কাজী আব্দুল ওয়াদুদ আলফু মিয়া তেলিখাল ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি।
হতে সংগ্রহিত
সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার জনপ্রিয় পর্যটনকেন্দ্র ‘সাদাপাথর’সহ বিভিন্ন জায়গা থেকে বালু-পাথর লুটের ঘটনায় আলোচিত চেয়ারম্যান কাজী আব্দুল ওয়াদুদ আলফু মিয়াকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শনিবার বিকালে উপজেলা সদরের কৃষি ব্যাংকের নিচ থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি রতন শেখ জানান।
কাজী আব্দুল ওয়াদুদ আলফু মিয়া তেলিখাল ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি। সাদাপাথর লুটের ঘটনায় দুদকের তালিকায় তার নাম রয়েছে।
ওসি রতন শেখ জানান, ‘সাদাপাথর’ লুটের ঘটনায় কোম্পানীগঞ্জ থানায় খনিজ সম্পদ উন্নয়ন ব্যুরোর করা মামলা, হত্যাসহ ১৭টি মামলা রয়েছে। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হামলার ঘটনায় করা মামলার আসামিও তিনি।
ওসি বলেন, “তাকে নিয়ে সিলেট শহরে অভিযান চলতেছে; আরও কয়েকজনকে গ্রেপ্তারের জন্য। এ বিষয়ে পরে বিস্তারিত জানানো হবে।”
চেয়ারম্যান আলফু মিয়া দীর্ঘদিন ধরে পলাতক ছিলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে ওসি রতন শেখ জানান।
পুলিশ জানায়, দীর্ঘদিন ধরে আলফু চেয়ারম্যানসহ স্থানীয় কয়েকজন আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে রাতের আঁধারে অবৈধভাবে পাথর-বালু লুটের অভিযোগ রয়েছে।
২০২৪ সালের ৫ অগাস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর সিলেট অঞ্চলের কোয়ারিগুলোর নিয়ন্ত্রণ নেয় বিএনপি ও তাদের সহযোগী সংগঠনের স্থানীয় নেতারা। কিন্তু তাদের সঙ্গেও আপসে আলফু চেয়ারম্যান লুটের রাজত্ব অব্যাহত রাখেন। ধলাই নদীর একটি বালু মহালের ইজারা পান আলফু চেয়ারম্যানের ভায়রা ভাই হাফিজ আব্দুল্লাহ আল মামুন।
২০১৪ সালের ২৪ অক্টোবর কোম্পানীগঞ্জে গুলি করে পাথর ব্যবসায়ী আব্দুল আলীকে হত্যা করা হয়। নিহতের ছোট ভাই আব্দুল হক বাদী হয়ে কোম্পানীগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় আলফু মিয়াকে প্রধান আসামি করে অজ্ঞাত আরও কয়েকজনকে আসামি করা হয়।
পরে একই বছরের ২৬ অগাস্ট দেশত্যাগের সময় আলফু চেয়ারম্যানকে তামাবিল স্থলবন্দর ইমিগ্রেশন থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এ ছাড়া তার বিরুদ্ধে আরও দুটি হত্যা মামলা বর্তমানে বিচারাধীন রয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।