মাঠে সাহিবজাদা ফারহান ও হারিস রউফের অঙ্গভঙ্গি নিয়ে আইসিসিতে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছে ভারতের ক্রিকেট বোর্ড।
হতে সংগৃহিত
পাকিস্তানের ওপেনার সাহিবজাদা ফারহান ও ফাস্ট বোলার হারিস রউফের বিরুদ্ধে আইসিসিতে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছে বোর্ড অব কন্ট্রোল ফর ক্রিকেট ইন ইন্ডিয়া (বিসিসিআই)। গত রোববার দুবাইয়ে ভারতের বিপক্ষে মাঠে এই দুই ক্রিকেটারের অঙ্গভঙ্গি নিয়ে আপত্তির কথা জানিয়েছে ভারতীয় বোর্ড।
নির্ভরযোগ্য সূত্রের বরাত দিয়ে ক্রিকেট ওয়েবসাইট ইএসপিএনক্রিকইনফোর খবর, বুধবার আনুষ্ঠানিক অভিযোগ জানিয়ে মেইল করেছে বিসিসিআই।
সাহিবজাদা ও রউফ যদি এই অভিযোগ অস্বীকার করেন, তাহলে ব্যাপারটি গড়াতে পারে শুনানি পর্যন্ত। ওই ম্যাচের ম্যাচ রেফারি ছিলেন অ্যান্ডি পাইক্রফট। তবে শুনানি হতে পারে টুর্নামেন্টের অন্য ম্যাচ রেফারি রিচি রিচার্ডসনের সামনে।
এশিয়া কাপের সুপার ফোর পর্বের ম্যাচটিতে ফিফটি করার পর ব্যাটকে বন্দুকের মতো ধরে গুলি করার মতো ভঙ্গি করেন ফারহান। যেটিকে মনে করা হচ্ছে, ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের দিকে ইঙ্গিত।

আঙুল দিয়ে ছয় সংখ্যাটি ইঙ্গিত করে দেখান রউফ। ছবি: ভিডিও থেকে।
রউফের ঘটনা সীমানার দিকে ফিল্ডিংয়ের সময়। দর্শকদের একটি অংশের দিকে দেখিয়ে তিনি হাত দিয়ে ইঙ্গিত করেন, বিমান উড়তে উড়তে হুট করে ভূপাতিত হয়ে যাচ্ছে। পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার পর ভারত-পাকিস্তানের যুদ্ধে ভারতীয় যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত করার পাকিস্তানের যে দাবি, সেটির দিকেই ইঙ্গি মনে করা হচ্ছে পাকিস্তানি পেসারের এই অঙ্গভঙ্গিকে।
এছাড়া বোলিংয়ে উইকেট নেওয়ার পরও বিমান ওড়ার মতো ভঙ্গি করেন রউফ এবং দুই হাতে আঙুলে ছয় সংখ্যাটি দেখান। যেটিকে মনে করা হচ্ছে, ভারতের ছয়টি যুদ্ধবিমান ধ্বংস করার দাবির দিকে ইঙ্গিত।
সাহিবজাদা ও রউফের এই শারীরিক ভঙ্গি সামাজিকমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে প্রবলভাবে। আলোচনা-সমালোচনাও হয়েছে বিস্তর।
পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের সঙ্গে দুই ম্যাচে ভারতীয় ক্রিকেটারদের হাত না মেলানো নিয়ে এমনিতেই উত্তপ্ত পরিস্থিতি দুই দেশে। সেটি নিশ্চিতভাবেই আরও নতুন করে উসকে দেবে ভারতের এই অভিযোগ।
পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডও (পিসিবি) ভারতীয় অধিনায়ক সুরিয়াকুমার ইয়াদাভের বিরুদ্ধে আইসিসিতে অভিযোগ জানিয়েছে বলে পাকিস্তানের নানা সংবাদমাধ্যমে উঠে এসেছে। যদিও সেটির সত্যতা নিশ্চিত হওয়া যায়নি এখনও। পাকিস্তানের বিপক্ষে গ্রুপ পর্বের ম্যাচের পর ভারতীয় অধিনায়ক জয়টি উৎসর্গ করেন তার দেশের সশস্ত্র বাহিনীকে এবং পেহেলগাম হামলায় আক্রান্তদের ও তাদের পরিবারের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করেন। পাকিস্তানের বোর্ডের মতে, ক্রিকেট মাঠে ‘রাজনৈতিক’ মন্তব্য করেছেন ভারতীয় অধিনায়ক।
এশিয়া কাপে মাঠের লড়াইয়ে গ্রুপের ম্যাচের মতো সুপার ফোর পর্বেও ভারতের সামনে পাত্তা পায়নি পাকিস্তান।