বিমানবন্দরের উদ্দেশে রওনাই দিতে পারেনি বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল।
হতে সংগৃহীত
বেলা তিনটার ফ্লাইটে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের দেশে ফেরার কথা ছিল। কিন্তু দল হোটেলই ছাড়তে পারেনি। ফ্লাইটও বাতিল হয়ে গেছে। ফলে আপাতত জামাল-মিতুলদের দেশে ফেরা হচ্ছে না।
টিম ম্যানেজার আমের খান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছেন, বিরূপ পরিস্থিতিতে দল নিয়ে এই মুহূর্তে হোটেলেই অবস্থান করছেন তারা।
“বিক্ষোভকারীরা আমাদের হেটেলের সামনেও জড়ো হয়েছে। এখানে বিক্ষোভ করছে। এ কারণে আমরা হোটেল থেকে বিমানবন্দরের উদ্দেশে বের হতে পারিনি। ফ্লাইট বাতিল হয়েছে।”

বিক্ষুব্ধদের একটি অংশ হানা দিয়েছিল টিম হোটেলেও। তবে সেখানে কোনো রাজনীতিক কিংবা ভিআইপি অবস্থান করছে না, শুধু বাংলাদেশ ও নেপালের ফুটবল দল অবস্থান করছে জেনে তারা হোটেল ত্যাগ করেন। বিক্ষোভের মধ্যে কাঠমান্ডু বিমানবন্দরের কার্যক্রম আংশিক বন্ধ করে দিয়েছে দেশটির বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ।

সরকারের দুর্নীতি, সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলো বন্ধ করে দেওয়ার বিরুদ্ধে জেন-জি’র আন্দোলনে নেপাল কার্যত অচল হয়ে পড়েছে। সোমবারের কাঠমান্ডুর থামেলের বাইরে বিক্ষোভ বেশি হলেও মঙ্গলবার থামেলের রাস্তায় তারা অবস্থান নিয়েছে।
থামেলের মুসলিম চকের নিকটবর্তী থানায় পুলিশকে আটকে রেখেছে বিক্ষোভকারীরা। থানা, বিভিন্ন ভবনের উদ্দেশে ইট-পাটকেলও ছুঁড়তে দেখা গেছে আন্দোলনকারীদের। বিভিন্ন স্থানে টায়ার জ্বালিয়ে রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছে বিক্ষোভকারীরা।