তার এ ঘোষণার আইনি প্রভাব কতখানি থাকবে তা নিয়ে বিশেষজ্ঞরা সন্দিহান। অ্যান্টিফা একটি ছাড়াছাড়াভাবে সংগঠিত আদর্শিক আন্দোলন, যার নির্দিষ্ট কোনো নেতৃত্ব বা কাঠামো নেই।
হতে সংগৃহীত
ডানপন্থি রাজনৈতিক কর্মী চার্লি কার্ক হত্যাকাণ্ডের পর বামপন্থি গোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার ইঙ্গিত দেওয়া মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প এবার ফ্যাসিবাদবিরোধী অ্যান্টিফা আন্দোলনকে নতুন নিশানা বানিয়েছেন।
বুধবার ট্রুথ সোশালে তিনি বলেছেন, অ্যান্টিফা আন্দোলনকে তিনি সন্ত্রাসী সংগঠন ঘোষণা করতে যাচ্ছেন।
“অ্যান্টিফাকে অর্থ দেওয়া ব্যক্তিদের সর্বোচ্চ আইনি মান ও প্রক্রিয়া অনুযায়ী বিস্তৃত তদন্তের আওতায় আনার জোরাল সুপারিশও করব আমি,” সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া পোস্টে মার্কিন প্রেসিডেন্ট এমনটাই লিখেছেন বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
তার এ ঘোষণার আইনি প্রভাব কতখানি থাকবে তা নিয়ে বিশেষজ্ঞরা সন্দিহান। অ্যান্টিফা একটি ছাড়াছাড়াভাবে সংগঠিত আদর্শিক আন্দোলন, যার নির্দিষ্ট কোনো নেতৃত্ব বা কাঠামো নেই।
এদিকে ইউটাহ-র কৌঁসুলিরা চার্লি কার্ক হত্যাকাণ্ডে গ্রেপ্তার সন্দেহভাজনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগপত্র দেওয়ার একদিন পরও ২২ বছর বয়সী টাইলার রবিনসনের সঙ্গে বাইরের কোনো গোষ্ঠীর যোগসাজশের প্রমাণ পাওয়া যায়নি। চার্লি কার্ককে হত্যার পেছনে তার যে মোটিভ ছিল বলে বলা হচ্ছে, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে।
ট্রাম্প এবং তার প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বারবারই এ হত্যাকাণ্ডের জন্য বাম ঘরানার গোষ্ঠীগুলোকে দায় দিচ্ছেন। বলছেন, ওই গোষ্ঠীগুলো রক্ষণশীলদের নিয়ে এমন বৈরি পরিবেশ সৃষ্টি করেছিল, যার ফলশ্রুতিতেই চার্লিকে প্রাণ দিতে হয়েছে।
রাজনৈতিক সহিংসতা ও বিদ্বেষমূলক বক্তব্য নিয়ে হোয়াইট হাউস একটি নির্বাহী আদেশ প্রস্তুত করছে বলে ট্রাম্পের পোস্টের আগেই বুধবার তার প্রশাসনের এক কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানিয়েছিলেন।
একইদিন মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স ফক্স নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আবারও চার্লি হত্যাকাণ্ডের জন্য বামপন্থি রাজনৈতিক চরমপন্থাকে দায় দিয়েছেন।
বামপন্থি সহিংসতার অর্থায়নকারী নেটওয়ার্কগুলোকে যেন সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে বিবেচনা করা হয় তা নিশ্চিতে হোয়াইট হাউস কঠোর পরিশ্রম করছে, বলেছেন তিনি।
সমালোচকরা বলছেন, ট্রাম্প এখন চার্লি হত্যাকাণ্ডকে কাজে লাগিয়ে রাজনৈতিক বিরোধীদের দমন করতে চাইছেন।
২০২০ সালে মিনিয়াপোলিসে পুলিশ জর্জ ফ্লয়েডকে মেরে ফেলার পর যুক্তরাষ্ট্রব্যাপী হওয়া সহিংস বিক্ষোভের মধ্যেও ট্রাম্প অ্যান্টিফাকে ‘সন্ত্রাসী সংগঠন’ ঘোষণার ভাবনাটি সামনে এনেছিলেন।
কেউ কোনো মতবাদে বিশ্বাস করলেই সে অপরাধী হয়ে যায় না, এই বিবেচনায় ট্রাম্পের এমন ঘোষণার কোনো আইনি ভিত্তি নেই, এবং ঘোষণা করা হলেও তা বাস্তবায়ন কঠিন হবে ও বাকস্বাধীনতা বিষয়ক উদ্বেগ বাড়াবে বলে সেসময় আইন বিশেষজ্ঞরা বলেছিলেন।
বুধবার ট্রাম্পের পোস্টের পর এ বিষয়ে আরও জানতে চেয়ে রয়টার্স হোয়াইট হাউসের সঙ্গে যোগাযোগ করলেও তাৎক্ষণিকভাবে সাড়া দেয়নি তারা।