“তার মৃত্যুতে দেশ একজন সৎ, প্রজ্ঞাবান ও নিবেদিতপ্রাণ গবেষককে হারাল,”বলেন তিনি।
হতে সংগৃহিত
স্থানীয় সরকার ও নির্বাচন বিশেষজ্ঞ তোফায়েল আহমেদের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস।
শোকবার্তায় তিনি বলেছেন, “তোফায়েল আহমেদ ছিলেন বাংলাদেশের স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা নিয়ে গবেষণার অন্যতম অগ্রদূত। তিনি অত্যন্ত নিষ্ঠার সঙ্গে ২০২৪ সালে অন্তর্বর্তী সরকারের গঠন করা স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশনের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
“তিনি স্থানীয় সরকার ব্যবস্থার উন্নয়নে গঠনমূলক ও বাস্তবসম্মত প্রস্তাবনা দিয়েছিলেন, যা অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক।”
বৃহস্পতিবার প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর থেকে এ শোকবার্তা সংবাদমাধ্যমে পাঠানো হয়।
মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, “তোফায়েল আহমেদ স্থানীয় সরকার ও সমবায় বিষয়ক একজন লব্ধপ্রতিষ্ঠ গবেষক ও লেখক। তিনি সারা জীবন দেশের প্রশাসনিক বিকেন্দ্রীকরণ, জবাবদিহিমূলক স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা ও গণতান্ত্রিক শাসন প্রতিষ্ঠায় নিবেদিত ছিলেন।
“স্থানীয় সরকার ও রাজনীতি বিষয়ে বাংলা ও ইংরেজি মিলিয়ে তার রচিত প্রায় ২০টি গ্রন্থ ও দেশি-বিদেশি জার্নাল ও পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত অসংখ্য প্রবন্ধ, যা যুগের পর যুগ ধরে আমাদের জ্ঞানচর্চাকে সমৃদ্ধ করবে।”
তিনি বলেন, “চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের এই সাবেক অধ্যাপক জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচিতে (বাংলাদেশ) স্থানীয় শাসন উপদেষ্টা হিসেবেও কর্মরত ছিলেন। তার মৃত্যুতে দেশ একজন সৎ, প্রজ্ঞাবান ও নিবেদিতপ্রাণ গবেষককে হারাল।”
প্রধান উপদেষ্টা প্রয়াতের আত্মার মাগফিরাত কামনার পাশাপাশি শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
তোফায়েল আহমেদ বুধবার সন্ধ্যায় রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে মারা যান। তার বয়স হয়েছিল ৭১।
স্থানীয় সরকারকে শক্তিশালী ও কার্যকর করার জন্য প্রয়োজনীয় সংস্কার প্রস্তাব প্রণয়ন করার লক্ষ্য নিয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক তোফায়েল আহমেদকে প্রধান করে গত ১৮ নভেম্বর স্থানীয় সংস্কার কমিশন গঠন করা হয়। এ ছাড়া নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনেরও সদস্য ছিলেন। ২০০৬-২০০৭ সালে তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের গঠিত ‘স্থানীয় সরকার কমিশনের’ও সদস্য ছিলেন তিনি।
