মঙ্গলবার রাতে অষ্টম শ্রেণির এক মারমা স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া যায়।
হতে সংগৃহীত
মারমা কিশোরীকে ‘ধর্ষণে’ জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবিতে খাগড়াছড়িতে সকাল-সন্ধ্যা সড়ক অবরোধ চলছে।
‘জুম্ম ছাত্র-জনতা’র ডাকে শনিবার সকাল থেকে অবরোধের কারণে খাগড়াছড়ির সঙ্গে ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাঙামাটির সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।
এ ছাড়া খাগড়াছড়ি জেলা সদরের সঙ্গে দীঘিনালা, পানছড়ি, রামগড়, মহালছড়িসহ নয় উপজেলার সড়ক যোগাযোগও বন্ধ। এতে স্থানীয়দের পাশাপাশি বিপাকে পড়েছেন পর্যটনকেন্দ্র সাজেকগামী পর্যটকেরা। তারা শহরে আটকে আছেন।
খাগড়াছড়িতে বেড়াতে আসা পর্যটক আশুতোষ, সাইদুল ও রাকিব বলেন, অবরোধের বিষয়টি তাদের জানা ছিল না। এখানে এসে আটকা পড়েছেন। সাজেকে যাওয়ার পর্যটকবাহী গাড়ি ছাড়ছে না।
অনেকে পরিবার নিয়ে বেড়াতে এসে আটকা পড়েছেন। শাপলা চত্বরের মুক্তমঞ্চে অনেক পর্যটককে অপেক্ষা করতে দেখা গেছে। তারা ভোগান্তির কথা বলছিলেন।
অবরোধের সমর্থনে ভোরে খাগড়াছড়ির সদরের চেঙ্গী স্কয়ার, জিরো মাইল, স্বনির্ভরসহ বেশ কিছু জায়গায় টায়ার ও গাছের গুঁড়িতে আগুন দিয়েছে পিকেটাররা। পরে পুলিশ গিয়ে সড়ক থেকে তা অপসারণ করে। তবে পৌর শহরের ভিতরে ইজিবাইক, অটোরিকশা, মোটরসাইকেল চলাচল করতে দেখা গেছে।
খাগড়াছড়ি সদর থানার ওসি আব্দুল বাতেন মৃধা বলেন, “কিশোরী ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের দাবিতে খাগড়াছড়িতে সড়ক অবরোধ চলছে। আমরা কঠোর অবস্থানে রয়েছি যাতে কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটতে না পারে।”
মঙ্গলবার রাতে অষ্টম শ্রেণির এক মারমা স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া যায়। তার বাবা অজ্ঞাত তিনজনকে আসামি করে সদর থানায় মামলা করেছেন। বুধবার সেনাবাহিনীর সহায়তায় পুলিশ শয়ন শীল (১৯) নামে এক তরুণকে গ্রেপ্তার করে।
একই দাবিতে বৃহস্পতিবার খাগড়াছড়ি জেলায় আধাবেলা সড়ক অবরোধ পালন করেছে ‘জুম্ম ছাত্র-জনতা’।
