপিট করে।”
অভিযোগপত্রে বলা হয়, “ভাইরাল হওয়া এক ভিডিওতে দেখা যায়, রাসেল আসামিদের মারপিট ও পৈশাচিক নির্যাতনে রাব্বিকে চিৎকার করতে করতে আব্বা, আব্বা বলে ডাকছে। আরেক ভিডিওতে দেখা যায়, রাসেল প্রায় অচেতন হয়ে পড়েছে দেয়ালে হেলান দেওয়া অবস্থায়। এক পর্যায়ে রাসেলের স্ত্রী সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন। তখন রাব্বি তার কাছে ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। টাকা পেলে রাসেলকে ছেড়ে দেবে বলে রাব্বী জানায়।
“দীর্ঘ সময় রাসেলকে নির্যাতনের পর রাত দেড়টার দিকে রানা, রুবেল, লাল বারী, শিপন এবং রাকিব রাসেলকে বাসায় পৌঁছে দেয় এবং তারা সেখানে অবস্থান করতে থাকে। রাসেল গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে তার স্ত্রী তাকে মিটফোর্ডে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।”
তদন্ত কর্মকর্তা বলেছেন, পরবর্তীতে আসামিরা ‘কৌশলে’ রাসেলের মৃতদেহ হাসপাতাল থেকে বের করে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার দরগাবাড়ী মসজিদের ভেতর রেখে দাফন কাফন করার প্রস্তুতি নিয়েছিল। কিন্তু তা করতে না পারায় মসজিদের ভেতরেই মৃতদেহ রাখা হয়।
পরদিন পুলিশ খবর পেয়ে রাত ৮টার দিকে মসজিদে গিয়ে রাসেলের মৃতদেহ উদ্ধার পরে। এবং সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুত করার পর ময়নাতদন্তের জন্য লাশ হাসপাতালেরন মর্গে পাঠায়।
পরিবারের অভিযোগ
মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে রাসেলের ভাই হৃদয় বলেন, তার ভাই যাদের সঙ্গে রাজনীতি ও মেলামেলা করেছেন, তারাই তার ভাইকে ‘খুন করেছেন’।
“হিংসা থেকে তাকে খুন করেছে। কারণ আমার ভাইকে সবাই চিনতো। রাব্বি চেয়ারম্যানের ভাতিজা হলেও তাকে কেউ চিনত না। এটা নিয়ে তার হিংসা ছিল। এ কারণে রাব্বী অন্যান্য আসামিদের নিয়ে তাকে খুন করেছে।”
চাঁদার টাকার ভাগবাটোয়ারা নিয়ে খুন বিষয়টি দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে হৃদয় বলেন, “এটা মিথ্যা কথা। ওরা (আসামিরা) এসব বানায় বানায় চলছে। আমার ভাই চাঁদাবাজির সাথে জড়িত না।”
রাসেলের স্ত্রী ইতি আক্তার বলেন, “আমার সামনে আমার স্বামীকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে। আমি এর বিচার চাই। জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক সাজা চাই।”
একমাত্র উপার্জনকারী ব্যক্তিকে হারিয়ে সব এলোমেলো হয়ে পড়েছে জানিয়ে ইতি বলেন, মেয়ের পড়াশোনা আর সংসার চালাতে তাকে টিউশনি করতে হচ্ছে।
এক প্রশ্নের জবাবে ইতি আক্তার বলেন, “আমি তো ঘরে থাকতাম। সে চাঁদাবাজি করত কি না আমি জানি না।”
আসামি সালাহউদ্দিনের আইনজীবী সাইদুর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “যেহেতু মামলার অভিযোগপত্র এসে গেছে, আমরা ট্রায়াল ফেইস করব। তাদের নির্দোষ প্রমাণে চেষ্টা করে যাব।”
মামলায় রাসেলের বাবা তোফাজ্জল হাওলাদার বলেন, তার তিন ছেলে এবং চার মেয়ের মধ্যে রাসেল সবার বড়। দীর্ঘদিন ধরে রাসেল পরিবার নিয়ে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার খেজুরবাগ মোজাম্মেল মাস্টারের বাড়িতে ভাড়া থেকে, শুভাঢ্যা ইউনিয়নের ইকবাল চেয়ারম্যানের সাথে ‘চলাফেরা’ করত।
২০২৩ সালের ১০ জানুয়ারি বিকেল চারটার দিকে স্থানীয় লোকজনের মাধ্যমে তিনি জানতে পারেন যে, রাসেলকে আহত অবস্থায় চিকিৎসার জন্য মিটফোর্ডে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। সংবাদ পাওয়ার সেখানে গিয়ে তিনি জরুরি বিভাগে রাসেলের স্ত্রী ইতিকে দেখেন এবং তার ছেলেকে স্ট্রেচারের উপর শোয়া অবস্থায় দেখতে পান। ইতি তখন তোফাজ্জল হাওলাদারকে বলেন, রাসেলকে চিকিৎসক পরীক্ষা নিরীক্ষা করে মৃত ঘোষণা করেছেন।
মামলায় বলা হয়েছে, “ইতির কাছে রাসেলের বাবা তোফাজ্জল হাওলাদার জানতে পারেন, সেদিন রাত ৮টার দিকে রাসেল বাসা থেকে বের হয়েছিলেন। রাত সাড়ে ১১টার দিকে রাসেল যখন বাসায় ফিরে আসে, তখন মাথার চুল ছিল এলোমেলোভাবে কাঁটা ও সারা মুখে আঘাতের চিহ্ন ছিল এবং কান দিয়ে রক্ত বের হচ্ছিল। বাসা থেকে বের হয়ে তেলঘাট এলাকায় যাওয়ার পর রাব্বি তাকে রাত ৯টার দিকে কেরানীগঞ্জের তৈলঘাট মসজিদ রোডের (পারভীন টাওয়ার) নিচতলায় অফিস কক্ষে নিয়ে আটক রাখে।
“তারপর লাঠিসোঁটা দিয়ে কয়েকজন মিলে এলোপাতাড়িভাবে পিটিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করে দেয়। এছাড়া চড় থাপ্পর কিল, ঘুষি মারা হয় তাকে এবং মাথার চুলও কেটে দেওয়া হয়। রাসেল গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে অজ্ঞাতনামা ৩/৪ জনের মাধ্যমে রাসেলকে বাসায় পাঠিয়ে দেয় তারা। পরবর্তীতে রাসেলের স্ত্রী তাকে চিকিৎসার জন্য দ্রুত স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, মিটফোর্ড, ঢাকায় নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক পরীক্ষা নিরীক্ষা করে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।”
