অর্থ খোয়ানোর ঘটনায় মতিঝিল থানায় জিডি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
সংগৃহিত
জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তরের ‘এনএসসি সিস্টেমে’ অনুপ্রবেশ করে ২৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ তদন্তে কমিটি গঠন করার কথা জানিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়।
বুধবার মন্ত্রণালয়ের এক আদেশে এনএসসি সিস্টেমের নিরাপত্তা বাড়াতেও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
তদন্ত কমিটির প্রধান করা হয়েছে অর্থ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন, পরিকল্পনা ও টিডিএম) হাসানুল মতিনকে।
অন্য সদস্যরা হলেন–জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তরের মহাপরিচালক রওশন আরা বেগম, অর্থ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব জিয়াউল আবেদীন, যুগ্মসচিব মোহাম্মদ রাশেদুল আমীন, বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন নির্বাহী পরিচালক, সিআইডির একজন উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) এবং অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের একজন যুগ্মসচিব।
বাংলাদেশ ব্যাংক, সিআইডি ও অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ থেকে প্রতিনিধি মনোনীত হলে কমিটি বৈঠকে বসবে।
এদিকে অর্থ খোয়ানোর ঘটনায় মতিঝিল থানায় জিডি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। আর পুলিশের তরফে মামলার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলছেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের মতিঝিল অফিসের পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে সম্প্রতি সঞ্চয়পত্র ভাঙানোর টাকা বেসরকারি একটি ব্যাংকে স্থানান্তর করা হয়।
ব্যাংকের যে শাখায় স্থানান্তর করা হয়, একই ব্যাংকের আরেক শাখা থেকে তা তুলে নেওয়া হয়। অর্থ তুলে নেওয়ার পর বিষয়টি ধরা পড়লে সার্ভারের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
জালিয়াত চক্র আরো কয়েকটি লেনদেন করার সময়ে বিষয়টি ধরা পরে বলে জানিয়েছেন মতিঝিল থানার ওসি মেজবাহ উদ্দিন।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “গত পরশু (২৭ অক্টোবর) বাংলাদেশ ব্যাংকের অতিরিক্ত পরিচালক গোপীনাথ চক্রবর্তী একটি জিডি করেছেন। বিভিন্ন গ্রাহকদের অ্যাকাউন্ট অটোমেটিক পরিবর্তন হয়ে যাচ্ছে—এ ধরনের তথ্য দিয়ে জিডি করেন।”
এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি নেওয়ার কথা জানিয়েছেন তিনি।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রণে চলে সঞ্চয়পত্রের সার্ভার। সঞ্চয় অধিদপ্তর সব তথ্য সংরক্ষণ ও পরিচালনা করে।
