বিকালে বিবাদমান দুই পক্ষকে নিয়ে বসবে প্রশাসন।
সংগৃহীত
চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে মাদ্রাসা শিক্ষার্থী ও সুন্নী সমর্থকদের সংঘর্ষের পরদিন পরিস্থিতি ‘স্বাভাবিক’ হওয়ার তথ্য দিয়েছে পুলিশ।
রোববার সকাল থেকে সড়কে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে, খুলেছে দোকানপাট। ভবিষ্যতে যাতে অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি তৈরি না হয়, সেজন্য বিকালে দুইপক্ষকে নিয়ে বৈঠকের সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন।
চট্টগ্রাম জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হাটাহাজারী সার্কেল) কাজী মো. তারেক আজিজ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “রাতে দুই পক্ষই নিজেদের মত করে চলে গেছে; এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর টহলও জোরদার আছে।
“ভবিষ্যতে যাতে এ ধরনের কোনো পরিস্থিতি না হয়- সেজন্য মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ, সুন্নি সমর্থক- উভয় পক্ষের সাথে উপজেলা প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।”
চট্টগ্রামের হাটহাজারী বড় মাদ্রসাকে ইঙ্গিত করে ফেইসবুকে ‘অবমাননাকর’ পোস্ট দেওয়াকে কেন্দ্র করে শনিবার রাতে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সুন্নী সমর্থকদের সংঘর্ষ ঘটে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে রাত ১০টা থেকে রোববার বিকাল ৩টা পর্যন্ত হাটহাজারী সদর এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করে উপজেলা প্রশাসন।
এসময় চট্টগ্রামের সঙ্গে খাগড়াছড়ি, রাঙামাটি জেলা এবং ফটিকছড়ি ও রাউজান উপজেলার যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। সড়কে কয়েকটি যানবাহন ভাংচুরেরও ঘটনা ঘটে।
ফটিকছড়ি থানার ওসি নুর আহমদ শনিবার রাতে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “যে যুবক ফেইসবুকে হাটহাজারী মাদ্রাসাকে ব্যঙ্গ করে ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছেন, আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রাখার স্বার্থে তাকে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছি।”
শনিবার সন্ধ্যার পর ফটিকছড়ি পৌর সদরের ২ নম্বর ওয়ার্ড এলাকা থেকে আরিয়ান ইব্রাহীম নামে ওই যুবককে আটক করার কথা জানায় পুলিশ। রাতে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার সময় অন্তত ১০০ জন আহত হয়েছে।
চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সর্জন কার্যালয় থেকে জানানো হয়, দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় রাতে অন্তত ৮০ জন হাটহাজারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন। তাদের মধ্যে তিন জনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয়রা জানায়, রাতে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের সময় সময় সড়কের দুই পাশে অনেক যানবাহন আটকে ছিল। উভয়পক্ষ সড়ক ছেড়ে গেলে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়। সকাল থেকে যানবাহন চলাচল কিছুটা কম থাকলেও বেলা বাড়ার সাথে সাথে যানবাহন চলাচলও বাড়তে দেখা গেছে।
সংগৃহীত