“বডি ক্যামেরা কেনার খরচ বাংলাদেশ সরকারই দেবে; ইউএনডিপি পণ্যের সঠিক মান ও মূল্য নির্ধারণের সহযোগিতা করবে,” বলেন সালেহউদ্দিন।
হতে সংগৃহিত
আগামী ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় সংসদ নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়ক হিসেবে ৪০ হাজার বডি-ওর্ন ক্যামেরা (বডিক্যাম) কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
মঙ্গলবার সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক শেষে এ কথা জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ।
তিনি বলেছেন, “জাতীয় নির্বাচনে দায়িত্ব পালনকারী পুলিশদের জন্য বডি ক্যামেরা দেওয়া হবে। ৪০ হাজারের অধিক বডি ক্যামেরার জন্য প্রাথমিকভাবে পরিকল্পনা করা হয়েছে। আমরা এটা অনুমোদন করেছি।”
আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের ঘোষণা রয়েছে। নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হবে কি না তা নিয়ে সংশয়ের মধ্যে বডি ক্যামেরা কেনার ঘোষণা দিল সরকার।
বডি ক্যামেরা কেনার খরচ সম্পর্কে জানতে চাইলে সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, “টাকার অংক নাই বললাম, কারণ এটা আমরা প্রকিউর করব ইউএনডিপির মাধ্যমে। যেমনইভাবে আমরা ইপিআই টিকা ইউনিসেফের মাধ্যমে আনাই।
“বডি ক্যামেরা কেনার খরচ বাংলাদেশ সরকারই দেবে। ইউএনডিপি পণ্যের সঠিক মান ও মূল্য নির্ধারণের সহযোগিতা করবে। এতে করে আর কোনো বিতর্ক সৃষ্টি হবে না। কারণ, আমরা কারো সাথে মূল্য নিয়ে নেগোসিয়েশন করতে চাচ্ছি না।”
বাংলাদেশে পুলিশকে প্রথম বডিক্যাম দেওয়া হয় ২০১৪ সালে। প্রথমে ঢাকা মহানগর পুলিশ এবং পরে ট্রাফিক পুলিশকে এই ক্যামেরা ব্যবহার করতে দেওয়া হয়। পরে বিভিন্ন জেলায় ট্রাফিক সার্জেন্টরা এই ক্যামেরা পান।
ক্যামেরাটি দায়িত্বরত পুলিশের বুকে কিংবা কপালে লাগানো থাকে। যে কোনো অভিযান, চেকপোস্টে তল্লাশি এবং গুরুত্বপূর্ণ ডিউটিতে পুলিশ সদস্যদের পোশাকের সঙ্গে থাকা লাইভ ক্যামেরা কাজ করে। পুলিশ সদর দপ্তরের মনিটরিং সেল এসব ক্যামেরা কেন্দ্রীয়ভাবে নিয়ন্ত্রণ এবং মনিটর করে।
ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিমানবন্দর সংস্কার ও উন্নয়নে দুটি প্রস্তাব পাস হয়েছে বলে জানান উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন।
তিনি বলেন, “চট্টগ্রামের শাহ আমানত বিমানবন্দরকে আপগ্রেড করার জন্য, ঢাকা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কন্ট্রোল টাওয়ার আধুনিকায়নের প্রস্তাব আমরা অনুমোদন করেছি।”
বিমানবন্দরের সংস্কার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “চট্টগ্রাম বিমানবন্দরের রানওয়েটা আরো প্রশস্ত করা প্রয়োজন। সেটা এখন গ্রেড ওয়ান পর্যায়ে আছে, এটাকে গ্রেড টুতে উন্নীত করা হবে। আর ঢাকার কন্ট্রোল টাওয়ার আরও উন্নত করা হবে।”