এ নিয়ে তিন ফায়ার সদস্যসহ চারজনের মৃত্যু হল।
হতে সংগৃহীত
গাজীপুরের টঙ্গীতে রাসায়নিক গুদামের আগুন নেভাতে গিয়ে দগ্ধ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ওয়্যারহাউজ পরিদর্শক খন্দকার জান্নাতুল নাঈম মারা গেছেন।
শনিবার বেলা ১০টায় ঢাকার জাতীয় বার্ন ওই প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয় বলে জানিয়েছেন সেখানকার আবাসিক সার্জন শাওন বিন রহমান। এ নিয়ে ওই ঘটনায় তিন ফায়ার সদস্যসহ চারজনের মৃত্যু হল।
শাওন বিন রহমান বলেন, “৩৮ বছর বয়সী খন্দকার জান্নাতুল নাঈমের শরীরের ৪২ শতাংশ আগুনে পুড়ে গিয়েছিল। আমাদের এখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ তার মৃত্যু হয়।”
এর আগে শুক্রবার চিকিৎসাধীন অবস্থায় দোকান কর্মচারী বাবু হাওলাদার মারা যান। তার আগে বুধবার টঙ্গী ফায়ার স্টেশনের ফায়ার ফাইটার মোহাম্মদ নুরুল হুদা এবং মঙ্গলবার বিকালে ফায়ার ফাইটার শামীম আহমেদ মারা যান।
গত সোমবার টঙ্গীর সাহারা মার্কেটে একটি রাসায়নিকের কারখানায় আগুন নেভাতে গিয়ে ফায়ার ফাইটার নুরুল হুদা, জয় হাসান ও মো. শামীম এবং অফিসার জান্নাতুল নাঈম দগ্ধ হন। তাদের মধ্যে শামীম ও নুরুল হুদার শরীরের শতভাগ দগ্ধ হয়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাদের ঢাকার জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নিয়ে আসা হয়।
স্থানীয়রা বলছেন, টিনশেডের গুদামটি একটি পোশাক কারখানার। সোমবার বিকালে হঠাৎ সেখানে বিস্ফোরণ ঘটে। বিস্ফোরণের পর ভেতরে থাকা লোকজন দৌড়ে বের হয়ে আসেন। ফায়ার সার্ভিসের লোকজন আগুন নেভানোর কাজ শুরুর পর রাসায়নিকের এক ড্রামের বিস্ফোরণ ঘটে। তাতেই চারজন দগ্ধ হন।
ফায়ার সার্ভিসের মিডিয়া সেল কর্মকর্তা তালহা বিন জসিম জানান, খন্দকার জান্নাতুল নাঈম ১৯৮৮ সালের ২৪ অগাস্ট শেরপুরের নকলা উপজেলার গড়দুয়ারা ইউনিয়নের খন্দকার বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি মোল্লার টেক উদয়ন বিদ্যালয় থেকে ২০০৪ সালে এসএসসি ও ফুলপুর ডিগ্রি কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। পরবর্তীতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।
নাঈম ২০১৬ সালের ২৪ অগাস্ট বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সে যোগদান করেন। চাকরি জীবনে স্টেশন অফিসার হিসেবে মানিকগঞ্জ ও নারায়ণগঞ্জ ফায়ার স্টেশনে দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীতে পদোন্নতি পেয়ে ওয়্যারহাউজ ইন্সপেক্টর হিসেবে চট্টগ্রাম ও সর্বশেষ টঙ্গী ফায়ার স্টেশনে কর্মরত ছিলেন। এক সন্তানের জনক নাঈমের বাবার নাম খন্দকার মোজাম্মেল হক, মাতা দেলোয়ারা বেগম।