তারা ত্রিপোলির তাজুরা ডিটেনশন সেন্টারে আটকা ছিলেন।
হতে সংগৃহীত
অবৈধ পথে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে পাড়ি দিতে গিয়ে লিবিয়ায় ধরা পড়া ১৭৬ জন বাংলাদেশি দেশে ফিরেছেন।
বৃহস্পতিবার সকাল পৌনে ১০টায় বুরাক এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান তারা।
লিবিয়ায় বাংলাদেশ দূতাবাসের এক বার্তায় বলা হয়েছে, দেশটিতে বিভিন্ন ডিটেনশন সেন্টারে আটক বাংলাদেশি নাগরিকদের নিরাপদ প্রত্যাবাসনের লক্ষ্যে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ ও আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করে যাচ্ছে বাংলাদেশ দূতাবাস।

তারই অংশ হিসেবে বুধবার লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপোলির তাজুরা ডিটেনশন সেন্টার থেকে ১৭৬ জন বাংলাদেশিকে আইওএমের সহায়তায় দেশে ফেরত পাঠানো হয়। লিবিয়ার অভিবাসন অধিদপ্তরের অভ্যর্থনা কেন্দ্রে উপস্থিত হয়ে তাদের বিদায় জানান রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল আবুল হাসনাত মুহাম্মদ খায়রুল বাশার নেতৃত্বাধীন দূতাবাসের প্রতিনিধি দল।
রাষ্ট্রদূত বলেন, “অবৈধ অভিবাসনের ফলে ব্যক্তির আর্থিক ও শারীরিক ক্ষতির পাশাপাশি পরিবার ও সমাজও দুর্ভোগের শিকার হয়। এ ধরনের কর্মকাণ্ড দেশের ভাবমূর্তি ও সুনাম ক্ষুণ্ণ করে।”
প্রত্যাবাসিতরা যাতে নিজ নিজ এলাকায় অবৈধ অভিবাসনের ঝুঁকি সম্পর্কে সচেতনতা তৈরিতে কাজ করেন, সেই আহ্বান জানান রাষ্ট্রদূত। পাশাপাশি মানবপাচারকারী চক্রের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে ভুক্তভোগীদের পরামর্শ দেন তিনি।

রাষ্ট্রদূত আবুল হাসনাত মুহাম্মদ খায়রুল বাশার বলেন, “প্রত্যেক নাগরিক দেশের অমূল্য সম্পদ।
“বৈধ ও নিরাপদ উপায়ে বিদেশে গিয়ে দক্ষতা ও সততার সঙ্গে কাজ করলে প্রবাসীরা কেবল পরিবারের জীবনমানই উন্নত করেন না, দেশের সুনামও বৃদ্ধি করেন।”
দূতাবাস জানিয়েছে, দেশে পাঠানোর আগে ওই বাংলাদেশিদের সাক্ষাৎ গ্রহণ ও পরিচয় যাচাই-বাছাইয়ের পর তাদের ট্রাভেল পারমিট ইস্যু করা হয়। এরপর স্থানীয় কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ও আইওএমের সার্বিক সহযোগিতায় তাদের দেশে পাঠানো সম্ভব হয়।